• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    {وجادلهم بالتي هي أحسن}
    د. حسام العيسوي سنيد
  •  
    القمار والميسر... متعة زائفة، وعاقبة مؤلمة
    بدر شاشا
  •  
    ومضات نبوية: "يا حنظلة ساعة وساعة"
    علي بن حسين بن أحمد فقيهي
  •  
    من تجالس؟ (خطبة)
    الشيخ محمد بن إبراهيم السبر
  •  
    من درر العلامة ابن القيم عن الزهد
    فهد بن عبدالعزيز عبدالله الشويرخ
  •  
    الله البصير (خطبة) - باللغة النيبالية
    حسام بن عبدالعزيز الجبرين
  •  
    ذكر الموت زاد الحياة (خطبة)
    عبدالله بن إبراهيم الحضريتي
  •  
    تفسير: (قل إن ربي يقذف بالحق علام الغيوب)
    تفسير القرآن الكريم
  •  
    تخريج حديث: أن رجلا مر على النبي صلى الله عليه ...
    الشيخ محمد طه شعبان
  •  
    الحديث الرابع عشر: المحافظة على أمور الدين وسد ...
    الدكتور أبو الحسن علي بن محمد المطري
  •  
    منزلة أولياء الله (خطبة)
    الشيخ إسماعيل بن عبدالرحمن الرسيني
  •  
    صفة العلم الإلهي
    الشيخ عبدالعزيز السلمان
  •  
    ماذا قدموا لخدمة الدين؟ وماذا قدمنا نحن؟ (خطبة)
    أبو سلمان راجح الحنق
  •  
    فقه مرويات ضرب الزوجة في السنة النبوية
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    الشرط السابع من شروط الصلاة: ستر العورة
    يوسف بن عبدالعزيز بن عبدالرحمن السيف
  •  
    من أدلة صدقه عليه الصلاة والسلام: عظمة أخلاقه
    الشيخ عبدالله محمد الطوالة
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: بين النفس والعقل (3) تزكية النفس - باللغة البنغالية

خطبة: بين النفس والعقل (3) تزكية النفس - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 28/8/2024 ميلادي - 23/2/1446 هجري

الزيارات: 2633

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ নাফস এবং বুদ্ধির মাঝে (3)

প্রথম খুৎবা


إن الحمد لله، نحمده ونستعينه ونستغفره، ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا، من يهده الله فلا مضل له، ومن يضلل فلا هادي له، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله.


হামদ ও সালাতের পর!


আমি আপনাকে এবং নিজেকে তাকওয়া অবলম্বন করার অসিয়ত করছিঃ

﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا * يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ﴾ [الأحزاب: 70، 71].

অর্থঃ (হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সঠিক কথা বল, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন । আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে)।


হে মুমিনগণ! গত শুক্রবারের খুতবায় আমরা আত্মা ও তার কামনা-বাসনা নিয়ে কথা বলেছিলাম এবং আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল আত্মার পবিত্রতা এবং তাদের পরিশুদ্ধি। যারা তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে তাদের জন্য আল্লাহ জান্নাত পুরষ্কার হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ مَنْ تَزَكَّى ﴾ [طه: 76]

অর্থঃ (স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এটা তাদেরই পুরস্কার যারা পরিশুদ্ধ হয়)।


তাযকিয়াহ এর দুটি অর্থ রয়েছে: প্রথম: পরিশুদ্ধ করা এবং অপবিত্রতা দূর করা। দ্বিতীয়: নিজের মধ্যে কল্যাণের বিকাশ।


আল্লাহর বান্দারা! আনুগত্য ও ইবাদত করা, অবাধ্যতা পরিত্যাগ করা এবং তা থেকে তওবা করলে আত্মা পবিত্র হবে। কিছু কিছু ইবাদত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। তাই আল্লাহতায়ালা দান-খয়রাত সম্পর্কে বলেছেন।


﴿ خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا ﴾ [التوبة: 103]

অর্থঃ (আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহন করুন । এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন ।)


আল্লাহর যিকর ও নামায সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّى * وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى ﴾ [الأعلى: 14، 15].

অর্থঃ (অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে যে পরিশুদ্ধ হয়। এবং তার রবের নাম স্মরণ করে ও সালাত কায়েম করে)।


এছাড়াও দৃষ্টিকে অবনত রাখা এবং চারিত্রিক উৎকর্ষতা অবলম্বন করার ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন:

﴿ قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ ﴾ [النور: 30]

অর্থঃ (মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে ; এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র)।


আল্লাহর বান্দারা! নফসকে পরিশুদ্ধ করা এবং তার স্বভাব ও আকাঙ্ক্ষার উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের উপায় উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিম্নরূপ:

ঈমানের শক্তি, ঈমান যখন মজবুত হয় তখন তা আত্মার প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আত্মাকে বুদ্ধির উপর প্রাধান্য দিতে দেয় না, কেননা হুকুম ও নিষেধের ক্ষেত্রে আল্লাহর অধিকার কি তা ঈমানদারের জানা আছে।


নফসকে আয়ত্ত করার উপায়গুলির মধ্যে রয়েছে: জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা, কারণ এই দুটিই নাফসের লালসাকে দমন করে, একজন ব্যক্তি যত বেশি তার লালসার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হয়, তত বেশি সে নিজেকে এই লালসা থেকে বিরত রাখে।


আত্মাশুদ্ধির অন্যতম আরেকটি উপায়: নফসের জবাবদিহিতা করা। নফসকে জবাবদিহি করতে এবং অধিকার লঙ্ঘন করলে নফসের বিরোধিতা করতে যা সাহায্য করে তা হল: তার জানা উচিত যে আজ সে তার সাথে লড়াই করার জন্য যতটা কঠোর পরিশ্রম করে আগামীকাল সে স্বস্তি পাবে এবং এই ব্যবসার লাভ হলো সে জান্নাতুল ফিরদাউস লাভ করবে।


নফসের উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনে সহায়ক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: নফসকে পরিশুদ্ধ করতে এবং এর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার জন্য নফসের স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা ও সাহায্য চাওয়া।


নবী (সাঃ) এই দোয়া করতেন:

((اللهم آتِ نفسي تقواها، وزكها أنت خير من زكاها، أنت وليها ومولاها))

অর্থঃ (হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে পরহেযগারিতা দান করুন এবং একে সংশোধন করে দিন। আপনি একমাত্র সর্বোত্তম সংশোধনকারী এবং আপনিই একমাত্র তার মালিক ও আশ্রয়স্থল)।


আবূ বাকর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছুর হুকুম দিন যা আমি সকালে ও বিকেলে উপনীত হয়ে বলতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি বল, "আল্লাহুম্মা ফাতিরিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, আলিমিল গইবী ওয়াশ শাহাদাতি, রব্বি কুল্লি শাইয়্যিন ওয়া মালিকাহু, আশহাদু আন লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, আউযুবিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া মিন শাররিশ শায়তানি ওয়া শিরকিহ।”


অর্থঃ “হে আল্লাহ! অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাত, আকাশ ও যামীনের সৃষ্টিকর্তা, প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক, আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ছাড়া কোন মা'বূদ নেই। আমি আমার শরীরের ক্ষতি হতে এবং শাইতানের ক্ষতি ও শিরকি কার্যকালাপ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এই দু’আ সকালে, বিকেলে ও শয্যা গ্রহণকালে পাঠ করবে। (এটি আহমাদ, নাসাঈ, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন)।


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাতুল হাজাতে এটি পাঠ করতেন: "আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের মন্দ কাজসমূহ হতে আশ্রয় চাই"।


আত্মাশুদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হল: পাক ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং উত্তম সঙ্গ, তাই যে হাদিসে উল্লেখ আছে যে এক ব্যক্তি একশত পুরুষকে হত্যা করার পর তাওবা করল এবং আলেম তাকে বললেন: (তুমি অমুক দেশে যাও। সেখানে কিছু লোক আল্লাহর ইবাদাতে নিমগ্ন আছে। তুমিও তাদের সাথে আল্লাহর ইবাদাতে লিপ্ত হও। নিজের ভূমিতে আর কক্ষনো প্রত্যাবর্তন করো না। কেননা এ দেশটি ভয়ঙ্কর খারাপ)। মুসলিম


সুমামাহ ইবনু উসাল নামক বনু হানীফার এক লোককে যখন মসজিদে নাববীর একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় তখন নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে গিয়ে বললেন, "ওহে সুমামাহ! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে উত্তর দিল, হে মুহাম্মাদ! আমার কাছে তো ভালই মনে হচ্ছে। যদি আমাকে হত্যা করেন তাহলে আপনি একজন খুনীকে হত্যা করবেন। আর যদি আপনি অনুগ্রহ করেন তাহলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুগ্রহ করবেন। আর যদি আপনি অর্থ সম্পদ পেতে চান তাহলে যতটা ইচ্ছা দাবী করুন। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেই অবস্থার উপর রেখে দিলেন। এভাবে পরের দিন আসল। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার তাকে বললেন, ওহে সুমামাহ! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে বলল, আমার কাছে সেটিই মনে হচ্ছে যা আমি আপনাকে বলেছিলাম যে, যদি আপনি অনুগ্রহ করেন তাহলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করবেন। তিনি তাকে সেই অবস্থায় রেখে দিলেন। এভাবে এর পরের দিনও আসল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে সুমামাহ! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে বলল, আমার কাছে তা-ই মনে হচ্ছে যা আমি পূর্বেই বলেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সুমামাহর বন্ধন ছেড়ে দাও। তারপর তিনি মসজিদের নিকটবর্তী একটি খেজুর গাছের নিকট গেলেন। সেখানে তিনি গোসল করলেন। এরপর মাসজিদে প্রবেশ করে বললেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তার বান্দা ও তার রসূল"।


ইসলামের আগে, সুসামাহ মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বিশুদ্ধ এবং দীনি পরিবেশে তার সময় কাটাতেন, যেখানে নামাজ কায়েম হয়েছিল, আযান দেওয়া হয়েছিল, যিকির ও আযকার পাঠ করা হয়েছিল, কুরআন তেলাওয়াত করা হয়েছিল এবং প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, ইত্যাদি।


হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে পরহেযগারিতা দান করুন এবং একে সংশোধন করে দিন। আপনি একমাত্র সর্বোত্তম সংশোধনকারী এবং আপনিই একমাত্র তার মালিক ও আশ্রয়স্থল। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, তিনি অবশ্যই ক্ষমাশীল।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله على إحسانه، والشكر له على توفيقه وامتنانه، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله الداعي إلى رضوانه، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرًا.

 

সালাত ও সালামের পর!

ওহ আমার প্রিয়! দেহের খাবার হলো খাদ্য ও পানি আর আত্মার খাদ্য হলো ঈমান ও আল্লাহর যিকির। আর সর্বশ্রেষ্ঠ যিকির হলো পবিত্র কুরআন, এজন্যই আল্লাহ কোরআনকে রূহ বলেছেন, যেমনটি আল্লাহর এই ফরমানে রয়েছেঃ

﴿ وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا ﴾ [الشورى: 52]

অর্থঃ (আর এভাবে আমরা আপনার প্রতি আমাদের নির্দেশ থেকে রূহকে ওহী করেছি)।


আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেনঃ

﴿ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ ﴾

অর্থঃ (যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহ্‌র স্মরণে যাদের মন প্রশান্ত হয়; জেনে রাখ, আল্লাহ্‌র স্মরণেই মন প্রশান্ত হয়)।


কিন্তু যখন আত্মা যিকির থেকে খালি থাকে এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরে যায়, তখন সে বক্রতার শিকার হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا ﴾ [طه: 124]

অর্থঃ (আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ থাকবে, নিশ্চয় তার জীবন-যাপন হবে সংকুচিত)।


এটা আল্লাহর রহমত ও প্রজ্ঞা যে তিনি তার বান্দাদের জন্য সংযম ও ভারসাম্য বিধিবদ্ধ করেছেন এবং নফসকে তার শক্তির বাইরে বাধ্য করেননি, যেমনটি হাদিসে আছে: "আপনার প্রতিপালকের হাক্ব আপনার উপর আছে। আপনার নিজেরও হাক্ব আপনার উপর রয়েছে। আবার আপনার পরিবারেরও হাক্ব রয়েছে। প্রত্যেক হাক্বদারকে তার হাক্ব প্রদান করুন"। (বুখারী)


হে আমার প্রিয় বন্ধুরা! মানুষকে এটা আদেশ করা হয়েছে সে যেন তার আত্মাকে মন্দ ব্যাধি থেকে রক্ষা করে; যেমন রাগ, দুঃখ এবং একঘেয়েমি, যা কোন উপকার করে না এবং কোন ক্ষতি দূর করে না। পবিত্র কুরআনের অনেক জায়গায় নবীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শোক ও দুঃখ থেকে নিষেধ করা হয়েছে:

﴿ وَلَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ ﴾ [آل عمران: 176]

অর্থঃ (যারা কুফরীতে দ্রুতগামী, তাদের আচরণ যেন আপনাকে দুঃখ না দেয়)।


﴿ وَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ ﴾ [يونس: 65]

অর্থঃ (আর তাদের কথা আপনাকে যেন চিন্তিত না করে)।


﴿ وَمَنْ كَفَرَ فَلَا يَحْزُنْكَ كُفْرُهُ ﴾ [لقمان: 23]

অর্থঃ (আর যে কুফরী করল তার কুফরী আপনাকে যেন কষ্ট না দেয়)।


আর মারইয়াম (আঃ) কে এটা বলা হয়েছিল


﴿ أَلَّا تَحْزَنِي ﴾ [مريم: 24]

অর্থঃ (তুমি চিন্তা করো না)।


আল্লাহ তা‘আলা আমাদের গোপন পরামর্শ করার পিছনে থাকা শাইতান সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন:

﴿ إِنَّمَا النَّجْوَى مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا ﴾ [المجادلة: 10]

অর্থঃ (গোপন পরামর্শ তো কেবল শয়তানের প্ররোচনায় হয় মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্য)।


মনের শান্তি একটি বড় নেয়ামত। কারণ মনের শান্তির উপর নির্ভর করে বুদ্ধি এবং শরীর তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারে। তাই শোক ও দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া এমন একটি নেয়ামত যার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিবঃ

﴿ وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ ﴾ [فاطر: 34]

অর্থঃ (এবং তারা বলবে, 'প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরিভূত করেছেন)।


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখ-চিন্তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন যেমন সহীহ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে। যে ব্যক্তি দুঃখিত হয় এবং তার দুঃখ হারাম কিছুর সাথে মিশ্রিত হয় না, তাহলে সে পাপী নয়। উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তি কষ্টের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যেমন হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছেঃ (শুনে রাখ! নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা‘আলা চোখের পানি ও অন্তরের শোক-ব্যথার কারণে ‘আযাব দিবেন না। তিনি ‘আযাব দিবেন এর কারণে (এ বলে) জিহ্বার দিকে ইঙ্গিত করলেন)। বুখারী ও মুসলিম


এই সম্পর্কেই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ وَتَوَلَّى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا أَسَفَى عَلَى يُوسُفَ وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ ﴾ [يوسف: 84]

অর্থঃ (আর তিনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, ‘আফসোস ইউসুফের জন্য।’ শোকে তার চোখ দু’টি সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি ছিলেন সংবরণকারী)।


ইবনে তাইমিয়া, ঈশ্বর তাঁর প্রতি রহম করতে পারেন, বলেছেন: "দুঃখ-কষ্টের সাথে এমন আমল থাকতে পারে যার জন্য বান্দা সাওয়াব পায়, তার প্রশংসা করা হয়। এ দিকদিয়ে সে প্রশংসার যোগ্য, দুঃখের কারণে নয়। যেমন যে ব্যক্তি তার ধর্মীয় দুরবস্থার কারণে হতাশাগ্রস্ত এবং সাধারণ মুসলমানদের দুঃখ-কষ্টে ব্যথিত হয়, তাহলে এমন ব্যক্তির অন্তরে কল্যাণের যা ভালোবাসা ও মন্দ এবং এর পরিণতির প্রতি ঘৃণা রয়েছে, তার জন্য সে সাওয়াব পাবে। কিন্তু যদি দুঃখ-কষ্টের কারণে ধৈর্য ও জিহাদ, উপকার ও ক্ষতি দূরীকরণের মতো ফরজ আদেশগুলো পরিত্যাগ করা জরুরি হয়ে পড়ে, তখন সেক্ষেত্রে শোক করা হারাম হবে। (ফাতাওয়া 10/16)

والنفس كالطفل إن تهمله شب على
حب الرضاع وإن تفطمه ينفطمِ
وخالف النفس والشيطان واعصهما
وإن هما محضاك النصح فاتهمِ
ولا تطع منهما خصمًا ولا حكمًا
فأنت تعرف كيد الخصم والحكمِ
أستغفر الله من قول بلا عمل
لقد نسبتُ به نسلًا لذي عقمِ

 

অর্থঃ নফস একটি শিশুর মতো, যদি আপনি এটি ছেড়ে দেন তবে এটি তার বুকে শৈশবের (দুধ পানের) ভালবাসা নিয়ে তরুণ হয়ে ওঠে। এবং যদি তার দুধ ছাড়ানো হয়, তাহলে সে তা ছেড়ে দেয়। নফস এবং শয়তানকে অবজ্ঞা কর! যদি এই দু'জন তাদের পরামর্শে আন্তরিক বলে দাবি করে, তবে আপনার উচিত তাদের সন্দেহজনক বিবেচনা করা এবং তাদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। এই দু'জনের কোন শত্রুর আনুগত্য করো না, আর না কোন বিচারকেরও আনুগত্য করো। কারণ তুমি শত্রু ও বিচারক উভয়ের ছলনা জানো। আমি আমার অস্বাভাবিক কথাবার্তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমি আমার চরিত্রহীন কথাবার্তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এটি একটি বন্ধ্যার দিকে বাচ্চার সম্বোধন করার মতো।


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করুন।






 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية
  • خطبة: بين النفس والعقل (2) - باللغة البنغالية
  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس (خطبة) باللغة النيبالية
  • خطبة: لفت الأنظار للتفكر والاعتبار (1) - باللغة البنغالية
  • تزكية النفس: مفهومها ووسائلها في ضوء الكتاب والسنة وأقوال العلماء

مختارات من الشبكة

  • هضم النفس في ذات الله (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • لنصلح أنفسنا ولندع التلاوم (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • في نهاية عامكم حاسبوا أنفسكم (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • التوحيد بين الواقع والمأمول (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • زيارة القبور بين المشروع والممنوع (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين خطرات الملك وخطرات الشيطان (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • دم المسلم بين شريعة الرحمن وشريعة الشيطان (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • المسلم بين النضوج والإهمال (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أولادنا بين التعليم والشركاء المتشاكسين (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • المرأة بين الإهانة والتكريم (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • المؤتمر الدولي الخامس لتعزيز القيم الإيمانية والأخلاقية في داغستان
  • برنامج علمي مكثف يناقش تطوير المدارس الإسلامية في بلغاريا
  • للسنة الخامسة على التوالي برنامج تعليمي نسائي يعزز الإيمان والتعلم في سراييفو
  • ندوة إسلامية للشباب تبرز القيم النبوية التربوية في مدينة زغرب
  • برنامج شبابي في توزلا يجمع بين الإيمان والمعرفة والتطوير الذاتي
  • ندوة نسائية وأخرى طلابية في القرم تناقشان التربية والقيم الإسلامية
  • مركز إسلامي وتعليمي جديد في مدينة فولجسكي الروسية
  • ختام دورة قرآنية ناجحة في توزلا بمشاركة واسعة من الطلاب المسلمين

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 12/5/1447هـ - الساعة: 15:55
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب