• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    صفة الوضوء
    تركي بن إبراهيم الخنيزان
  •  
    التمييز بين «الرواية» و«النسخة» في «صحيح البخاري»
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    أسماء الله الحسنى من خلال الجزء (السابع والعشرون) ...
    محمد نور حكي علي
  •  
    شرح متن طالب الأصول: (1) معنى البسملة
    أبو الحسن هشام المحجوبي ويحيى بن زكرياء ...
  •  
    من أقوال السلف في أسماء الله الحسنى: (القريب، ...
    فهد بن عبدالعزيز عبدالله الشويرخ
  •  
    قبسات من علوم القرآن (3)
    قاسم عاشور
  •  
    من دعاء الرسول صلى الله عليه وسلم
    الشيخ محمد جميل زينو
  •  
    اتقوا الأرحام
    أ. د. زكريا محمد هيبة
  •  
    ورع وإخلاص طلاب علم الأمس... مشاعل تنير دروب ...
    نوال محمد سعيد حدور
  •  
    {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)
    د. محمود بن أحمد الدوسري
  •  
    تفسير قوله تعالى: {يا أيها الذين آمنوا إن تطيعوا ...
    سعيد مصطفى دياب
  •  
    إزالة الغفلة (خطبة)
    الشيخ د. إبراهيم بن محمد الحقيل
  •  
    اتقوا فتنة التبرج
    د. لحرش عبد السلام
  •  
    كثرة تلاوته صلى الله عليه وسلم القرآنَ على فراشه ...
    الشيخ أ. د. عرفة بن طنطاوي
  •  
    عمى البصيرة يورد المهالك
    د. عبدالرحمن بن سعيد الحازمي
  •  
    شرح أحاديث الطهارة
    لطيفة بنت عبداللطيف
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: اللهم يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك (باللغة البنغالية)

خطبة: اللهم يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك (باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 16/10/2024 ميلادي - 13/4/1446 هجري

الزيارات: 3164

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অটল রাখুন।

 

প্রথম খুৎবা:

إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله: ﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ﴾ [آل عمران: 102]. ﴿ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا ﴾ [النساء: 1]. ﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا * يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ﴾ [الأحزاب: 70، 71].


হামদ ওয়াসালাতের পরঃ হামদ ওয়াসালাতের পর: সর্বোত্তম জিনিস হল আল্লাহর কিতাব, আর সর্বোত্তম পন্থা হল মুহাম্মদের পথ, সবচেয়ে খারাপ জিনিস হল দ্বীনে উদ্ভাবিত বিদআত এবং প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।

 

হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল আল্লাহর নির্দেশনা, আর একজন বান্দার নির্দেশনার প্রয়োজন। এটি সেই হেদায়াত বা নির্দেশনা যা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবের কাছে চেয়েছিলেন এবং তাঁর সাহাবীদেরকে তা চাওয়ার জন্য নির্দেশনা করেছিলেন। এটি সেই হিদায়াত যা মুসলিম প্রতিটি রাকাতে তাঁর রবের কাছে প্রার্থনা করে:

﴿ اهدِنَـا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ ﴾ [الفاتحة: 6].

অনুবাদঃ আমাদের সরল সহজ পথ দেখান।

 

হে রহমানের বান্দারা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হল "হেদায়েতের উপর অবিচল থাকা"।

 

হ্যাঁ, তিনিই আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেমন তাঁর বান্দা আনাস বিন মালিক, নাওয়াস বিন সামআন, আয়েশা এবং উম্মে সালামা (রাঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেছেন যে তিনি আল্লাহর পথে অটল থাকার জন্য অনেক দুআ করতেন।

 

আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই বলতেন: "হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অটল রাখুন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার আনা শিক্ষার প্রতি ঈমান এনেছি, এরপরও আপনি কি আমাদের উপর ভয় করেন?রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর পরম করুণাময়ের দুই আঙ্গুলের মাঝখানে। তিনি যেভাবে চান সেভাবেই তা উলট পালট করেন। আহমাদ ও তিরমিযী, আলবানী এটিকে হাসান বলেছেন।

 

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করতেন সুখময় অবস্থার পর দুঃখময় অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে।

 

হে ঈমানদারগণ! হেদায়েতের পর বিপথগামী হওয়ার ভয় মুত্তাকীদের অন্তরে বযং কিন্তু দৃঢ় জ্ঞানের অধিকারীদের অন্তরে সব সময় লেগে থাকে:

﴿ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الألْبَابِ * رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ ﴾ [آل عمران: 7-8].


অনুবাদঃ আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে, ‘আমরা এগুলোতে ঈমান রাখি, সবই আমাদের রবের কাছ থেকে এসেছে’; এবং জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা ছাড়া আর কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না।

 

লালসা এবং সন্দেহের প্রলোভনগুলি আমাদের সময়কার মতো কোনও যুগে এত ব্যাপক ছিল না, আল্লহই ভাল জানেন। কাফের, মুনাফিক, নাস্তিক, জাহেল ও কামুকবাদীরা বিভিন্ন পঠন-পাঠন, দেখা ও শোনার মাধ্যমে সেগুলো ছড়াচ্ছে।

 

হে সম্ভ্রান্ত সম্প্রদায়! ফিতনা দুই প্রকার, একটি হলো লালসার ফিতনা এবং অপরটি হলো সন্দেহের ফিতনা। লালসার কারণে অধিক ফিতনা সৃষ্টি হয় এবং সন্দেহের ফিতনা হচ্ছে অধিকতর ভয়ংকর। কেননা এই ফিতনা প্রায়শই নাস্তিকতা এবং কুফরের দিকে নিয়ে যায়। সন্দেহের একটি ফিতনা হল কোরআন ও হাদীসের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ করা বা তা অকেজো মনে করা।

 

সন্দেহের আরেকটি ফিতনা হল নফসের ইচ্ছার ভিত্তিতে শরীঅতের ব্যাখ্যা করা।

 

সন্দেহের অন্যতম ফিতনা হচ্ছে উম্মাহর অন্যায় তাকফির, ভাংচুর, বোমাবাজি ও নিরপরাধ জীবন হত্যা করা।

 

হে আল্লাহর বান্দাগণ! ফিতনার অনেক স্তর রয়েছে। হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাযিঃ) বলেন, যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। এতে তিনি ফিতনার ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করছিলেন। আর এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছুকেই ছাড় দিবে না। এর কিছু সংখ্যক গ্রীষ্মের ঝঞা বায়ুর মতো। আবার কিছু সংখ্যক ছোট এবং কিছু সংখ্যক বড়। হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, উক্ত মাজলিসে উপস্থিত লোকেদের মধ্যে আমি ছাড়া প্রত্যেকেই এ দুনিয়া হতে চির বিদায় নিয়েছেন। (মুসলিম)

 

হে ঈমানদারগণ! ফিতনার হিকমত ও রহস্য হল যে মানুষকে পরীক্ষা করাঃ

﴿ الم * أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ * وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ ﴾ [العنكبوت: 1-3].

অনুবাদঃ মানুষ কি মনে করেছে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এ কথা বললেই তাদেরকে পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেয়া হবে ? আর অবশ্যই আমরা এদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম ; অতঃপর আল্লাহ্‌ অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন কারা সত্যবাদী এবং তিনি অবশ্যই প্ৰকাশ করে দেবেন কারা মিথ্যাবাদী ।

 

তিনি আরো বলেনঃ

﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللّهُ بِشَيْءٍ مِّنَ الصَّيْدِ تَنَالُهُ أَيْدِيكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ اللّهُ مَن يَخَافُهُ بِالْغَيْبِ فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴾ [المائدة 94].


অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন শিকারের এমন বস্তু দ্বারা যা তোমাদের হাত ও বর্শা নাগাল পায়, যাতে আল্লাহ প্রকাশ করে দেন, কে তাঁকে গায়েবের সাথে ভয় করে । কাজেই এরপর কেউ সীমালংঘন করলে তার জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে।

 

• অন্যায়ের লড়াই অনাদিকাল থেকে চলে আসছে।

 

হে সম্ভ্রান্ত সম্প্রদায়! আপনি কি জানেন যে শপথের মাধ্যমে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রচুর কসম করতেন? ইবনে উমর (রা.) বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায়শই এইভাবে শপথ করতেন: "যিনি অন্তরকে পরিবর্তন করেন তার কসম" (এই হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন)।

 

ইমাম নাসায়ী ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শপথ অধিক করতেন তা হল "লা ওয়া মুসার্রিফালসরিফ কুলুব" (না, সেই সত্তার শপথ যিনি হৃদয়কে পরিবর্তন করে দেন)।

 

নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর কুরআন নাযিল হয় তাসত্তেও তার এই অবস্থা ছিল:

﴿ وَإِن كَادُواْ لَيَفْتِنُونَكَ عَنِ الَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ لِتفْتَرِيَ عَلَيْنَا غَيْرَهُ وَإِذاً لاَّتَّخَذُوكَ خَلِيلاً * وَلَوْلاَ أَن ثَبَّتْنَاكَ لَقَدْ كِدتَّ تَرْكَنُ إِلَيْهِمْ شَيْئاً قَلِيلاً * إِذاً لَّأَذَقْنَاكَ ضِعْفَ الْحَيَاةِ وَضِعْفَ الْمَمَاتِ ثُمَّ لاَ تَجِدُ لَكَ عَلَيْنَا نَصِيراً﴾ [الإسراء: 73-75].


অনুবাদঃ আর আমরা আপনার প্রতি যা ওহী করেছি তা থেকে ওরা আপনাকে পদস্খলন ঘটানোর চেষ্টা প্রায় চূড়ান্ত করেছিল, যাতে আপনি আমাদের উপর সেটার বিপরীত মিথ্যা রটাতে পারেন ; আর নিঃসন্দেহে তখন তারা আপনাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করত।

 

আর আমরা অবিচলিত না রাখলে আপনি অবশ্যই তাদের দিকে প্রায় কিছুটা ঝুঁকে পড়তেন। তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাকে ইহজীবনে দিগুন ও পরজীবনে দিগুণ শাস্তি আস্বাদন করাতাম; তখন আমাদের বিরুদ্ধে আপনার জন্য কোনো সাহায্যকারী পেতেন না ।

 

হে আল্লাহ, হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির করে দাও, হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে হেদায়েত চাই, আমরা তাকওয়া চাই, আমরা পবিত্রতা প্রার্থনা করি, আমরা সম্পদ ও উদারতা চাই।

 

﴿ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ ﴾ [آل عمران: 8].

 

অনুবাদঃ হে আমাদের রব! সরল পথ দেয়ার পর আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে সত্য লঙ্ঘনপ্রবণ করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদেরকে করুণা দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা।

 

আল্লাহর নিকট তাওবাহ ও ইস্তিগফার করুন, তিনি নিশ্চয় তাওবাহ কবুলকারী।

 

দ্বিতীয় খুতবা:

الحمد لله الولي الكافي، المجيب الشافي الخبير الهادي القائل ﴿ يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ ﴾ [إبراهيم27] والقائل ﴿ فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ ﴾ [الصف: 5]. وصلى الله وسلم على نبينا التقي، ذي الشرف العلي والهدى الجلي وعلى آله وأصحابه .

 

হামদ ও সালাতের পর: হে পরম করুণাময়ের লোকেরা! একমাত্র আল্লাহর রহমতে হেদায়েতের উপর অবিচলতা অর্জিত হয় এবং হেদায়াত অর্জনের অনেক কারণ রয়েছে এবং বান্দার জন্য এই কারণগুলো অবলম্বন করা আবশ্যক।

 

হেদায়েতের উপর অটল থাকার আরেকটি কারণ হল দ্বীনের সকল বিধি-বিধান মেনে চলা:

﴿ وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِ لَكَانَ خَيْراً لَّهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيتاً * وَإِذاً لَّآتَيْنَاهُم مِّن لَّدُنَّـا أَجْراً عَظِيماً. وَلَهَدَيْنَاهُمْ صِرَاطاً مُّسْتَقِيما ﴾ [النساء: 66-68].


অনুবাদঃ যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তা করলে তাদের ভালো হত এবং চিত্তস্থিরতায় তারা দৃঢ়তর হত।

 

আর অবশ্যই তখন আমরা তাদেরকে আমাদের কাছ থেকে মহাপুরস্কার প্রদান করতাম।

 

এবং অবশ্যই আমরা তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করতাম।

﴿ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِ ﴾

 

এ গুলো শোনাই যথেষ্ট নয় বরং তা আমলে পরিণত করতে হবে।

﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَافَّةً ﴾ [البقرة: 208].


অনুবাদঃ তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর।

 

ফিতনার যুগে আল্লাহর পথে অবিচল থাকার একটি উপায় হচ্ছে কুরআনের মাধ্যমে হেদায়েত অর্জন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ قُلْ نَزَّلَهُ رُوحُ الْقُدُسِ مِن رَّبِّكَ بِالْحَقِّ لِيُثَبِّتَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ ﴾ [النحل: 102].


অনুবাদ: বলুন, ‘আপনার রবের কাছ থেকে রূহুল কুদুস - জিবরীল- যথাযথ ভাবে একে নাযিল করেছেন, যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং হিদায়াত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ’।

 

ফিতনা ও লালসার এই যুগে অবিচল থাকার অন্যতম কারণ হল পরহেজগার লোকদের সঙ্গ অবলম্বন করা, যারা একে অপরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।

 

﴿ وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطاً ﴾ [الكهف: 28].


অনুবাদঃ আর আপনি নিজেকে ধৈর্যের সাথে রাখবেন তাদেরই সংসর্গে যারা সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাদের রবকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে এবং আপনি দুনিয়ার জীবনের শোভা কামনা করে তাদের থেকে আপনার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না । আর আপনি তার আনুগত্য করবেন না--- যার চিত্তকে আমরা আমাদের স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেছে ও যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।

 

হেদায়েতের উপর অটল থাকার অন্যতম কারণ হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনী, নবী-রাসুল, সাহাবী ও তাঁদের পরবর্তী নেককার ব্যক্তিদের জীবনী অধ্যয়নের মাধ্যমে আত্মার শুষ্কতা দূর করা।

 

﴿ وَكُـلاًّ نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنبَاء الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِ فُؤَادَكَ ﴾ [هود: 120].

অনুবাদঃ আর রাসূলদের ঐ সব বৃত্তান্ত আমরা আপনার কাছে বর্ণনা করেছি, যা দ্বারা আমরা আপনার চিত্তকে দৃঢ় করি।

 

হেদায়েতের উপর অটল থাকার অন্যতম কারণ হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে রাখা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

(আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাহগণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকবে। সাবধান! (ধর্মে) প্রতিটি নব আবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নব আবিষ্কার হলো বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আত হলো ভ্রষ্টতা)। (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে হিব্বান এটিকে সহীহ বলেছেন)।

 

লালসা বা সন্দেহের ফিতনাতে না পড়ার একটি কারণ হলো এসব কামনা-বাসনা ও সন্দেহের স্থান থেকে দূরে থাকা, হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে: "যে ব্যক্তি দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়ার কথা শুনবে, সে যেন তার থেকে দূরে থাকে"। এটি ইমাম আহমাদ এবং ইমাম আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন)।

 

আলেমগণ বলেন, এ হাদিসে যেখানে ফিতনার স্থানগুলোতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে ফিতনা থেকে পরিত্রাণের একটি বড় কারণ হচ্ছে ফিতনা ও ফিতনার স্থান থেকে দূরে থাকা।

 

শেষে বলি হেদায়েতের উপর অটল থাকার অন্যতম কারণ হল অন্তরের পরিচ্ছন্নতা ও আল্লাহর জন্য ইখলাস তৈরি করা। সহীহ হাদীসে এসেছে: "এক ব্যক্তি একজন জাহান্নামীর ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে এক হাতের তফাৎ রয়ে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান রয়ে যায়। এমন সময় তার ভাগ্য লিখন অগ্রগামী হয়।। তখন সে জাহান্নামবাসীদের ‘আমলের অনুরূপ ‘আমল করে থাকে এবং ফলে সে জাহান্নামে প্রবিষ্ট হয়"। (বুখারী ও মুসলিম )

 

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণীঃ “মানুষের নিকট মনে হয়” ইঙ্গিত করে যে তার অভ্যন্তরীণ তার বাহ্যিকের বিপরীত, তাই নিয়তের মন্দ ব্যক্তিকে পরাভূত করে এবং তাকে হেদায়েত থেকে গোমরাহীতে নিয়ে যায়।

 

https://www.alukah.net/sharia/0/142990/





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • خطبة: يحب لأخيه ما يحب لنفسه (باللغة البنغالية)
  • خطبة: الدنيا بين الزاد والزهد (باللغة البنغالية)
  • خطبة: اللهم يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك (باللغة النيبالية)

مختارات من الشبكة

  • {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • إزالة الغفلة (خطبة)(مقالة - موقع الشيخ إبراهيم بن محمد الحقيل)
  • خطبة: موسى عليه السلام وحياته لله عز وجل(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: العدل ضمان والخير أمان(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الورد والآس من مناقب ابن عباس (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أنين مسجد (4) وجوب صلاة الجماعة وأهميتها (خطبة)(مقالة - موقع د. صغير بن محمد الصغير)
  • عاشوراء بين ظهور الحق وزوال الباطل (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • على ضفاف عاشوراء {ودمرنا ما كان يصنع فرعون وقومه} (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: يكفي إهمالا يا أبي(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: فتنة التكاثر(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • ستولاك تستعد لانطلاق النسخة الثالثة والعشرين من فعاليات أيام المساجد
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي
  • بعد 14 عاما من البناء.. افتتاح مسجد منطقة تشيرنومورسكوي
  • مبادرة أكاديمية وإسلامية لدعم الاستخدام الأخلاقي للذكاء الاصطناعي في التعليم بنيجيريا
  • جلسات تثقيفية وتوعوية للفتيات المسلمات بعاصمة غانا
  • بعد خمس سنوات من الترميم.. مسجد كوتيزي يعود للحياة بعد 80 عاما من التوقف

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 21/1/1447هـ - الساعة: 14:34
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب