• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | الثقافة الإعلامية   التاريخ والتراجم   فكر   إدارة واقتصاد   طب وعلوم ومعلوماتية   عالم الكتب   ثقافة عامة وأرشيف   تقارير وحوارات   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    منشأ المنظومة الأخلاقية عند البشر معرفيا
    غازي أحمد محمد
  •  
    وسائل صناعة الكراهية بين الثقافات: منهج السماحة
    أ. د. علي بن إبراهيم النملة
  •  
    تخليل الأصابع حماية من الفطريات
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    قصة فيها عبرة (الأصمعي والبقال)
    بكر البعداني
  •  
    العناية بالقدمين في السنة النبوية
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    العناية بالأظافر في السنة النبوية
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    قراءات اقتصادية (60) نهب الفقراء
    د. زيد بن محمد الرماني
  •  
    الوسطية منهج وقيمة
    د. حسام العيسوي سنيد
  •  
    قراءات اقتصادية (59) الثلاثة الكبار في علم ...
    د. زيد بن محمد الرماني
  •  
    سيرة المحدث المربي فضيلة الشيخ الدكتور خلدون ...
    أ. أيمن بن أحمد ذو الغنى
  •  
    فوائد البنوك: الخطر الذي يهدد العالم
    أ. د. حلمي عبدالحكيم الفقي
  •  
    من وسائل صناعة الكراهية بين الثقافات: تصنيف ...
    أ. د. علي بن إبراهيم النملة
  •  
    إزالة الأذى والسموم من الجسوم في الطب النبوي
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    ذواقة العربية ... وهب رومية
    د. مقبل التام الأحمدي
  •  
    مائدة الصحابة: سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه
    عبدالرحمن عبدالله الشريف
  •  
    الذكاء الاصطناعي والعلم الشرعي
    أيمن ناسيلا سيد حسن
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

الله السميع (خطبة باللغة البنغالية)

الله السميع (خطبة باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 28/7/2024 ميلادي - 22/1/1446 هجري

الزيارات: 1520

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

الله السميع

(خطبة باللغة البنغالية)

 

খুতবার বিষয়ঃ আল্লাহ যিনি সর্বশ্রোতা

প্রথম খুৎবা

الحمد لله رب العالمين، الحمد لله البصير التواب، الفتّاح الوهّاب، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له السميع الخبير، المتين القدير، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه عدد قطر الندى وما تعاقب الإصباح والمساء.


আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার ওসিয়ত করছি। আমরা এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেখানে এটি অবলম্বন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ আমাদের আল্লাহর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের জীবন সময় এবং মুহূর্ত নিয়ে গঠিতঃ

﴿ وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ ﴾ [المائدة: 4].

অনুবাদঃ তোমারা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

 

নেয়ামতকে অবহেলা করা।

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! দাসত্বের বিভিন্ন স্তর রয়েছে, সর্বোচ্চ স্তর হল ইহসান, যার অর্থ: আপনি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করুন যেন আপনি তাকে দেখছেন, এটি সেই স্তর যা পরম করুণাময়ের সন্তুষ্টি, জান্নাতুল ফিরদাউস লাভ, কবরের নিআমত, আল্লাহর অসন্তুষ্টি অর্জন এবং তার শাস্তি থেকে নাজাতের দিকে নিয়ে যায়।

 

ইহসানের সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জনে যে বিষয়গুলো সাহায্য করে তার মধ্যে রয়েছে আল্লাহর উত্তম নামের অর্থ এবং তার অনুভূতি ও সচেতনতা দ্বারা হৃদয় পরিপূর্ণ হওয়া। আজ আমরা আল্লাহর এমন একটি প্রিয় নাম নিয়ে আলোচনা করব, যেটির উপলব্ধি অন্তরকে আল্লাহর ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় এবং তা বারবার স্মরণ করার কারণে মুমিনকে পুনরুত্থিত হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়!

 

প্রতিটি ভালো কথা এবং যবান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কারণে তার জিহ্বা গীবত, চোগলখোরী, অভিশাপ, ঠাট্টা-বিদ্রূপ, মিথ্যা কথা, গালিগালাজ এবং জিহ্বার সাধারণ গুনাহ থেকে বিরত থাকে! হাদীসে এসেছেঃ "মানুষকে শুধুমাত্র জিহবার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে"।

 

আজ আমরা আল্লাহর একটি সুন্দর নাম "আস-সামী" (সর্বশ্রোতা) নিয়ে কথা বলব, যা পবিত্র কুরআনে ৪৫টি স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

খাওলা বিনতে সালাবা (রাঃ) নবী (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলেন এবং তাঁর স্বামী আওস বিন আস-সামিত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, যিনি তার চাচাতো ভাইও ছিলেন এবং যিনি তাকে রাগান্বিত অবস্থায় বলেছিলেন: আপনি আমার কাছে আমার মায়ের পিঠের মতো! জাহিলিয়াতে যিহারের প্রথা ছিল - তাই যখন তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতে চাইলেন, তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তার সমস্যা এবং তার স্বামীর সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে অভিযোগ করতে লাগলেন। যার উপর সূরা মুজাদালার প্রাথমিক আয়াত নাযিল হয়।

 

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শোকর যিনি শব্দসমূহ শ্রবণ করে থাকেন। খাওলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করলো। সে তার কথা আমার নিকট গোপন রাখলো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা আয়াত নাযিল করলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ঐ মহিলার কথা শ্ৰবণ করেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক করছে এবং আল্লাহর নিকট অভিযোগ করছে। আর আল্লাহ তা'আলা তোমাদের উভয়ের প্রশ্নোত্তর শ্রবণ করছেন। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। এরপর আল্লাহ তা’আলা যিহারের এই আয়াত নাযিল করলেনঃ

﴿ قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ ﴾ [المجادلة 1].

অনুবাদঃ আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সে নারীর কথা; যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর কাছেও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা । হাদীসটি আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ও বোখারী মুআল্লাক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

 

মহান সেই আল্লাহ, যিনি সর্বশ্রোতা, তিনি সকল প্রার্থনা শোনেন, যদিও তাদের ভাষা ও প্রয়োজন ভিন্ন হয়।

 

তার শ্রবণ শক্তির নিকট সমস্ত গোপন এবং দৃশ্যমান জিনিস সমান।

 

﴿ سَوَاء مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ ﴾ [الرعد 10].

অনুবাদঃ তোমাদের মধ্যে যে কথা গোপন রাখে বা যে তা প্রকাশ করে, রাতে যে আত্মগোপন করে এবং দিনে যে প্রকাশ্যে বিচরণ করে, তারা সবাই আল্লাহ্‌র নিকট সমান ।

 

মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি শ্রবণকারী ও সর্বজ্ঞাতা, কোন শ্রবণ তাকে কোন শ্রবণ থেকে বিভ্রান্ত করে না, কোন ধ্বনি তাকে অন্য ধ্বনি থেকে ব্যস্ত করে না, বরং যুগের শুরু থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে তারা যদি পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তাহলে কোন কণ্ঠ অন্য কণ্ঠের সাথে, বা কোন ভাষা অন্য ভাষার সাথে বিভ্রান্ত হবে না।

 

হাদীস কুদুসীতে এসেছেঃ "তোমাদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন যদি কোন বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে সবাই আমার কাছে আবদার করে আর আমি প্রত্যেক ব্যক্তির চাহিদা পূরণ করি তাহলে আমার কাছে যা আছে তাতে এর চাইতে বেশী হ্রাস পাবে না, যেমন কেউ সমুদ্রে একটি সূচ ডুবিয়ে দিলে যতটুকু তাথেকে হ্রাস পায়"। (মুসলিম)

 

পবিত্র আল্লাহ, যিনি সর্বশ্রোতা, যিনি শোনেন ও জানেন অন্তরের গোপন কথা!

 

মহিমান্বিত মহান আল্লাহ যিনি সর্বশ্রোতা।

 

সবচেয়ে নিকৃষ্ট সন্দেহ হল মুশরিকদের সন্দেহ যারা মনে করে যে আল্লাহ গোপন কথা ও পরামর্শ জানেন না! মহান আল্লাহ বলেনঃ

﴿ أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَاهُم بَلَى وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ ﴾ [الزخرف 80].

অনুবাদঃ নাকি তারা মনে করে যে, আমরা তাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণা শুনতে পাই না? অবশ্যই, হ্যাঁ। আর আমাদের ফেরেশতাগণ তাদের কাছে থেকে সবকিছু লিখছে।

 

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! যে শ্রবণ আল্লাহর দিকে আরোপ করা হয়েছে, তা দুই প্রকার: প্রথম প্রকার: সেই শ্রবণ যা শ্রবণের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং তা অতিবাহিত হয়েছে। এর অর্থ: কণ্ঠস্বর উপলব্ধি করা।

 

দ্বিতীয় প্রকার: সেই শ্রবণ যার অর্থ কবুল করা, অর্থাৎ: যে ব্যক্তি তাকে ডাকে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেনঃ

﴿ هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء ﴾ [آل عمران38]


অনুবাদঃ সেখানেই যাকারিয়্যা তার রবের নিকট প্রার্থনা করে বললেন, ‘হে আমার রব! আমাকে আপনি আপনার নিকট থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’

 

সেই মত আল্লাহর খলীল ইব্রাহীম আঃ এর দুআর অর্থও এটাইঃ

﴿ الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ ﴾ [إبراهيم 39]

অনুবাদঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমা’ঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দো’আ গ্রহণকারী।

 

সেই অর্থেই নামাযীর এই দুআটিঃ "সামীআল্লাহু লিমান হামীদাহ" (আল্লাহ তার প্রশংসাকারীদের দুআ শোনেন)।

 

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাইতুল্লাহর কাছে তিন লোক একত্রিত হলো। এদের দু’জন কুরাইশী এবং একজন সাকাফী অথবা দু’জন সাকাফী এবং একজন কুরাইশী ছিল। তাদের অন্তরে সূক্ষ্মজ্ঞান খুব কমই ছিল। তবে পেটে অনেক চর্বি ছিল। তাদের একজন বলল, আমরা যা বলি আল্লাহ সব শুনেন, এ কথা কি তোমরা মনে করো? তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, আমরা উচ্চ আওয়াজে কথা বললে আল্লাহ তা শুনে থাকেন। তবে নিম্নস্বরে কথা বললে আল্লাহ তা শুনেন না। তখন তৃতীয় ব্যক্তি বলল, উচ্চ আওয়াজে কথা বললে যদি তিনি শুনে থাকেন তবে নিম্নস্বরে কথা বললেও তিনি তা শুনতে পাবেন। এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন,

﴿ وَمَا كُنتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلَا أَبْصَارُكُمْ وَلَا جُلُودُكُمْ وَلَكِن ظَنَنتُمْ أَنَّ اللَّهَ لَا يَعْلَمُ كَثِيراً مِّمَّا تَعْمَلُونَ ﴾ [فصلت 22].

“তোমরা গোপন করতে পারবে না এজন্য যে, তোমাদের কান, চোখ এবং ত্বক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে”— (সূরা ফুসসিলাত ৪১ঃ ২২)।

 

এই বরকতময় আয়াত থেকে জানা যায় যে, যখন আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর প্রতি বিশ্বাস কলুষিত হয়, তখন ফলস্বরূপ ক্ষতি ও বিনাশ প্রকাশ পায়। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা এর পরবর্তী দুই আয়াতে বলেছেনঃ

﴿ وَذَلِكُمْ ظَنُّكُمُ الَّذِي ظَنَنتُم بِرَبِّكُمْ أَرْدَاكُمْ فَأَصْبَحْتُم مِّنْ الْخَاسِرِينَ * فَإِن يَصْبِرُوا فَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ وَإِن يَسْتَعْتِبُوا فَمَا هُم مِّنَ الْمُعْتَبِينَ ﴾ [فصلت 23 ، 24].

অনুবাদঃ আর তোমাদের রব সম্বন্ধে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদের ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা হয়েছ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর যদি তারা ধৈর্য ধারণ করে তবে আগুনই হবে তাদের আবাস। আর যদি তারা সস্তুষ্টি বিধান করতে চায় তবে তারা সন্তুষ্টিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

 

দ্বিতীয় খুতবাঃ

الحمد لله العلي الكبير العلاّم الخبير وأشهد ألا إله إلا الله وحده لا شريك له ﴿ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ ﴾ [الشورى 11]، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله البشير النذير صلى الله وسلم عليه وعلى آله وصحبه.

 

এটা অস্পষ্ট নয় যে, আল্লাহ তা‘আলার সেই শ্রবণ সাব্যস্ত করি যা তাঁর মহিমা ও শানের যোগ্য। আমরা আল্লাহর জন্য শ্রবণ প্রমাণ করি অবশ্যই, কিন্ত এর অর্থ বিকৃত করি না। আর না তার শ্রবণকে তার সৃষ্টির সাথে তুলনা করি, আর না তার প্রকৃতি ও ধরন বর্ণনা করি, যেমনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর সুমহান সত্তার সম্পর্কে বলেছেনঃ

﴿ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ ﴾ [الشورى 11].

 

অনুবাদঃ কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! পরম করুণাময় আল্লাহর নামে বিশ্বাস করা এবং এর অর্থ বোঝা একজন মুমিনের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে, তার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ:

অন্তরে আল্লাহর শ্রদ্ধা, তাওহীদ, মহিমা ও ভালোবাসা জাগে, আমাদের রব সৃষ্টিকর্তা, ক্ষমতার অধিকারী, শ্রোতা, দ্রষ্টা, ও জ্ঞানের অধিকারী। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যে, আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি, তাঁর ইবাদত করি, তাঁর কোন শরীক নেই, অথচ অনেক লোক আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তি পূজা করে।

﴿ يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِي عَنكَ شَيْئاً ﴾ [مريم 42].

 

অনুবাদঃ হে আমার পিতা! আপনি তার ইবাদাত করেন কেন যে শুনা না, দেখে না এবং আপনার কোনো কাজেই আসে না?’

 

আল্লাহর মহামূল্যবান নামের প্রতি ঈমান আনার অনেক প্রভাবের মধ্যে একটি হলো: এতে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায় এবং এর উল্লেখ মনে আনন্দ দেয়, বরং বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণের তাওফীক পাওয়া যায়। আপনি আপনার গাড়ীতে, বা বাড়িতে, বা বাজারে, বা মাঠে বা অন্য যে কোন স্থানেই থাকুন না কেন, সর্বদা আপনার জিহ্বাকে আল্লাহর যিকিরে সিক্ত রাখুন, তাকবীর ও তাহলীল, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তওবা ও মাগফেরাত এবং নবীর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাকুন।

 

যখন হৃদয় আল্লাহর নাম, মহিমান্বিত নামের অর্থে পরিপূর্ণ হয়, তখন এর একটি প্রভাব হল: জিহ্বা গুনাহ থেকে বিরত থাকে এবং একজন ব্যক্তি গীবত, অভিশাপ, খারাপ ভাষা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পায়। কারণ আল্লাহ আপনার সব কথা শুনছেন! আমরা ঈমানের পরিপূর্ণতা এবং পাপ থেকে সুরক্ষার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি!

 

পরম করুণাময় আল্লাহর "আস সামী" (সর্ব শ্রোতা) নামে বিশ্বাস করার একটি প্রভাব হল: একজন ব্যক্তি কিয়াম আল-লাইল এবং কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি যত্নবান হয়। আল্লাহর এই কথাটি বিবেচনা করুনঃ

﴿ وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ * الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ * وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ * إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴾ [الشعراء: 217 - 220].

অনুবাদঃ আর আপনি নির্ভর করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র উপর, যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দাঁড়ান, এবং সাজদাকারীদের মাঝে আপনার উঠাবসা। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

 

আল্লাহর এই নামের একটি প্রভাব হল: ব্যক্তি খারাপ ভাষা ও আল্লাহর অবাধ্যতা করার ক্ষেত্রে আল্লাহর লজ্জা অনুভব করে।

 

এই সম্মানিত নামে বিশ্বাস করার একটি প্রভাব রয়েছে যে: মানুষ কথাবার্তায় সত্যকে ধারণ করে এবং মিথ্যাকে পরিহার করে।

 

আল্লাহর এই নামের প্রতি ঈমান আনা এবং এর অর্থ হৃদয়ে সতেজ রাখার একটি প্রভাব হল: দুআ করার সময় একজন ব্যক্তি পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে দুআ করে এবং তার কণ্ঠস্বর নিচু রাখে। তাই যাকারিয়া (আ.) বৃদ্ধ হয়ে গেলে গোপন কণ্ঠে তাঁর রবকে ডাকলেন, কিন্তু আল্লাহ তাঁকে ইয়াহিয়ার সুসংবাদ দিলেন। একইভাবে খলিল (আ.)-কেও বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করা হয়েছিল। আর ইউসুফ নারীদের প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, তাই আল্লাহ তার দোআ গ্রহণ করেছিলেন।

﴿ فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴾ [يوسف 34].


অনুবাদঃ সুতরাং তার রব তার ডাকে সাড়া দিলেন এবং তাকে তাদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করুন।

 

https://www.alukah.net/sharia/0/142990/

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • الله السميع (خطبة)
  • الله السميع (باللغة الأردية)
  • الله السميع (خطبة) (باللغة الهندية)
  • خطبة: لفت الأنظار للتفكر والاعتبار (1) - باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • خطبة: الذكاء الاصطناعي ووسائل التواصل الاجتماعي(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة (النت والاختبارات)(مقالة - موقع د. علي بن عبدالعزيز الشبل)
  • خطبة: التعامل مع الشاب اليتيم(مقالة - آفاق الشريعة)
  • اذكروا الله كثيرا (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • القيم النبوية في إدارة المال والأعمال (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • من دروس خطبة الوداع: أخوة الإسلام بين توجيه النبوة وتفريط الأمة (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • سلسلة شرح الأربعين النووية: الحديث (26) «كل سلامى من الناس عليه صدقة» (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • المسلم بين حر الدنيا وحر الآخرة (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • في نهاية عامكم حاسبوا أنفسكم (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: بداية العام الهجري وصيام يوم عاشوراء(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • دورات إسلامية وصحية متكاملة للأطفال بمدينة دروججانوفسكي
  • برينجافور تحتفل بالذكرى الـ 19 لافتتاح مسجدها التاريخي
  • أكثر من 70 متسابقا يشاركون في المسابقة القرآنية الثامنة في أزناكاييفو
  • إعادة افتتاح مسجد تاريخي في أغدام بأذربيجان
  • ستولاك تستعد لانطلاق النسخة الثالثة والعشرين من فعاليات أيام المساجد
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 30/1/1447هـ - الساعة: 15:3
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب