• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    صفة الوضوء
    تركي بن إبراهيم الخنيزان
  •  
    التمييز بين «الرواية» و«النسخة» في «صحيح البخاري»
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    أسماء الله الحسنى من خلال الجزء (السابع والعشرون) ...
    أبو عامر محمد نور حكي السلفي
  •  
    شرح متن طالب الأصول: (1) معنى البسملة
    أبو الحسن هشام المحجوبي ويحيى بن زكرياء ...
  •  
    من أقوال السلف في أسماء الله الحسنى: (القريب، ...
    فهد بن عبدالعزيز عبدالله الشويرخ
  •  
    قبسات من علوم القرآن (3)
    قاسم عاشور
  •  
    من دعاء الرسول صلى الله عليه وسلم
    الشيخ محمد جميل زينو
  •  
    اتقوا الأرحام
    أ. د. زكريا محمد هيبة
  •  
    ورع وإخلاص طلاب علم الأمس... مشاعل تنير دروب ...
    نوال محمد سعيد حدور
  •  
    {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)
    د. محمود بن أحمد الدوسري
  •  
    تفسير قوله تعالى: {يا أيها الذين آمنوا إن تطيعوا ...
    سعيد مصطفى دياب
  •  
    إزالة الغفلة (خطبة)
    الشيخ د. إبراهيم بن محمد الحقيل
  •  
    اتقوا فتنة التبرج
    د. لحرش عبد السلام
  •  
    كثرة تلاوته صلى الله عليه وسلم القرآنَ على فراشه ...
    الشيخ أ. د. عرفة بن طنطاوي
  •  
    عمى البصيرة يورد المهالك
    د. عبدالرحمن بن سعيد الحازمي
  •  
    شرح أحاديث الطهارة
    لطيفة بنت عبداللطيف
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: أحاديث عن شر الخبيث (1) - باللغة البنغالية

خطبة: أحاديث عن شر الخبيث (1) - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 28/4/2024 ميلادي - 20/10/1445 هجري

الزيارات: 2114

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ শাইতানের অনিষ্ট সম্পর্কে হাদীসসমূহ

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله المتُعالي عن الأنداد، المتُنزِّهِ عن الصاحِبةِ والأوْلاد، قَدَّرَ ما كان وما يكونُ من الضَّلال والرَشاد، وأشهد أنْ لا إِله إِلاَّ الله وحدَه لا شريكَ له الملكُ الرَّحيمُ بالعباد، وأشهد أنَّ محمدًا عبده ورسولهُ المبعوث إلى جميعِ الخلْق في كلِّ البلاد، صلَّى الله وسلم عليه وعلى جميع الآلِ والأصْحابِ والتابعينَ لهم بإحَسانٍ إلى يوم التَّنَاد.

 

আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বনের ওসিয়ত করছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে, তার অন্তর পরিতৃপ্ত হবে এবং তার জীবন সুখী হবে।

﴿ مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ ﴾[النحل: 97].

 

অর্থঃ (মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব। আর অবশ্যই আমরা তাদেরকে তারা যা করত তার তুলনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিদান দেব)।

 

পরম করুণাম আল্লাহর বান্দারা! জান্নাত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও খুশিই সর্বশ্রেষ্ঠ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, কিন্তু শয়তান আমাদের তা থেকে বঞ্চিত করার জন্য খুব তৎপর থাকে। জাহান্নাম এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস, কিন্তু শয়তান সক্রিয়ভাবে কাজ করে আমাদের এই ক্ষতির শিকার হওয়ার জন্য। এই কারণেই শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়ার কথা বিভিন্ন আয়াতে এসেছে। আর বহু হাদীসে শয়তানের শত্রুতা স্পষ্ট করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে এর থেকে হেফাজত করুন। আসুন আমরা লাঞ্ছিত শয়তানের কুফল সম্পর্কিত কিছু হাদিস আলোচনা করি!

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এই শত্রুতার কথা জানিয়েছেন, যা সৃষ্টির শুরু থেকে আমাদের পেছনে লেগে আছে। হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এমন কোন নবভূমিষ্ঠ সন্তান নেই যাকে শয়তান স্পর্শ করে না। আর সে নবজাত সন্তান শাইতানের স্পর্শে কান্নাকাটি শুরু করে, কেবল মারইয়াম পুত্র এবং তার মা ব্যতীত। তারপর আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন, তোমাদের ইচ্ছে হলে পড়োঃ "অবশ্যই আমি অভিশপ্ত শাইতান থেকে তার ও তার বংশধরদের জন্য তোমার শরণাপন্ন হচ্ছি"- (সূরা আ-লি ইমারান ৩ঃ ৩৬)। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেন।

 

আল্লাহর বান্দারা! শয়তান একজন ব্যক্তির সাথে ঘুমানো, খাওয়া-দাওয়া সব সময় থাকতে চাই। হাদীসে এসেছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশের এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শাইতান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে- তোমাদের (এখানে) রাত্রি যাপনও নেই, খাওয়াও নেই। আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন শইতান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শাইতান) বলে, তোমাদের নিশি যাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো। (হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন)।

 

এ হাদিসে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, খাওয়া ও ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পাঠ করতে হবে। অন্য হাদিসে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, খাবার লোকমা যদি পড়ে যায় তা তুলে নিয়ে খেতে হবে এবং শয়তানের জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। হাদিসের শব্দ হচ্ছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (শাইতান তোমাদের সকল কাজ-কর্মে উপস্থিত হয়। এমনকি তোমাদের কারো খাবারের সময়ও সে উপস্থিত হয়। সুতরাং তোমাদের যদি কারো লোকমা মাটিতে পড়ে যায়, সে যেন তাতে লেগে যাওয়া আবর্জনা সরিয়ে তা খেয়ে ফেলে। শাইতানের জন্য যেন ফেলে না রাখে)।

 

আল্লাহর বান্দারা! তাওহীদের পর নামাজ হল সবচেয়ে বড় ইবাদত। তাই শয়তান ইবাদতকারীকে নামাযে কুমন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করে। সহীহ মুসলিম এসেছে: উসমান ইবনু আবুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! শায়ত্বন (শয়তান) আমার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও ক্বিরাআতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সে আমার মনে সন্দেহ-সংশয় তৈরি করে দেয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐটা একটা শায়ত্বন যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। যখন তোমার তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তা হতে তুমি আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় চাইবে এবং বামদিকে তিনবার থু থু ফেলবে। [‘উসমান (রাঃ) বলেন] আমি [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী] এরূপ করলে আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট হতে শায়ত্বন (শয়তান) দূর করে দেন)।   (এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন)

 

আল্লাহর বান্দারা! তাওহীদের পর নামাজ হল সবচেয়ে বড় ইবাদত। তাই শয়তান ইবাদতকারীকে নামাযে কুমন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করে। সহীহ মুসলিম এসেছে: উসমান ইবনু আবুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! শায়ত্বন আমার নামায ও ক্বিরাআতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সে আমার মনে সন্দেহ-সংশয় তৈরি করে দেয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐটা একটা শায়ত্বন যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। যখন তোমার তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তা হতে তুমি আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় চাইবে এবং বামদিকে তিনবার থু থু ফেলবে। [‘উসমান (রাঃ) বলেন] আমি এরূপ করলে আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট হতে শায়ত্বন (শয়তান) দূর করে দেন)। (এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন)

 

অন্য হাদীসে এসেছে

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (যখন সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শোনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের জন্য ইক্বামাত বলা হয়, তখন আবার দূরে সরে যায়। ইক্বামাত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং বলে এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে মনে করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সে কয় রাক‘আত সালাত আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না)। বুখারী ও মুসলিম

 

মুমিন ভাইয়েরা! শয়তান মানুষের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করতে এবং বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শত্রুতার বীজ বপন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সুতরাং হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ইবলীস পানির উপর তার আরশ স্থাপন করে, অতঃপর তার বাহিনী প্রেরণ করে। তন্মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জনকারী সে-ই যে সবচেয়ে বেশী ফিতনাহ সৃষ্টিকারী। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক অমুক কাজ করেছি। সে বলে, তুমি কিছুই করনি। অতঃপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সাথে আমি সকল প্রকার ধোকার আচরণই করেছি। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীকে আলাদা করে দিয়েছি। তারপর শাইতান (শয়তান) তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে হ্যাঁ, তুমি খুব ভাল)।

 

অন্য হাদীসে এসেছে,

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (আরব ভূখণ্ডে মুসল্লীগণ শাইতানের (শয়তানের) উপাসনা করবে, এ বিষয়ে শাইতান (শয়তান) নিরাশ হয়ে পড়েছে। তবে তাদের একজনকে অন্যের বিরুদ্ধে উসকিয়ে দেয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়নি)। হাদীস দুটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।

 

অতএব, আমাদের এই শত্রু থেকে সাবধান থাকা উচিত যে সবসময় আমাদের পেছনে লেগে থাকে। সহীহ হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই একটি শাইতান (শয়তান) নির্ধারিত আছে। সহাবাগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমার সাথেও ৷ তবে তার মুকাবিলায় আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন। এখন আমি তার সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এখন সে আমাকে কল্যাণকর বিষয় ছাড়া কক্ষনো অন্য কিছুর নির্দেশ দেয় না)। মুসলিম

 

হে আল্লাহ! আমরা শয়তান ও শিরকের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই, হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের পথ অনুসরণ থেকে রক্ষা করুন।আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল।

 

দ্বিতীয় খুৎবাঃ

الحمد لله القائل: ﴿ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا ﴾ [النساء: 76] وصلى الله وسلم على نبيه الذي أرشدنا وعلَّمنا ما يحفظنا من الشياطين، وعلى آله وأصحابه والتابعين ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين.

ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখেই দু’ব্যক্তি গালাগালি করছিল। আমরাও তাঁর কাছেই উপবিষ্ট ছিলাম, তাদের একজন অপর জনকে এত রেগে গিয়ে গালি দিচ্ছিল যে, তার চেহারা রক্তিম হয়ে গিয়েছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি একটি কালিমা জানি, যদি এ লোকটি তা পড়তো, তবে তার রাগ দূর হয়ে যেত। অর্থাৎ যদি লোকটি ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশশাইত্বনির রাজীম’ পড়তো)। মুসলিম

 

কত বালা-মুসীবত এমন আছে যা রাগের গর্ভ থেকে জন্ম হয়!

 

হে মুমিন ভাইয়েরা! শয়তান ঘুমন্ত অবস্থায়ও তাকে ছাড়ে না! যদি ভয়ানক স্বপ্নের মাধ্যমে তাকে কষ্ট দেওয়ার ক্ষমতা তার থাকে তবে সে অবশ্যই তা করবে' হাদীসের এসেছেঃ "সৎ ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কেউ যখন ভয়ানক মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু ফেলে আর শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। তা হলে এমন স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না"। বুখারী ও মুসলিম।

 

শয়তানের প্রয়াস হলো ঘুমন্ত ব্যক্তিকে তার নামাজ থেকে গাফিল করা। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাদংশে তিনটি গিঠ দেয়। প্রতি গিঠে সে এ বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাক। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহ্কে স্মরণ করে একটি গিঠ খুলে যায়, পরে উযূ করলে আর একটি গিঠ খুলে যায়, অতঃপর সালাত আদায় করলে আর একটি গিঠ খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয়, উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে উঠে কলূষ কালিমা ও আলস্য সহকারে"। বুখারী ও মুসলিম

 

হে ঈমানদারগণ! শয়তানের চক্রান্ত খুবই বিপজ্জনক, কিন্তু তা এতটাই দুর্বল যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার সামনে তার কিছুই চলে না।

 

﴿ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ﴾ [النحل: 99]

অনুবাদঃ নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও তাদের রবেরই উপর নির্ভর করে তাদের উপর তার কোনো আধিপত্য নেই ।

 

আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে এবং তাঁকে স্মরণ করলে শয়তান পালিয়ে যায়। রাসূলের সুন্নাতে এমন অনেক দোয়া রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন। উদাহরণস্বরূপ এই হাদিস: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে লোক একশ’বার এ দু‘আটি পড়বেঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

 

(অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান)। তাহলে.... ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে সুরক্ষিত থাকবে"। বুখারী ও মুসলিম

 

সেই মত এই হাদীসটিঃ ‘‘যে ব্যক্তি সবীয় গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ (অর্থাৎ আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা এবং পুণ্য করা সম্ভব নয়।) তাকে বলা হয়, ‘তোমাকে সঠিক পথ দেওয়া হল, তোমাকে যথেষ্টতা দান করা হল এবং তোমাকে বাঁচিয়ে নেওয়া হল।’ আর শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।’’ আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।

 

সেই মত এই হাদীসটিঃ "তোমাদের ঘরসমূহকে কবর সদৃশ করে রেখো না (অর্থাৎ নাফল সলাতসমূহ বাড়ীতে আদায় করবে, কারণ যে ঘরে সূরাহ বাক্বারাহ পাঠ করা হয় শাইতান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়"। মুসলিম

 

অনুরূপভাবে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করা, আর খাওয়া-দাওয়া, ঘরে প্রবেশ, টয়লেটে যাওয়া এবং সহবাসের সময় বিসমিল্লাহ অর্থাৎ দুআ বলার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন, যেমনটি সহীহ হাদীসে উল্লেখ আছে।

 

শেষ কথাঃ জাগ্রততা এবং ঘুম, খাদ্য ও পানীয়, দুআ এবং ইবাদত, সম্পর্ক এবং লেনদেন, কারণ প্রতিটি পরিস্থিতিতে শয়তান আমাদের আক্রমণ এবং সুযোগ খুঁজছে। অতএব, আমাদের উচিত সেই পবিত্র সত্তার কাছে সাহায্য চাওয়া, যিনি এটি করতে সক্ষম এবং আমাদের উচিত আল্লাহকে স্মরণ করা, আমাদের ঈমানকে মজবুত রাখা এবং শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। সাবধান যে শয়তান আমাদেরকে বিভ্রান্তিতে ব্যস্ত এবং আমরা তার থেকে গাফেল! নবীজির উপর দরূদ ও সালাম পাঠ করুন।

 

হাসসাম বিন আব্দুল আযীয আল জিবরীন

অনুবাদঃ আব্দুর রাহমান

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • أحاديث عن شر الخبيث (1)
  • أحاديث عن شر الخبيث (2) (خطبة)
  • أحاديث عن شر الخبيث (1) (باللغة الهندية)
  • خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية
  • خطبة: أحاديث عن شر الخبيث (1) (باللغة النيبالية)
  • احذر مظالم الخلق (خطبة) - باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • إزالة الغفلة (خطبة)(مقالة - موقع الشيخ إبراهيم بن محمد الحقيل)
  • خطبة: موسى عليه السلام وحياته لله عز وجل(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: العدل ضمان والخير أمان(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الورد والآس من مناقب ابن عباس (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أنين مسجد (4) وجوب صلاة الجماعة وأهميتها (خطبة)(مقالة - موقع د. صغير بن محمد الصغير)
  • عاشوراء بين ظهور الحق وزوال الباطل (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • على ضفاف عاشوراء {ودمرنا ما كان يصنع فرعون وقومه} (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: يكفي إهمالا يا أبي(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: فتنة التكاثر(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • ستولاك تستعد لانطلاق النسخة الثالثة والعشرين من فعاليات أيام المساجد
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي
  • بعد 14 عاما من البناء.. افتتاح مسجد منطقة تشيرنومورسكوي
  • مبادرة أكاديمية وإسلامية لدعم الاستخدام الأخلاقي للذكاء الاصطناعي في التعليم بنيجيريا
  • جلسات تثقيفية وتوعوية للفتيات المسلمات بعاصمة غانا
  • بعد خمس سنوات من الترميم.. مسجد كوتيزي يعود للحياة بعد 80 عاما من التوقف

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 21/1/1447هـ - الساعة: 14:34
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب