• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    حسن الظن بالله تعالى (خطبة)
    د. عبد الرقيب الراشدي
  •  
    خطبة: صلاة الاستسقاء
    الشيخ الدكتور صالح بن مقبل العصيمي ...
  •  
    هل الكلب طاهر أم نجس؟ دراسة فقهية موجزة
    د. أحمد عبدالمجيد مكي
  •  
    البصيرة في زمان الفتن - منهجية رد المتشابهات، ...
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    من نعم الابتلاء بالمرض (خطبة)
    د. صغير بن محمد الصغير
  •  
    إن للموت لسكرات (خطبة)
    د. فهد بن ابراهيم الجمعة
  •  
    خلاف العلماء في حكم لبن الميتة وإنفحتها
    يحيى بن إبراهيم الشيخي
  •  
    خلاف الفقهاء في حكم الاستنجاء
    يحيى بن إبراهيم الشيخي
  •  
    من أدلة صدقه عليه الصلاة والسلام: توازن شخصيته ...
    الشيخ عبدالله محمد الطوالة
  •  
    وقاحة التبرير (خطبة)
    حسان أحمد العماري
  •  
    وقفات تربوية مع سورة الإخلاص (خطبة)
    رمضان صالح العجرمي
  •  
    خطب الاستسقاء (15) أسباب الغيث المبارك
    الشيخ د. إبراهيم بن محمد الحقيل
  •  
    سنة الحياة..
    أ. سميع الله بن مير أفضل خان
  •  
    دلالة السياق في تنوع الحركات في البنية نفسها في ...
    د. صباح علي السليمان
  •  
    تأملات في بعض الآيات (1) بنات العم والعمات، ...
    حكم بن عادل زمو النويري العقيلي
  •  
    عذاب القبر حق
    صلاح عامر قمصان
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة البنغالية)

خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 25/12/2024 ميلادي - 24/6/1446 هجري

الزيارات: 1361

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة البنغالية)

খুতবার বিষয়ঃ নামাযের পদ্ধতি (২)

প্রথম খুৎবা


الحمد لله العليم خفي الألطاف، المنان بنعم متعددة الألوان والأصناف، الكريم المجيب المؤمِّن لكل من ارتاع وخاف، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له تواب غفار ولو كان من العبد إسراف وأشهد أن سيدنا محمدًا عبده ورسوله، متحل بكمال الأوصاف، صلِّ وسلِّم وبارك عليه وعلى آله وصحبه الأشراف.


হামদ ওয়াসালাতের পর: আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য অসিয়ত করছি, তাকওয়ার অনেক ফল দুনিয়াতে পাওয়া যায় এবং কবর ও পরকালেও পাওয়া যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌ وَلَدَارُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ وَلَنِعْمَ دَارُ الْمُتَّقِينَ ﴾ [النحل: 30].

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা, তাকওয়ার একটি সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য এবং ইসলামের সবচেয়ে সম্মানিত ইবাদতের মধ্যে একটি হল নামাজ, আল্লাহ তাকওয়ার সাথে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেনঃ

﴿ وَأَنْ أَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَاتَّقُوهُ وَهُوَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ﴾ [الأنعام: 72].


অনুবাদ: এবং সালাত কায়েম করতে ও তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করতে। আর তিনিই, যাঁর কাছে তোমাদের সমাবেত করা হবে।’

 

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! এটা আপনাদের নিকট অজানা নয় যে, তাওহীদের পরে নামায সবচেয়ে বড় ইবাদত। সাদী বলেন: "নামাজ কায়েম করার অর্থ হল বাহ্যিকভাবে, সম্পূর্ণ আরকান, ওয়াজিবাত ও শর্তাবলী সহকারে এটিকে কায়েম করা। একইভাবে, এটি অভ্যন্তরীণভাবেও কায়েম করা উচিত। অর্থাৎ অন্তর, কথা ও কাজ বুঝে তা আদায় করতে হবে।

 

প্রিয় বন্ধুগণ! এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা নামায নামাযের মাসআলা মাসায়েলের জ্ঞান অর্জন করতে হবে , যা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের যুগে জ্ঞান অর্জন করার, দেখার ও শোনার মাধ্যম খুবই সহজ। নামাযের কত সুন্নত রয়েছে যা আমরা জানি না।

 

অথবা সেগুলোর সাথে পরিচিত কিন্তু সেগুলোর প্রতি অবহেলা করি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হল নামাজের আরকান বা ওয়াজিবাত বা শর্তে ভুল করা, বছর এমনকি দশ বছর চলে যায় এবং প্রার্থনায় বাধা ও ঘাটতি থেকে যায়। মালিক বিন আল হুআইরিসের হাদিসে উল্লেখ আছে: "তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছ সেভাবে নামাজ পড়" (বুখারি বর্ণনা করেছেন)।

 

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! যে মুসলমান তার রবকে ভালোবাসে সে তার কথা ও কাজে সমানভাবে তার রাসূল (সা.)-কে অনুসরণ করে।

 

ফকীহগণ বলেনঃ কথা ও কাজ ফরয হোক বা সুন্নত। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণই প্রমাণ করে যে, একজন বান্দা তার রবকে ভালোবাসে।

﴿ قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ﴾ [آل عمران: 31].

অনুবাদঃ বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ্‌ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

 

এই আনুগত্য তার কর্মের সাওয়াব বৃদ্ধি করে এবং তার অন্তরকে নম্রতা ও বিনয়ে ভরিয়ে দেয়।

 

ইসলামী ভাইয়েরা! সালাতের সুন্নতের কিছু কথা উল্লেখ করা যাক। নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিভিন্ন প্রকারের আযকার ও দুআ প্রমাণিত রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য উত্তম উপায় হল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দোয়া পড়া। শাইখ উসাইমীন, আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন, বলেছেন: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দোয়া পড়ার তিনটি উপকারিতা রয়েছে: সুন্নাহ রক্ষা করা, সুন্নাহ অনুসরণ করা এবং একত্রিত হৃদয়ে প্রার্থনা করা।

 

প্রিয় বন্ধুগণ! নামাযের সুন্নতের মধ্যে একটি হল সানা (ইস্তিফতাহ) এর দুআ, ইস্তিফতার অনেক দুআ প্রমাণিত, অনেকে ইসতিফ্তাহে শুধুমাত্র এই দুআটি পাঠ করে:

"سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولا إله غيرك".

 

যদিও নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এর থেকেও সহজ দুআ প্রমাণিত রয়েছে। যেমনঃ

" الحمدُ لله حمدًا كثيرًا طيِّبًا مباركًا فيه".

 

ইমাম মুসলিম সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে সলাতের কাতারে ঢুকে পড়ল। তখন সে হাঁপাতে ছিল। এ অবস্থায় সে বলে উঠল “আল হামদুলিল্লা-হি হামদান কাসীরান তুইয়্যিবাম মুবা-রকান ফীহ” (অর্থাৎ- সব প্রশংসাই মহান আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। তার অনেক অনেক প্রশংসা যা পবিত্র কল্যাণময়।)। সলাত শেষ করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ কথাগুলো কে বলেছ? তখন সবাই চুপ করে রইল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ ঐ কথাগুলো যে বলেছে সে তো কোন খারাপ কথা বলেনি। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলঃ আমি এসে যখন সলাতে শারীক হই তখন আমি হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই আমি এ কথাগুলো বলেছি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি দেখলাম, বারোজন মালায়িকাহ ঐ কথাগুলোকে আগে উঠিয়ে নেয়ার জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতা করছে।

 

নামায শুরু করার আরেকটি সহজ দুআ হচ্ছে:

"اللهُ أكبرُ كبيرًا. والحمدُ لله كثيرًا. وسبحان اللهِ بكرةً وأصيلًا".

 

'আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সলাত আদায় করেছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ “আল্লহু আকবার কাবীরা- ওয়াল হামদুলিল্লা-হি কাসীরা- ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতান ওয়া আসীলা-”

 

(অর্থাৎ- আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে।)।

 

(সলাত শেষে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ কথাগুলো কে বলল? সবার মধ্যে থেকে জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রসূল আমি ঐ কথাগুলো বলেছি। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কথাগুলো আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ কথাগুলোর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল।

 

আরেকটি দুআ সানা হচ্ছেঃ আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত শুরু করলে তাকবীরে তাহরীমা বলে কিরআত শুরু করার আগে কিছুক্ষণ চুপ থাকতেন। এ দেখে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আপনি সলাতের তাকবীরে তাহরীমা ও কিরআতের মাঝে যখন চুপ থাকেন তখন কি পড়েন? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তখন বলিঃ "আল্ল-হুম্মা বা-ইদ বায়নী ওয়াবায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা- বা-আদতা বায়নাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব, আল্ল-হুম্মা নাক্কিনী মিন খতা-ইয়া-ইয়া কামা- ইউনাক্কাস সাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস, আল্লহুম্মাগ সিলনী মিন খত-ইয়া-ইয়া বিস্‌সালজি ওয়াল মা-য়ি ওয়াল বারাদ"।

 

কুরআন তিলাওয়াতের পূর্বে শাইতান থেকে আশ্রয় চাওয়া মুস্তাহাব।

 

এমি মুসল্লির জন্য তিনটি এমন দুআ উল্লেখ করব যেগুলো রুকু এবং সিজদাতে পড়া মুস্তাহাব। সুতরাং রুকুতে "সুবহানা রাব্বিআল আযীম" এবং সাজদাহে "সুবহানা রাব্বিআল আলা" পাঠ করার পর এ দুআটি পাঠ করা মুস্তাহাবঃ

"سبحانك اللهم ربنا وبحمدك اللهم اغفر لي".

 

আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘ ও সিজদাতে বেশি করে এ দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী’’।

 

আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকূ’ ও সাজদায় এ দু'আ পড়তেনঃ

سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ.

 

“সুব্বুহুন কুদদূসুন্ন রব্বুল মালা-য়িকাতি ওয়ার রূহু"। অর্থাৎ "সমস্ত ফেরেশতা ও জিবরীল (আঃ)-এর প্রতিপালক অত্যন্ত পাক-পবিত্র"

 

তৃতীয় যে দুআটি রুকু ও সাজদায় পড়া মুস্তাহাব তা হচ্ছে,

 

আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সলাত আদায়ে দাঁড়ালাম। তিনি সূরাহ বাক্বারাহ্ তিলাওয়াতের সময় কোন রহমাতের আয়াতে পৌঁছলে তথায় থেমে রহমাত চাইতেন এবং যখন কোন আযাবের আয়াতে পৌঁছতেন, তখন সেখানে থেমে আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। অতঃপর তিনি ক্বিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকূ‘তে অবস্থান করেন এবং তাতে:

"‏سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ"‏.

 

‘‘সুবহানা যিল্ জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল ‘আযমাতি’’ পাঠ করেন।

 

রুকু ও সাজদার পর যে দুআটি রুকু থেকে উঠার পর পাঠ করা জরুরী তার চারটি পদ্ধতি রয়েছে: বলবে:

"ربنا لك الحمد".

 

অথবা বলবে:

"ربنا ولك الحمد".

 

অথবা বলবে:


"اللهم ربنا لك الحمد".

 

অথবা বলবে:

"اللهم ربنا ولك الحمد".

 

এর সাথে অন্য কোন দুআ সংযোগ করাও মুস্তাহাব।

 

রিফা‘আহ ইবনু রাফি‘ আয-যুরাকী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সলাত আদায় করছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বললে এক ব্যক্তি বলে উঠেন- ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ’’। সলাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই দু‘আ পাঠকারী কে? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি দেখলাম, তিরিশেরও অধিক মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) তা সর্বাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।

 

. আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রুকু’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ “রব্বানা- লাকাল হামদু মিলআস সামা-ওয়া-তি ওয়ামিলআ মা- শিতা মিন্‌ শাইয়িন বাদু আহলাস সান-য়ি ওয়াল মাজদি আহাক্কু মা-কা-লাল আবদু ওয়া কুল্লুনা- লাকা ‘আবদুন, আল্লাহুম্মা লা- মা-নি’আ লিমা- আতাইতা ওয়ালা- মুতিয়া লিমামানা'তা ওয়ালা- ইয়ানফাউ যাল জাদি মিন্‌কাল জাদ।"

 

ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে বলতেনঃ ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, মিলআস-সামাওয়াতি ওয়া মিলআল আরদি ওয়া মিলআ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু’’।

 

আমি আপনাকে এবং নিজেকে ওসিয়ত করছি যে, নামাযের দোয়াগুলো মুখস্থ রাখুন, সেগুলো পরিবর্তন করে করে পাঠ করুন এবং সেগুলোর অর্থ নিয়ে চিন্তা করুন।

 

কারণ নামায হচ্ছে দুআ ও যিকির নিয়ে গঠিত। তা দাঁড়ানো অবস্থায় হোক বা রুকুর অবস্থায় হোক, বা সেজদার অবস্থায় হোক বা বসে থাকার অবস্থায়। একজন মুসলমানের উচিত যতটা সম্ভব দক্ষতার সাথে দুআর শব্দগুলি মুখস্থ করা।

 

বুখারী ও মুসলিমে আছে যে,

 

বারা ইবনু আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি তোমার বিছানা গ্রহণ করবে তখন সলাতের ওযুর মতো তুমি ওযু করে নিবে। এরপর তুমি তোমার ডান কাতে শুয়ে পড়বে। তারপর তুমি বলবে, “হে আল্লাহ! আমি আমার চেহারাকে তোমার প্রতি সমর্পণ করলাম, আমার কাজ-কর্ম তোমার নিকট অর্পণ করলাম। আমি প্রতিদান পাওয়ার প্রত্যাশায় এবং শাস্তির ভয় পূর্বক তোমার নিকট আশ্রয় চাইলাম। তুমি ব্যতীত নেই কোন আশ্রয়স্থল ও নেই কোন মুক্তির স্থান। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ তার উপর বিশ্বাস আনলাম, তুমি যে নাবীকে পাঠিয়েছ তার প্রতি বিশ্বাস আনলাম।” আর এ বাক্যগুলোকে তোমার শেষ কথা বলে গণ্য করে নাও। এরপর যদি তুমি ঐ রাতে মারা যাও তাহলে তুমি ফিতরাতের উপরই মৃত্যুবরণ করলে। বারা (রাযিঃ) বলেন, আমি এ দু’আ গুলো মনে রাখার জন্যে বার বার পড়তে গিয়ে আমি বললাম, (হে আল্লাহ) আমি আপনার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যাকে আপনি প্রেরণ করেছেন। অর্থাৎ- (তোমার নাবীর স্থানে তোমার রসূল’ বললাম)। তিনি বললেন, তুমি বলো, আমি বিশ্বাস স্থাপন করেছি তোমার নাবীর প্রতি যাকে তুমি প্রেরণ করেছ।

 

নামাযের দুআর দিকে আবার ফিরে এসে, আমরা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমার বন্ধুরা! দুই সিজদার মাঝে এই দুআ পাঠ করা ওয়াজিবঃ "আল্লাহুম্মাগ ফিরলি"।

 

এ দু'আতে কিছু সংযোজনও এসেছে, সুতরাং ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ সাজদার মাঝে এ দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়া ‘আফিনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারযুক্বনী’’।

 

তাশাহ্হুদ ও দরুদ পাঠ করার পর মুসল্লির জন্য এটা মুস্তাহাব যে সে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। সহীহ বুখারীতে আমর ইবনু মায়মূন আউদী (রহ.) হতে বর্ণিত। শিক্ষক যেমন ছাত্রদের লেখা শিক্ষা দেন, সা‘দ (রাঃ) তেমনি তাঁর সন্তানদের এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতের পর এগুলো থেকে পানাহ চাইতেন, ‘হে আল্লাহ্! আমি ভীরুতা, অতি বার্ধক্য, দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের শাস্তি থেকে আপনার নিকট পানাহ চাই।’ রাবী বলেন, আমি মুস‘আব (রাঃ)-এর নিকট হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনি এটির সত্যতা স্বীকার করেন।

 

সহীহ মুসলিমে আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ যখন (সলাতে) তাশাহহুদ পড় তখন চারটি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। এ বলে দুআ করবেঃ “আল্লহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম ওয়ামিন আযা-বিল কবরি ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়ামিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল” – (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি)।

 

একজন মুসলমানের উচিত এই নবীর দোয়াগুলো মনে রাখা, পর্যায়ক্রমে পাঠ করা। এটাই উত্তমরূপে নবীর অনুসরণের সঠিক পথ। এবং এটি নম্রতা সৃষ্টির এবং দুআর অর্থ ও মর্ম উপলব্ধি করার সর্বোত্তম মাধ্যম।

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • خطبة: صفة الصلاة (1) أخطاء محرمة (باللغة النيبالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة النيبالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (3) سنن فعلية (باللغة النيبالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (1) أخطاء محرمة (باللغة الإندونيسية)
  • خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة الإندونيسية)
  • خطبة: صفة الصلاة (1) أخطاء محرمة (باللغة البنغالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (3) سنن فعلية (باللغة البنغالية)
  • خطبة: (تجري بهم أعمالهم) - باللغة البنغالية
  • شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة البنغالية
  • خطبة: صلاة بأعظم إمامين (باللعة البنغالية)
  • صفة الصلاة

مختارات من الشبكة

  • الله البصير (خطبة) - باللغة الإندونيسية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الله البصير (خطبة) - باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة النيبالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة الإندونيسية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: احتساب الثواب والتقرب لله عز وجل (باللغة النيبالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: احتساب الثواب والتقرب لله عز وجل (باللغة الإندونيسية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • من مشكاة النبوة (5) "يا أم خالد هذا سنا" (خطبة) - باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أنين مسجد (5) - خطورة ترك الصلاة (خطبة)(مقالة - موقع د. صغير بن محمد الصغير)
  • وجعلت قرة عيني في الصلاة (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • تعظيم قدر الصلاة (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • ندوة لأئمة زينيتسا تبحث أثر الذكاء الاصطناعي في تطوير رسالة الإمام
  • المؤتمر السنوي التاسع للصحة النفسية للمسلمين في أستراليا
  • علماء ومفكرون في مدينة بيهاتش يناقشون مناهج تفسير القرآن الكريم
  • آلاف المسلمين يجتمعون في أستراليا ضمن فعاليات مؤتمر المنتدى الإسلامي
  • بعد ثلاث سنوات من الجهد قرية أوري تعلن افتتاح مسجدها الجديد
  • إعادة افتتاح مسجد مقاطعة بلطاسي بعد ترميمه وتطويره
  • في قلب بيلاروسيا.. مسجد خشبي من القرن التاسع عشر لا يزال عامرا بالمصلين
  • النسخة السادسة من مسابقة تلاوة القرآن الكريم للطلاب في قازان

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 22/5/1447هـ - الساعة: 15:40
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب