• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    أصول الاستدلال في تفسير الأحلام (PDF)
    سعيد بن علي بن محمد بواح الصديق
  •  
    خطبة: عيد الأضحى 1446 هـ
    أبو عمران أنس بن يحيى الجزائري
  •  
    حقوق الزوجة على زوجها (1)
    د. أمير بن محمد المدري
  •  
    شموع (110)
    أ.د. عبدالحكيم الأنيس
  •  
    إيذاء موسى عليه السلام: قراءة تفسيرية وتحليلية
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    حين يجمع الله ما تفرق بالدعاء
    عبدالله بن إبراهيم الحضريتي
  •  
    وقفات ودروس من سورة آل عمران (2)
    ميسون عبدالرحمن النحلاوي
  •  
    من مائدة الفقه: فروض الوضوء
    عبدالرحمن عبدالله الشريف
  •  
    حديث: أدركت بضعة عشر رجلا من أصحاب رسول الله صلى ...
    الشيخ عبدالقادر شيبة الحمد
  •  
    أهمية وثمرات الإيمان باليوم الآخر
    سالم محمد أحمد
  •  
    الفرق بين قوله تعالى في أبواب الجنة: {وفتحت}، ...
    غازي أحمد محمد
  •  
    خطبة: شكوى الآباء من استراحات الشباب
    عدنان بن سلمان الدريويش
  •  
    خطبة: الحج قصة وذكرى وعبرة
    مطيع الظفاري
  •  
    خطبة: الرشد أعظم مطلب
    يحيى سليمان العقيلي
  •  
    السنة في حياة الأمة (1)
    عبدالعظيم المطعني
  •  
    خطبة: عاشوراء
    الشيخ الدكتور صالح بن مقبل العصيمي ...
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية

خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 17/4/2024 ميلادي - 9/10/1445 هجري

الزيارات: 3342

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ নাফস এবং বুদ্ধির মাঝে

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله العزيز الغفار، الرحيم الجبار، القدير القهار، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، لا غنى إلا بالافتقار لرحمته، ولا عز إلا بالتذلل لعظمته، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، وأمينه على وحيه، وسفيره بينه وبين عباده، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرا.


হামদ ও সালাতের পর!

আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার অসিয়ত করছি। আমাদের জীবন হল বীজ বপন এবং ফসল রোপণের সময়, এবং যেদিন আমরা আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করব, সেদিনই আমরা তার ফল ও ফসল পাব, আল্লাহ বলেন:

﴿ يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُحْضَرًا وَمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوءٍ تَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ أَمَدًا بَعِيدًا وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ ﴾[آل عمران: 30]

অর্থঃ (যেদিন প্রত্যেকে সে যা ভাল আমল করেছে এবং সে যা মন্দ কাজ করেছে তা উপস্থিত পাবে, সেদিন সে কামনা করবে- যদি তার এবং এর মধ্যে বিশাল ব্যবধান থাকত! আল্লাহ্‌ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন। আর আল্লাহ্‌ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল)।


পরম করুণাময়ের বান্দারা!মানুষের মধ্য থেকে কোনো মহান ব্যক্তি এসে তিনবার শপথ করে কথা বললঃ লোকেরা তার কথা শোনার জন্য ঘাড় তুলে নিবে এবং তাদের নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ের চেয়ে তার কথার প্রতি বেশি মনোযোগ দিবে। আল্লাহর বান্দাগণ! আমি আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন পেশ করছি: পবিত্র কুরআনে আল্লাহর দীর্ঘতম শপথ কোনটি? এবং তা কি সম্পর্ক আছে? এগারোটি ধারাবাহিকভাবে শপথ করার পর হয়েছে, এই উত্তরটি এসেছেঃ

﴿ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا * وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا ﴾ [الشمس: 9، 10]

অনুবাদঃ (সে-ই সফলকাম হয়েছে, যে নিজেকে পবিত্র করেছে। আর সে-ই ব্যর্থ হয়েছে, যে নিজেকে কলুষিত করেছে)।


আল্লাহ যে বিষয়ের কসম করেছেন তার মধ্যে নফসও অন্তর্ভুক্ত। প্রিয় শ্রতামন্ডলী! আল্লাহ মানুষের মধ্যে বুদ্ধি ও আত্মা সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ বুদ্ধিকে সৃষ্টি করেছেন সরল পথ দেখানোর জন্য, চিন্তা করার জন্য এবং তার মালিককে সঠিক পথ দেখানোর জন্য। তবে আত্মাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছা করার জন্য। তাই আত্মা ভালবাসে ও ঘৃণা করে, সুখী ও দুঃখী হয় এবং সন্তুষ্ট ও রাগান্বিত হয়। অন্যদিকে বুদ্ধির কাজ হল সঠিক ও ভুল এবং ভাল ও খারাপের মধ্যে পার্থক্য করা, এবং লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করা।


আল্লাহর বান্দারা! মানুষের আত্মা আকাঙ্ক্ষা এবং লালসার প্রকৃতি ও পরিমাণে ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু সমস্ত আত্মা লালসা এবং বেশি থেকে বেশি জিনিসের প্রবল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষায় একই। যেমন ধন-সম্পদের প্রতি আত্মার ভালোবাসা। এই কারণেই বুদ্ধি সৃষ্টি করা এবং শরীয়ত ও আইন-কানুন নাযিল করা হয়েছে যাতে নফসের আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আল্লাহ তা‘আলার শরীয়ত ও আইনে এমন একটি সাধারণ ব্যবস্থা ও নিয়ম রয়েছে যাতে সমগ্র সমাজকে একই মর্যাদা দান করে।


বুদ্ধি ওহী থেকে হেদায়েত ও আলো পায়, চোখের মতই, সঠিক থাকলেও অন্ধকারে কিছু দেখতে পায় না, কিন্তু সেই স্থান আলোকিত হলে সব কিছু দেখতে পারে। তাই তাই ওহী ছাড়া বুদ্ধি ইবাদতের ক্ষেত্রে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ أَوَمَنْ كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُورًا يَمْشِي بِهِ فِي النَّاسِ كَمَنْ مَثَلُهُ فِي الظُّلُمَاتِ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِنْهَا كَذَلِكَ زُيِّنَ لِلْكَافِرِينَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴾

অর্থঃ (যে ব্যাক্তি মৃত ছিল, যাকে আমরা পরে জীবিত করেছি এবং যাকে মানুষের মধ্যে চলার জন্য আলোক দিয়েছি, সে ব্যাক্তি কি ঐ ব্যাক্তির ন্যার যে অন্ধকারে রয়েছে এবং সেখান থেকে আর বের হবার নয়? এভাবেই কাফেরদের জন্য তাদের কাজগুলোকে শোভন করে দেয়া হয়েছে)।


আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُورًا نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ﴾ [الشورى: 52]

অর্থঃ (আর এভাবে আমরা আপনার প্রতি আমাদের নির্দেশ থেকে রূহকে ওহী করেছি; আপনি তো জানতেন না কিতাব কী এবং ঈমান কী! কিন্তু আমরা এটাকে করেছি নূর, যা দ্বারা আমরা আমাদের বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে হেদায়াত দান করি; আর আপনি তো অবশ্যই সরল পথের দিকে দিকনির্দেশনা করেন)।


পরম করুণাময়ের বান্দারা! আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং বুদ্ধির নিন্দা করেননি, বরং আত্মার নিন্দা করেছেন। যখন বুদ্ধির কথা বলা হয়, তখন তার এই জন্য নিন্দা করা হয় যে এটিকে চিন্তা ভাবনার কাজে ব্যবহার করা হয় না।


আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ لَهُمْ قُلُوبٌ لَا يَفْقَهُونَ بِهَا ﴾[الأعراف: 179]

অর্থঃ (তাদের হৃদয় রয়েছে, কিন্ত তা দ্বারা তারা উপলব্ধি করে না)।


তিনি আরো বলেনঃ

﴿ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ﴾ [البقرة: 44]

অর্থঃ (তোমরা কি কিছুই বোঝ না)।


আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ انْظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ الْآيَاتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُونَ ﴾ [الأنعام: 65]

অর্থঃ (দেখুন,আমারা কি রূপে বিভিন্নভাবে আয়াতসদমূহ বিবৃত করি যাতে তারা ভালোভাবে বুঝতে পারে)।


﴿ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ ﴾ [الأنعام: 50]

অর্থঃ (তোমরা কি চিন্তা কর না)।


কিন্তু যখন নফসের কথা বলা হয়, তখন তার নিন্দা করা হয়, কারণ এটি বুদ্ধিকে অন্যায় ও মন্দ কাজের আদেশ দেয়, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي ﴾ [يوسف: 53]

অর্থঃ (নিশ্চয় মানুষের নাফস খারাপ কাজের নির্দেশ দিয়েই থাকে, কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার রব দয়া করেন)।


তাই এ আয়াতে নফসের সাথে ব্যতিক্রমের কথা বলা হয়েছে, কেননা নফসের আসল হলো এটাই য, সে মন্দ কাজের আদেশ দেয়। এই কারণেই নফস থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, অথচ বুদ্ধিক থেকে একবারও সতর্ক করা হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো বুদ্ধি থেকে আশ্রয় চাননি! কিন্তু আত্মার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাই খুতবাহুল হাজাতে তিনি বলেছেন:

((ونعوذ بالله من شرور أنفسنا))

অর্থঃ "আমরা আমাদের আত্মার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি"।


তিনি আরো বলেনঃ

((أعوذ بك من شر نفسي وشر الشيطان))

অর্থঃ (আমার মনের কু-প্রবৃত্তি, শয়তানের খারাবী ও তার শিরকী থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি)।


নফসের ব্যাপার হলো, কখনো কখনো ভালো জিনিসের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে, আবার কখনো সে মন্দকে সুন্দর করে উপস্থাপন করে। তাই নফসের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া মুস্তাহাব। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ فَطَوَّعَتْ لَهُ نَفْسُهُ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴾ [المائدة: 30]

অর্থঃ (অতঃপর তার নফ্‌স তাকে তার ভাই হত্যায় প্ররোচিত করল। ফলে সে তাকে হত্যা করল; এভাবে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হল)।


আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي ﴾ [طه: 96]

অর্থঃ (আমার মন আমার জন্যে এমনই কিছু শোভন করেছিল)।


আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا ﴾ [يوسف: 83]

অর্থঃ (তোমাদের মন তোমাদের জন্যে একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে)।


আল্লাহ তা‘আলা ঈহুদীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ

﴿ أَفَتَطْمَعُونَ أَنْ يُؤْمِنُوا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ﴾ [البقرة: 75]

অর্থঃ (তোমরা কি এ আশা করো যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে ? অথচ তাদের একদল আল্লাহ্‌র বাণী শ্রবণ করে, তারপর তারা তা অনুধাবন করার পর বিকৃত করে, অথচ তারা জানে)।

 

সমস্যার আসল কারণ তাদের আত্মা যা ছিল বিদ্বেষ, হিংসা ও অহংকারে পরিপূর্ণ। এই আয়াতটি বিবেচনা করুন:

﴿ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ﴾ [البقرة: 75]

অর্থঃ (অথচ তাদের একদল আল্লাহ্‌র বাণী শ্রবণ করে, তারপর তারা তা অনুধাবন করার পর বিকৃত করে, অথচ তারা জানে)।


অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হিংসা ও বিদ্বেষই তার কুফরের আসল কারণ ছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

: ﴿ بِئْسَمَا اشْتَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ أَنْ يَكْفُرُوا بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ بَغْيًا أَنْ يُنَزِّلَ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ عَلَى مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ ﴾ [البقرة: 90]

অর্থঃ (যার বিনিময়ে তারা তদের নিজেদের কে বিক্রি করেছে তা কতই না নিকৃষ্ট! তা হচ্ছে, আল্লাহ্‌ যা নাযিল করেছেন, তারা তার সাথে কুফরী করেছে, হটকারীতাবশত, শুধু এজন্য যে, আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় অনুগ্রহ নাযিল করেন)।


একইভাবে মুশরিকরা তাদের আত্মার কামনা-বাসনায় নিমগ্ন থাকে, তাই তারা মানুষের নবুওয়াতকে অস্বীকার করে এবং পাথরের তৈরি করা মূর্তির পূজা করে! আল্লাহ তা‘আলা এ সংবাদ দিতে গিয়ে বলেন, ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় যে নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করেছে, তার সত্যতা কী ছিল:

﴿ وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا ﴾ [النمل: 14]

অর্থঃ (আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে নিশ্চিত সত্য বলে গ্ৰহণ করেছিল)।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله، دلت على ربوبيته جميع مخلوقاته، وعجائب مصنوعاته، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، صلى الله عليه وعلى آله وأصحابه وسلم تسليمًا كثيرًا.

 

হামদ ও সালাতের পর!

আত্মার পার্থক্য হল মহাবিশ্বে আল্লাহ তা‘আলার জারি করা নিয়ম।ষএটি ভারসাম্য বজায় রাখে এবং একে অপরের চাহিদা পূরণ করে, যদি মানুষের রুচি ভিন্ন না হতো, তাহলে সমস্ত যন্ত্রপাতি ও মালামাল বেকার হয়ে পড়ত এবং বাজার জুড়ে মন্দা বিরাজ করত। পরম করুণাময়ের বান্দারা! এটা তাঁর বান্দাদের প্রতি সন্তুষ্টি ও করুণা যে, শরীয়তের বিধিবিধান মানবাত্মার প্রকৃতি ও মেজাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই একজন কুমারী কন্যার স্বভাব লজ্জা ও বিনয়ী, তাই তার নীরবতাকে অনুমতির স্থান দেওয়া হয়েছে। কারণ সে সাহসিকতার সাথে অস্বীকার তো করতে পারে, কিন্ত কিন্তু স্বীকারোক্তির ব্যাপারে দ্বিধা বোধ করে।


এ কারণেই বিয়ের সময় একজন অভিভাবকের উপস্থিতিকে শর্ত করা হয়েছে, যাতে বিবাহের বিষয়ে আলোচনার সময় নারীর পক্ষ থেকে এমন একজন ব্যক্তি থাকে যে স্বামীর তুলনায় তার অধিকার রক্ষা করবে। তাই অনিচ্ছার কারণে মহিলা যখন কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেবে, তখন প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে অলীর কোনো শর্ত নেই।


নির্জনে মহরমের উপস্থিতি তার মানসিক দুর্বলতার আবেগ ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও, একজন নারীকে কঠিন, মতানৈক্য ও দ্বন্দ্বের জায়গায় স্থান দেওয়াকে সঙ্গত বলে মনে করা হয়নি, কারণ এটা নয় যে, সে বুদ্ধির দিক থেকে দুর্বল নয়, বরং স্বভাবগতভাবে তার নাফসের দুর্বলতার কারণে।


যদি হুদুদ প্রতিষ্ঠা এবং শারঈ শাস্তির প্রয়োগ একজন মহিলার হাতে অর্পণ করা হত, তাহলে তা স্থগিত হয়ে যেত। এর কারণ এই যে এই নিয়ম এবং কষ্টগুলি একজন মহিলার স্বভাব ও মেজাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ﴾ [الملك: 14]

অর্থঃ (যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত)।


পরম করুণাময়ের বান্দারা! বুদ্ধির সাথে নফসের সংঘর্ষ ও সংঘাত নফসের লালসা ও আকাঙ্ক্ষার সময় দেখা দেয়। তাই নফসের ইচ্ছাকে কাটিয়ে উঠলে নফস তার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাস অনুযায়ী বুদ্ধির সাথে আচরণ করে। এবং তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে যাতে তার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়, যখন তার ঈমান মজবুত হয়, তখন সে অন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করে, এবং যখন তার ঈমান দুর্বল হয়, তখন সে অন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করে। এবং যখন সে তার ইচ্ছাকে স্পষ্ট ত্রুটি দিয়ে পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন সে ভুলটিকে কিছু সঠিক জিনিসের সাথে একত্রিত করে তার ইচ্ছা পূর্ণ করে।


পরবর্তী খুতবায় নফস সম্পর্কে আরও আলোচনা হবে, ইনশাআল্লাহ।

 

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললঃ আসসামু আলাইকা। (তোমার মরণ হোক)। আমি এ কথার অর্থ বুঝে বললামঃ আলাইকুমুস্ সামু ওয়াল লানাতু। (তোমাদের উপর মৃত্যু ও লা‘নাত)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি থামো। আল্লাহ সর্ব হালতে নম্রতা পছন্দ করেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! তারা যা বললোঃ তা কি আপনি শুনেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ জন্যই আমিও বলেছি, ওয়া আলাইকুম)।

 

আল্লাহু আকবার! কত শিক্ষা নিহিত রয়েছে এই ঘটনায়। এই ঘটনা থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল যে, মানুষের সাথে সদয় ও নম্র আচরণ করা ইসলামী নৈতিকতার একটি বিশিষ্ট গুণ এবং এটি শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও, এই হাদিস থেকে সবচেয়ে বড় একটি লাভ পাওয়া যায়: এটি হল এতে আল্লাহর সুন্দর নামগুলোর একটি নাম পাওয়া যায় আর তাহল "আর রাফীক" নাম প্রমাণ করা হয়েছে যার অর্থ নম্র ও দয়াময়।


শাইখ সাদী (রহঃ) বলেছেন: "আল্লাহর একটি নাম হল "আর-রাফিক", তিনি তাঁর কর্ম ও শরীয়তে "আর-রাফিক" (দয়াময়)।"


তিনি আরও বলেন: "যে ব্যক্তি সৃষ্টি এবং আল্লাহর বিধান ও আদেশ সম্পর্কে চিন্তা করে যে আল্লাহ তায়ালা এগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিকতা কিভাবে অবলম্বন পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাহলে সে বিস্ময়ে পড়ে যাবে।" হ্যাঁ...এটা আল্লাহর রহমত যে, তিনি তাঁর প্রজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ধাপে ধাপে জীব সৃষ্টি করেছেন। তিনি জীবকে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি করেছেন, অথচ তিনি মুহূর্তের মধ্যে সবাইকে সৃষ্টি করতে সক্ষম! এটি আল্লাহর ধৈর্য, ​​প্রজ্ঞা, জ্ঞান, ও দয়ার প্রমাণ।


আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু: তাঁর আদেশ ও নিষেধের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি নম্র ও দয়ালু। তাই দীর্ঘ তেইশ বছরের সময়ের মধ্যে ইসলামী আইন প্রকাশ করেছিলেন! শরিয়তের ব্যাপারে আল্লাহর অনুগ্রহ হলো: তিনি কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের বাইরে বাধ্য করেন না। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সদয়: তাই তিনি তাদের জন্য ছুট নির্ধারণ করেছেন যা তাদের থেকে কষ্ট দূর করে। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি পাপীকেও অবকাশ দেন, এমনকি পাপের মধ্যে নিমজ্জিত থাকা ব্যক্তিকেও অবকাশ দেন এবং তাকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না, যাতে সে তার রবের দিকে ফিরে যায়, তার পাপের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং হিদায়াত ও সত্যের দিকে ফিরে যায়।


﴿ وَرَبُّكَ الْغَفُورُ ذُو الرَّحْمَةِ لَوْ يُؤَاخِذُهُم بِمَا كَسَبُوا لَعَجَّلَ لَهُمُ الْعَذَابَ ﴾

অর্থঃ (আর আপনার রব পরম ক্ষমাশীল, দয়াবান । তাদের কৃতকর্মের জন্য যদি তিনি তাদেরকে পাকড়াও করতেন, তবে তিনি অবশ্যই তাদের শাস্তি তরান্বিত করতেন)।


টা আল্লাহর রহমত যে তিনি তাঁর বান্দাদেরকে নম্র ও সদয় হতে আদেশ করেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। দয়াময় আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেমনটি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: (নম্রতা যে কোন বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর যে কোন বিষয় থেকে নম্রতা বিদূরিত হলে তাকে কলুষিত করে)।


তিনি নম্রতার এই হাদীসটি আয়েশা (রাঃ)-এর ঘটনাতে বলেছেন যখন তার একটি জেদী উটের সাথে ঘটনা ঘটেছিল। এটি একটি প্রমাণ যে পশুদের সাথেও নম্রতা করা মুস্তাহাব। দ্বিতীয়বার তিনি এই হাদীসটি বলেছিলেন যখন ইহুদীদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। অন্য হাদিসে উল্লেখ আছে যে, (যে ব্যক্তি নম্র আচরণ থেকে বঞ্চিত সে প্রকৃত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত)। মুসলিম


তৃতীয় হাদীসে রয়েছে, (আল্লাহ্ কোমল। তিনি সকল কাজে কোমলতা পছন্দ করেন)। আহমাদ, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।


চতুর্থ হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (হে আল্লাহ! যে আমার উম্মাতের কোনরূপ কর্তৃত্বভার লাভ করে এবং তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করে তুমি তার প্রতি রূঢ় হও, আর যে আমার উম্মাতের উপর কোনরূপ কর্তৃত্ব লাভ করে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে তুমি তার প্রতি নম্র ও সদয় হও)। (মুসলিম) এছাড়াও আরো বহু হাদীস রয়েছে।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

 

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على نبيه وعبده وعلى آله وصحبه.

 

সালাত ও সালামের পর!

হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আল্লাহর প্রিয় নাম "আর-রফিক"- (দয়ালু) এর প্রতি বিশ্বাস একজন মুসলমানের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে, তার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ: আল্লাহর প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও মহিমার অনুভূতি জাগে, অধিকন্তু, তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর সন্তুষ্টি ও দয়ার প্রভাব তাঁর সৃষ্টি ও শরীয়তে স্পষ্ট, যদিও তিনি সর্বশক্তিমান সৃষ্টি থেকে অমুখাপেক্ষী।


আল্লাহর প্রিয় নাম "আর-রাফিক"-এর একটি প্রভাব হল: নম্রতা ও দয়া দিয়ে নিজেকে সাজানো এবং নিজের আত্মার সাথে কোমল হওয়া, তারপর ধীরে ধীরে ইবাদতের ক্ষেত্রেও তা গ্রহণ করা, হাদীসে আছে যে: "এই দ্বীন শক্তিশালী, এতে কোমলতার সাথে প্রবেশ কর" (এই হাদীসটিকে আল আলবানী হাসান বলেছেন)।


অন্য হাদীসে এসেছে (এই দীন সহজ, যে কেউ দীনের ক্ষেত্রে কঠিন পন্থা অবলম্বন করবে, সে দীন পালনে ব্যর্থ হয়ে যাবে। অতএব তোমরা সোজা পথে চল, পরিপূর্ণতার কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা কর, সুসংবাদ দাও, সহজ পন্থা অবলম্বন কর)। বুখারী


আল্লাহর মহামূল্যবান নাম "আর-রফিক"-এর প্রতি ঈমান আনার একটি প্রভাব হল: সকল মানুষের সাথে কথা ও কাজে নম্র আচরণ করা, সে মুমিন হোক বা কাফের। ইহুদীদের সাথে নবীর ঘটনা আগেই বলা হয়েছে! যেখানে আপনি বলেছেনঃ (নম্রতা যে কোন বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর যে কোন বিষয় থেকে নম্রতা বিদূরিত হলে তাকে কলুষিত করে)। (মুসলিম)


নম্রতা ও দয়ার সবচেয়ে যোগ্য হল পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন। হাদীসে এসেছে,


"আল্লাহ যখন কোন পরিবারের মঙ্গল করতে চান, তখন তিনি তাদের মধ্যে নম্রতা দান করেন।" (আহমাদ, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)।


আল্লাহর প্রিয় নাম "আথ-রফিক"-এর প্রতি ঈমান আনার অন্যতম প্রভাব হল: পশুদের সাথে কোমল ব্যবহার করা, তাদের উপর জুলুম করা থেকে বিরত থাকা! এই মহিলার ঘটনা আপনার কাছে গোপন নয়, যাকে জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছিল একটি বিড়ালকে বন্দী করে রাখার কারণে। এমনকি জবাই ও হত্যার সময়ও নম্রতা ও দয়ার সাথে জবাই করা ফরয বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হাদীসে এসেছেঃ (আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের উপর ইহসান অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে, দয়ার্দ্রতার সঙ্গে হত্যা করবে; আর যখন যাবাহ করবে তখন দয়ার সঙ্গে যাবাহ করবে। তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং তার যাবাহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে)। মুসলিম


আল্লাহর মহামূল্যবান নাম "আর-রফিক"-এর প্রতি ঈমানের একটি প্রভাব হল: আল্লাহকে তাঁর শরীয়ত এবং তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর দয়ার জন্য তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং তাঁর মহিমা ঘোষণা করা।


শেষ কথা: আমাদের রব কোমল এবং দয়ালু, আমাদের ধর্ম কোমল এবং সরলতার উপর ভিত্তি করে। আমাদের নবী করুণাময়দের প্রধান ও আদর্শ, সুতরাং আমাদের উপর ওয়াজিব যে, আমরাও আমাদের ব্যাপারে নম্র হই, আমাদের নফসকে এই গুণে অভ্যস্ত করার জন্য তাঁর সাথে সচেষ্ট হই, তাওফিক দানকারী একমাত্র আল্লাহ, তাঁর কোন শরীক বা অংশীদার নেই।


দরুদ ও সালাম পাঠ করুন






 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس
  • بين النفس والعقل (1) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (2) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (3) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس (باللغة الهندية)
  • بين النفس والعقل (2) (باللغة الهندية)
  • بين النفس والعقل (1) (باللغة الهندية)
  • خطبة: أحاديث عن شر الخبيث (1) - باللغة البنغالية
  • احذر مظالم الخلق (خطبة) - باللغة البنغالية
  • بين النفس والعقل (1) (خطبة) باللغة النيبالية
  • خطبة: بين النفس والعقل (2) - باللغة البنغالية
  • خطبة: بين النفس والعقل (3) تزكية النفس - باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس (خطبة) باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين النفس والعقل (2) (خطبة) باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين النفس والعقل (2)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين النفس والعقل (1)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • تضرع وقنوت(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين ظلم النفس والتوبة (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • النفس بين الفلاح والخيبة (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • خطبة: الدنيا بين الزاد والزهد (باللغة البنغالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • إن الحلال بين وإن الحرام بين وبينهما أمور مشتبهات(مقالة - آفاق الشريعة)
  • من أدعية الاستفتاح: اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب(مقالة - موقع الشيخ عبد القادر شيبة الحمد)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • بمشاركة مئات الأسر... فعالية خيرية لدعم تجديد وتوسعة مسجد في بلاكبيرن
  • الزيادة المستمرة لأعداد المصلين تعجل تأسيس مسجد جديد في سانتا كروز دي تنريفه
  • ختام الدورة التاسعة لمسابقة "جيل القرآن" وتكريم 50 فائزا في سلوفينيا
  • ندوة في سارنيتسا تبحث تطوير تدريس الدين الإسلامي وحفظ التراث الثقافي
  • مشروع للطاقة الشمسية وتكييف الهواء يحولان مسجد في تيراسا إلى نموذج حديث
  • أكثر من 5000 متطوع مسلم يحيون مشروع "النظافة من الإيمان" في زينيتسا
  • في حفل مميز.. تكريم المتفوقين من طلاب المسلمين بمقاطعة جيرونا الإسبانية
  • ندوة دولية في سراييفو تبحث تحديات وآفاق الدراسات الإسلامية المعاصرة

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 10/1/1447هـ - الساعة: 15:38
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب