• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    خطبة: موسى عليه السلام وحياته لله عز وجل
    د. أيمن منصور أيوب علي بيفاري
  •  
    حقوق اليتيم (1)
    د. أمير بن محمد المدري
  •  
    الإسلام كفل لأهل الكتاب حرية الاعتقاد
    الشيخ ندا أبو أحمد
  •  
    أثر الأدلة الشرعية في تحقيق مقصد حفظ الدين (دليل ...
    عمرو عبدالله ناصر
  •  
    خطبة: العدل ضمان والخير أمان
    يحيى سليمان العقيلي
  •  
    الورد والآس من مناقب ابن عباس (خطبة)
    السيد مراد سلامة
  •  
    الصلاة دواء الروح
    الشيخ إسماعيل بن عبدالرحمن الرسيني
  •  
    أنين مسجد (4) وجوب صلاة الجماعة وأهميتها (خطبة)
    د. صغير بن محمد الصغير
  •  
    عاشوراء بين ظهور الحق وزوال الباطل (خطبة)
    د. عبدالرزاق السيد
  •  
    فضل ذكر الله تعالى
    أحمد عز الدين سلقيني
  •  
    قواعد قرآنية في تربية الأبناء
    د. حسام العيسوي سنيد
  •  
    مائدة التفسير: سورة الماعون
    عبدالرحمن عبدالله الشريف
  •  
    وقفات ودروس من سورة آل عمران (3)
    ميسون عبدالرحمن النحلاوي
  •  
    ما انتقد على «الصحيحين» ورجالهما، لا يقدح فيهما، ...
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    على ضفاف عاشوراء {ودمرنا ما كان يصنع فرعون وقومه} ...
    وضاح سيف الجبزي
  •  
    وما ظهر غنى؟
    السيد مراد سلامة
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية! - باللغة البنغالية

خطبة: من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية! - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 6/10/2024 ميلادي - 3/4/1446 هجري

الزيارات: 1089

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ নবুওয়্যাতের দীপাধার থেকে (2)

প্রথম খুৎবা

 

الحمدُ لله عدد ما خلق، والحمدُ لله ملء ما خلق، الحمد لله البصيرِ التواب، الفتّاحِ الوهّاب، وأشهد ألا إله إلا الله وحده لا شريك له السميعُ الخبير، المتينُ القدير، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله وصفيّه وخليله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه عدد قطر الندى وما تعاقب الإصباح والمساء.


হামদ ও সালাতের পর!

আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য অসিয়ত করছি। জীবনের এই সুযোগটি হল তাকওয়া অবলম্বন এবং নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। আমাদের জীবন সময় এবং মুহুর্তের সমষ্টি:

﴿ فَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهِ وَإِنَّا لَهُ كَاتِبُونَ ﴾ [الأنبياء: 94].

অর্থঃ কাজেই কেউ যদি মুমিন হয়ে সৎকাজ করে তার প্রচেষ্টা অস্বীকার করা হবে না এবং আমরা তো তার লিপিবদ্ধকারী।

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! নবুওয়াতের প্রদীপ থেকে আলো গ্রহণ করা কী এক চিত্তাকর্ষক প্রক্রিয়া! আর এর পরিচ্ছন্ন ঝর্ণা দিয়ে সেচ দেওয়াটা এমনই এক হৃদয়গ্রাহী কাজ! আমাদের আজকের কথোপকথনের বিষয় হল নবীর ঘটনা যা প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এক ব্যক্তির সাথে ঘটেছিল। "আমি ইসলামের এক চতুর্থাংশ ছিলাম। আমার আগে তিনজন ইসলাম গ্রহণ করেছিল। আমি চতুর্থ ব্যক্তি যে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল। আমি নবীর কাছে এসে বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! "আসসালামু আলাইকা" (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক!) আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রসূল।’ এটা শোনার সাথে সাথে আমি আপনার মুখে খুশির চিহ্ন দেখতে পেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন তুমি কে? আমি বললামঃ আমি বনী গাফফার গোত্রের একজন। (সহীহ ইবনে হিব্বান)।

 

তিনিও এই প্রথমে ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার মর্যাদাও উপভোগ করেছিলেন। নবী (সাঃ) হিজরত করার সময় আবু যারকে উপস্থিত দেখতে পেলে তার সাথে কথোপকথন শুরু করতেন এবং সফরে গেলে তার খোঁজ-খবর নিতেন। কিন্তু এই পদ ও পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে যা তাঁকে অনেক প্রভাবিত করেছিল।

 

ঘটনাটি হচ্ছে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, মা’রূর ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমরা রাবাযাহ নামক স্থানে আবূ যর (রাযিঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তার গায়ে একটি চাদর ছিল এবং তার গোলামের গায়েও অনুরূপ একটি চাদর ছিল। তখন আমরা বললাম, হে আবূ যার (রাযিঃ)! যদি আপনি উভয়টি একত্রিত করতেন, তাহলে এক জোড়া চাদর হতো। তিনি বললেন, আমার মধ্যে এবং আমার ভাই সম্পৰ্কীয় ব্যক্তিটির মধ্যে কিছু কথা আছে। তার মা একজন অনারব। একদা আমি তার মাকে উল্লেখ করে তাকে ভৎসনা করলাম। তখন সে আমার বিরুদ্ধে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নালিশ করল। এরপর যখন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম তখন তিনি বললেন, হে আবূ যার! তুমি এমন ব্যক্তি, যার মধ্যে জাহিলী যুগের কাজকর্ম রয়েছে (যে সময়ে একে অন্যের বাপ-মাকে অবজ্ঞা ও তুচ্ছজান করতো)। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যে ব্যক্তি মানুষদেরকে গালি দেয় তার প্রতি উত্তরে তারাও তার পিতা মাতাকে উল্লেখ করে গালি দেয়া স্বাভাবিক। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ যার! তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের কর্মকাণ্ড এখনও বিদ্যমান (অর্থাৎ তার মন্দ কথার বদলায় তার বাবা-মাকে গালি দেয়া অন্যায়)। তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যেমন পোশাক পরবে তাদেরকে তা পরাবে। তোমরা তাদের উপর এমন কোন কাজের ভার চাপিয়ে দিবে না, যা করতে তারা হিমশিম খেয়ে যায়। যদি তোমরা তাদেরকে কোন কাজে কষ্ট দাও, তাহলে এ কাজে তাদের সাহায্যও করো।

 

বুখারীর বর্ণনাই এসেছে: "নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি অমুককে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কি তার মা তুলে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তো এমন লোক যার মধ্যে জাহিলী যুগের স্বভাব আছে। আমি বললামঃ এখনো? এ বৃদ্ধ বয়সেও? তিনি বললেনঃ হাঁ! তারা তো তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তা‘আলা ওদের তোমাদের অধীন করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যার ভাইকে তার অধীন করে দেন, সে নিজে যা খায়, তাকেও যেন তা খাওয়ায়। সে নিজে যা পরে, তাকেও যেন তা পরায়। আর তার উপর যেন এমন কোন কাজ না চাপায়, যা তার শক্তির বাইরে। আর যদি তার উপর এমন কঠিন ভার দিতেই হয়, তাহলে সে নিজেও যেন তাকে সাহায্য করে"।

 

আমার বন্ধুরা! আসুন আমরা এই হাদিস থেকে কিছু শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করিঃ

পাঠ 1: এটা জানা যায় যে সমস্ত সাহাবীরা নবীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাই এই ব্যক্তিকে যাকে তার মায়ের প্রসঙ্গ তুলে অপমান করা হয়েছিল এবং বলে সম্বোধন করা হয়েছিল: "হে কালো মহিলার সন্তান।" তিনি নবীর ব্যক্তিকে তার নিকটতম আশ্রয়স্থল হিসাবে খুঁজে পেলেন যেখানে তিনি তাকে অপমানকারী ব্যক্তির কাছে অভিযোগ করতে পারেন। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিযোগকে গুরুত্বের সাথে নেন এবং আবু যারকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেন।

 

এই ব্যক্তির ক্রীতদাস হওয়া এবং তার রঙের ভিন্নতা তাকে নবীর কাছে যেতে এবং তার অভিযোগ পেশ করতে বাধা দেয়নি, কারণ নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত মানুষকে কাছে রাখতেন। বিবেচনা করার আরেকটি বিষয় হল: আমরা একটি কুসংস্কারপূর্ণ শ্লোগানকে জড় থেকে উপড়ে ফেলার শক্তি দেখতে পাচ্ছি যার অবশিষ্ট প্রভাব এখনও কিছু হৃদয়ে গেঁথে আছে'। যা জাহিলিয়াতের আচরণ। যেমন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু যারকে বললেনঃ তুমি তার মাকেও গালি দিয়েছ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন: "তোমার মধ্যে এখনও জাহিলিয়াতের মনোভাব রয়েছে।" আবু যার বললেন: "এমনকি যখন আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি?" তিনি বললেন: "হ্যাঁ।

 

দ্বিতীয় শিক্ষা: যে সময়ে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহিলিয়াতের শ্লোগান ধ্বংস করছিলেন, বংশ ও বর্ণ নিয়ে গর্ব করার শিকড় উপড়ে ফেলছিলেন, একই সময়ে তিনি মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির মজবুত ইমারতও গড়ে তুলছিলেন। আর এটা আপনার এই হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয়: "তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। তোমরা যা খাও তাদেরকে তা খাওয়াও এবং যা পরাও তাই তাদেরকে পরিধান কর।" তাদের সামর্থ্যের বাইরে এমন কাজের বোঝা তাদের উপর চাপিয়ে দিও না।

 

এই পাঁচটি জিনিস যা ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতির হক পূরণ করে। দাস-দাসী হলেও তাদের ভাই বলে সম্বোধনকরেছেন। তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা নিজেরা যা খায় তা তাদের খাওয়াতে এবং তারা নিজেরা যা পরে তা তাদের পরিধান করাতে। তিনি তাদেরকে তাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ দিতে নিষেধ করেছেন এবং যদি তিনি তাদেরকে এ ধরনের কাজের দায়িত্ব দেন তাহলে তিনি যেন তাদের তা সামলাতে সাহায্য করেন।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله وكفى، وسلام على عباده الذين اصطفى.

 

এ ঘটনা থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে: নবীর প্রশিক্ষণ অন্তরে আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মসম্মান, অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান সৃষ্টি করে। আপনি অমুক অমুককে গালি দিয়েছেন? আমি বললাম হ্যাঁ" আবু যার এই স্বীকারোক্তি সম্পর্কে অবগত ছিলেন, তাই তিনি ঘটনাটি বর্ণনা করার সময় বলেছিলেন: "আমার এবং আমার (মুসলিম) ভাইদের মধ্যে একটি তিক্ত কথাবার্তা হয়েছিল"। দেখা যাচ্ছে যে আত্ম-দায়িত্ব দ্বিপাক্ষিক ছিল।

 

এটাও জেনে রাখা দরকার যে, চৌদ্দশত বছর আগে নবীজি যখন সব ধরনের জাতিগত বৈষম্যকে অর্থহীন ঘোষণা করেছিলেন, সে সময় বিশ্বব্যাপী কোনো মতামত ও উদ্বেগ ছিল না, কোনো মানবাধিকার সংস্থাও ছিল না। বরং বিশ্বসমাজ তার বাস্তব জীবনে নানা ধরনের জাতিগত কুসংস্কারে ভুগছিল এবং বিশ্ব সভ্যতা চৌদ্দ শতাব্দী পর এই নববী নির্দেশনায় খুশি হয়েছিল।

 

শেষ কথা হলো: আবু যার রা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা শুনে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি সর্বশক্তি দিয়ে নবীর নির্দেশ মেনে চলেন। তাই তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত রাবাযায় বসবাস করেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তা সত্ত্বেও তিনি আনুগত্যের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই যখন তিনি ঘটনাটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: "আমার এবং আমার (মুসলিম) ভাইদের মধ্যে একটি তিক্ত বিরোধ ছিল।" এছাড়াও, তিনি নিজের এবং তার দাসের মধ্যে হুল্লা (বস্ত্র) ভাগ করে দিয়েছিলেন এবং শুধুমাত্র (মৌখিক) সান্ত্বনাকে যথেষ্ট মনে করেন নি।

 

সাহাবায়ে কেরাম রাসুলের হুকুম ও নির্দেশনা পালন করার ক্ষেত্রে এমনই নৈতিকতার পরিচয় দিতেন এবং তারপর দৃঢ়ভাবে তার আদেশ পালন করতেন। যার ফলে আপনার হুকুম-আহকাম পূর্ণ শক্তি ও সতর্কতার সাথে তাদের নৈতিকতা ও আচরণে সমৃদ্ধ হয়ে যেত এবং তাদের হৃদয় সবসময় জীবিত থাকত! আল্লাহ যেন এই সকল সাহাবীদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং আমাদের প্রতিও সন্তুষ্ট হন।

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية!
  • من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية! (باللغة الهندية)
  • خطبة: من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية! (باللغة الإندونيسية)
  • من مشكاة النبوة (2) فيك جاهلية! (خطبة) - باللغة النيبالية

مختارات من الشبكة

  • خطبة: موسى عليه السلام وحياته لله عز وجل(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: العدل ضمان والخير أمان(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الورد والآس من مناقب ابن عباس (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أنين مسجد (4) وجوب صلاة الجماعة وأهميتها (خطبة)(مقالة - موقع د. صغير بن محمد الصغير)
  • عاشوراء بين ظهور الحق وزوال الباطل (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • على ضفاف عاشوراء {ودمرنا ما كان يصنع فرعون وقومه} (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: يكفي إهمالا يا أبي(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: فتنة التكاثر(مقالة - آفاق الشريعة)
  • تدخل عمها أفسد الخطبة(استشارة - الاستشارات)
  • خطبه الجمعة 31-6-1439 طلوع الشمس وخروج الدابة(محاضرة - موقع د. علي بن عبدالعزيز الشبل)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي
  • بعد 14 عاما من البناء.. افتتاح مسجد منطقة تشيرنومورسكوي
  • مبادرة أكاديمية وإسلامية لدعم الاستخدام الأخلاقي للذكاء الاصطناعي في التعليم بنيجيريا
  • جلسات تثقيفية وتوعوية للفتيات المسلمات بعاصمة غانا
  • بعد خمس سنوات من الترميم.. مسجد كوتيزي يعود للحياة بعد 80 عاما من التوقف
  • أزناكايفو تستضيف المسابقة السنوية لحفظ وتلاوة القرآن الكريم في تتارستان
  • بمشاركة مئات الأسر... فعالية خيرية لدعم تجديد وتوسعة مسجد في بلاكبيرن

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 19/1/1447هـ - الساعة: 14:30
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب