• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    خطبة: مخاطر إدمان السوشيال ميديا على الشباب
    السيد مراد سلامة
  •  
    شموع (114)
    أ. د. عبدالحكيم الأنيس
  •  
    مختارات من كتاب الباعث الحثيث في مصطلح الحديث
    مجاهد أحمد قايد دومه
  •  
    خطبة بدع ومخالفات في المحرم
    الدكتور علي بن عبدالعزيز الشبل
  •  
    الـعـفة (خطبة)
    أ. د. إبراهيم بن صالح بن عبدالله
  •  
    ملاذ الضعفاء: حقيقة اللجوء (خطبة)
    محمد الوجيه
  •  
    حفظ اللسان وضوابط الكلام (خطبة)
    الشيخ أحمد إبراهيم الجوني
  •  
    بين "العلل الصغير" و"العلل الكبير" للإمام الترمذي
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    تفسير سورة الكوثر
    أبو عاصم البركاتي المصري
  •  
    بيتان شعريان في الحث على طلب العلم
    عصام الدين بن إبراهيم النقيلي
  •  
    من قال إنك لا تكسب (خطبة)
    الشيخ إسماعيل بن عبدالرحمن الرسيني
  •  
    تفسير: (قل إن ضللت فإنما أضل على نفسي وإن اهتديت ...
    تفسير القرآن الكريم
  •  
    آداب حملة القرآن: أهميتها وجهود العلماء فيها
    أ. د. إبراهيم بن صالح بن عبدالله
  •  
    السماحة بركة والجشع محق (خطبة)
    عبدالله بن إبراهيم الحضريتي
  •  
    الإمام محمد بن إدريس الشافعي (خطبة)
    د. أيمن منصور أيوب علي بيفاري
  •  
    الله البصير (خطبة) - باللغة البنغالية
    حسام بن عبدالعزيز الجبرين
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة البنغالية)

خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 24/10/2025 ميلادي - 3/5/1447 هجري

الزيارات: 1404

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

موضوع الخطبة: استشعار التعبد وحضور القلب

الخطيب: فضيلة الشيخ حسام بن عبد العزيز الجبرين/ حفظه الله

لغة الترجمة: البنغالية

المترجم: عبد الرحمن بن لطف الحق

 

খুতবার বিষয়ঃ ইবাদতের চেতনা, এবং আন্তরিকতা সাথে ইবাদত করা

প্রথম খুৎবা

الحمد لله العفوِ الغفور العزيزِ الشكور الحليمِ الصبور، وأشهد ألا إله إلا الله وحده لا شريك له الفتاح الهادي الوهاب الشافي، وأشهد أن محمد عبده ورسوله خاتم الأنبياء له من ربه سبحانه الثناء وله الثناء من أهل الأرض والسماء، فصلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرًا.

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার ওসিয়ত করছি। কারণ আমাদের প্রত্যেককে পরকালের দিকে অগ্রসর হতে হবে, কিন্তু আমরা কখন সেখানে পৌঁছব তা আমরা কেউ জানি না! এই যাত্রা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কর্মের ধারা বন্ধ হয়ে যাবে।

وما هذه الأيامُ إلا مراحلٌ

يحثُ بها داعٍ إلى الموتِ قاصدُ

وأعجبُ شيءٍ لو تأملتَ أنها

منازلُ تطوى والمسافر قاعدُ

এই জগৎ বেশ কয়েকটি স্তর নিয়ে গঠিত। যা মৃত্যুর দূত অতিক্রম করছে হচ্ছে। একথা চিন্তা করলে সবচেয়ে বেশি অবাক হবেন যে, গথ অতিক্রম হচ্ছে কিন্ত পথিক বসে আছে।

নবী যুগে কিছু লোক হজ্জের নিয়তে ইয়েমেন ত্যাগ করে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল, কিন্তু তাদের কাছে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে কিছুই ছিল না। এর প্রতি কুরআনের সতর্কবাণী অবতীর্ণ হয়, যাতে তাদেরকে সম্বল নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তাই শরীয়তে পর্যাপ্ত সম্বল বহন করা কামনীয়। এর পরে তাদেরকে প্রকৃত সম্বল গ্রহণ করার আদেশ দেওয়া হয়, যার সুফল ইহকাল ও পরকালে চিরস্থায়ী। এবং এই একই সম্বল একজন ব্যক্তিকে সবচেয়ে নিখুঁত আনন্দ এবং অনন্তকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ আনতে পারে।

 

﴿وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ﴾ [البقرة: 197].

অনুবাদঃ আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর। নিশ্চয় সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ! তোমরা আমারই তাকওয়া অবলম্বন কর।

পরম করুণাময়ের বান্দারা! অন্তরের ইবাদত হল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদতের ভিত্তি, অন্তরের একটি কাজ রয়েছে যার দ্বারা বান্দার জন্য আনুগত্যের কাজগুলি সহজ হয়ে যায়, যদি তা উপস্থিত থাকে তবে মুমিন ইবাদত আরও সুন্দরভাবে সম্পাদন করে। কারণ এটি ইবাদতের চেতনা, এর সাথে আন্তরিকতা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, আশা, ভয় এবং শ্রদ্ধা ইত্যাদি জড়িত! অর্থাৎ ইবাদতের চেতনা ও হৃদয়ের অনুভূতি। আসুন আমরা নিজেদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই।

 

﴿ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ ﴾ [الذاريات: 55]

অনুবাদঃ আর আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, কারণ নিশ্চয় উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।

আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন এই উপদেশ বক্তা ও শ্রোতা উভয়ের জন্য লাভজনক হয়।

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! যে ব্যক্তি ইবাদত করার সময় এর ফযীলতকে মনের মধ্যে জীবন্ত রাখে, এর সওয়াবের আশা করে এবং তার রবের নৈকট্য অনুভব করে, তখন সে ইবাদতে আনন্দ পায়, তার অভ্যাসও ইবাদতে পরিবর্তিত হয়, কিন্তু যে ব্যক্তি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে ইবাদত করে, কিন্তু তার হৃদয় গাফেল, তখন সে অনেক সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয় ! আর তার ইবাদতগুলোও অভ্যাসে পরিণত হয়।

পরম করুণাময়ের বান্দারা! নামাজ ইসলামের স্তম্ভ, এর অনেক ফজিলত আছে, আমরা প্রতিদিন অনেকবার নামাজ পড়ি, কিন্তু প্রতি রাকাতে কি আল্লাহর সাথে মনে মনে কথা বলার কথা অনুভব করি?

 

সহীহ মুসলিমে হাদীস কুদুসিতে উল্লেখ করা হয়েছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ বলেন, আমি সলাতকে (অর্থাৎ সূরাহ ফাতিহাকে) আমার ও আমার বান্দাহ‘র মধ্যে দু‘ ভাগ করে নিয়েছি। যার এক ভাগ আমার জন্য, আরেক ভাগ আমার বান্দাহ‘র জন্য এবং আমার বান্দাহ আমার কাছে যা চায়, তাকে তাই দেয়া হয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সূরাহ ফাতিহা পাঠ করো। বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আল হামদু লিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন’’- তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করেছে। অতঃপর বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আর-রহমানির রহীম’’- তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাহ আমার গুণগান করেছে। বান্দাহ যখন বলে, ‘‘মালিকি ইয়াওমিদ্দীন’’- তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাহ আমাকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। অতঃপর বান্দাহ যখন বলে, ‘‘ইয়্যাকা না‘বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্‌তাঈন’’- তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে সীমিত এবং আমার বান্দাহ যা প্রার্থনা করেছে- তাই তাকে দেয়া হবে। অতঃপর বান্দাহ যখন বলে, ‘‘ইহদিনাস সিরাত্বাল মুস্তাকীম, সীরাতালাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি ‘আলাইহিম ওয়ালাযযল্লীন’’- তখন আল্লাহ বলেন, এর সবই আমার বান্দাহ‘র জন্য আমার বান্দাহ আমার কাছে যা চেয়েছে, তাকে তাই দেয়া হবে।

প্রশ্ন জাগে, আমরা কি রহমানের উত্তর অনুভব করি?! সূরা ফাতিহা পড়ার পর যখন আমরা আমীন বলি, তখন আমরা কি সেই দুআ অনুভব করি যার জন্য আমরা আমীন বলছি? ! আমরা আমীন বলি, কিন্তু এর অর্থ সম্পর্কে আমরা গাফেল: হে আল্লাহ! গ্রহন করুন। আর জানা উচিত যে, গাফেল হৃদয়ের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। এখন সে দেখুক কেমন করে সে তার রবের সাথে কথা বলে। আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।

আমরা কি রুকুতে আল্লাহর সম্মান অনুভব করি? আমরা সেজদা অবস্থায় নিজেদেরকে বিনীত করি যখন আমরা এই অবস্থায় আল্লাহর সবচেয়ে কাছে থাকি!

আমাদের কি মনে আছে যে, যে ব্যক্তি এশার সালাত জামাতে আদায় করে সে অর্ধেক রাত্রি যাপনের সওয়াব পায় এবং যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাতে আদায় করে সে যেন সারা রাত ইবাদতের সাওয়াব পায়।

আল্লাহর বান্দারা! আপনি যখন আপনার পিতামাতা বা আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে যান বা তাদের সেবা করেন বা যখন আপনি এই কাজটিকে কঠিন মনে করেন, তখন মহান আল্লাহর এই বাণীটি স্মরণ করুন, যা আল্লাহ আত্মীয়তার সম্পর্কে বলেছেন, যেমনটি সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছেঃ তুমি কি এতে খুশি নও যে, তোমার সাথে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবো। আর যে তোমা হতে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো।

এই হাদিসের আলোকে আমাদেরকে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধ হতে হবে, সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

 

﴿ فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ﴾ [محمد: 22، 23]

অনুবাদঃ সুতরাং অবাধ্য হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে সম্ভবত তোমরা যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্নীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে।

এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ লা'নত করেছেন, ফলে তিনি তাদের বধির করেন এবং তাদের দৃষ্টিসমূহকে অন্ধ করেন।

পরম করুণাময়ের বান্দারা! আপনি যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান, তখন আপনাকে অবশ্যই কিছু নেকির আশা করতে হবে, যার মধ্যে ফেরেশতারা আপনার জন্য প্রার্থনা করেন এবং আপনি ফিরে না আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল পেতে থাকেন, যেমনটি হাদিসে বলা হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন রোগীর সেবা-শুশ্রুষা করতে থাকে সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত বেহেশতের ফলমূল আহরণে রত থাকে। (মুসলিম)

আপনি যদি সন্ধ্যায় অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান তবে এটি একটি কল্যাণের দরজা, কারণ আপনি সকাল পর্যন্ত ফেরেশতার দুআ পাবেন, যেমনটি সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

হে আমার বন্ধুরা! উহুদ পাহাড়কে কল্পনার মধ্যে রেখে একজন মুসলমান জানাজায় অংশ নেওয়ার এবং তাকে কবরস্থানে অনুসরণ করার ইচ্ছা জাগে, যদিও জানাজাটি কোন অপরিচিত ব্যক্তির হয়!

পরম করুণাময়ের বান্দারা! সাধারণভাবে, সমস্ত মানুষ একমত যে তারা ভাল আচরণের প্রশংসা করে যেমন হাসিমুখের সাথে দেখা করা, সত্য কথা বলা, সহযোগিতা করা, উদার হওয়া এবং ভাল কথা বলা। কিন্তু একজন মুসলমানের এটা বৈশিষ্ট্য যে, যখন সে সওয়াবের নিয়ত করে তখন সে, আল্লাহর নিকট ইবাদতের সওয়াব পায়, এ কারণে সে আল্লাহর দরবারে মর্যাদা লাভ করে এবং এত বেশি সওয়াব পায় যে, তার আমলনামা ভারী হয়ে যায়।

আল্লাহর বান্দারা! আপনি যখন ক্রয়-বিক্রয় করবেন, তখন যুক্তিসঙ্গত মুনাফা নিন, যতটা আপনি নিজে দিতে পছন্দ করেন, কারণ এটি করার মাধ্যমে আপনি মহান নৈতিকতার পরিচয় দিবেন। তাই এটি মনে রাখবেন যাতে আপনি মহান পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মু‘মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে। (সহীহ বুখারী)

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! চাকরি এবং কাজ একটি আমানত, এটি সম্ভব যে আপনি আপনার কাজকে অবহেলা করবেন এবং কেউ তা জানতে পারবে না! এবং এমনকি যদি জানতেও পারে তো আপনাকে আপনাকে উপেক্ষা করবে বলে আপনার ভরসা। কিন্ত একজন ব্যক্তি যিনি আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস করেন এবং মনে রাখেন যে তার জবাবদিহি হবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োজনীয় ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবেন। যাতে করে নিজেকে বাঁচাতে পারে। সুতরাং ভয় ও আশার অনুভূতি এবং আল্লাহর জ্ঞানের প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তা তাকে তার কাজ ভালোভাবে সম্পাদন করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহর বান্দারা! সিদকা ইবাদতের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ, এটি মুসলমানকে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং সম্পদে বরকত বয়ে আনে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

 

﴿ خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا ﴾ [التوبة: 103]

অনুবাদঃ আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহন করুন । এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন।

আমরা কি এই পুণ্য অনুভব করি? দানকারী কি মনে করেন যে পরম করুণাময় তার দান গ্রহণ করেন, এর পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ

 

﴿ أَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَأْخُذُ الصَّدَقَاتِ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴾ [التوبة: 104]

অনুবাদ: তারা কি জানে না যে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের তাওবাহ্ কবুল করেন এবং ‘সদকা’ গ্রহণ করেন, আর নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু?

যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (যে ব্যক্তি হালাল কামাই থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সদাকাহ করবে, (আল্লাহ তা কবূল করবেন) এবং আল্লাহ কেবল পবিত্র মাল কবূল করেন আর আল্লাহ তাঁর ডান হাত [1] দিয়ে তা কবূল করেন। এরপর আল্লাহ দাতার কল্যাণার্থে তা প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই সদাকাহ পাহাড় বরাবর হয়ে যায়)। (সহীহ বুখারী)

 

الحمد لله القائل ﴿ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ ﴾ [الحج: 32] والقائل ﴿ لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ ﴾ [الحج: 37] وصلى الله وسلم على نبيه القائل " ألا وإن في الجسدِ مُضغَةً: إذا صلَحَتْ صلَح الجسدُ كلُّه، وإذا فسَدَتْ فسَد الجسدُ كلُّه، ألا وهي القلبُ ".

আল্লাহর ইবাদত করার অনুভূতি ও চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আন্তরিকভাবে ইবাদত করা ইহসানের স্তরে পৌঁছানোর উপায়, যা দ্বীনের সর্বোচ্চ স্তর।এহসানের দুটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর হচ্ছেঃ আপনি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন।

দ্বিতীয় স্তরঃ যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।

প্রিয় বন্ধুরা! এটি একটি মহান নিআমতে যে আল্লাহ একজন বান্দাকে রাতের নির্জনতায় তার রবের সামনে দাঁড়ানোর তাওফীক দান করেন। পরকালের ভয় এবং আপনার রবের রহমত আপনার হৃদয়ে বাস করুক। আর যদি সে রাতের তৃতীয় প্রহরে জেগে থাকে, তবে তাকে আল্লাহর নৈকট্য ও তার ওয়াদা স্মরণ করতে হবে।

হাদীসে আছেঃ "কোন প্রার্থনাকারী আছে কি যাকে দেয়া হবে? কোন আহবানকারী আছে কি যার আহবানে সাড়া দেয়া হবে? কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি, যাকে ক্ষমা করা হবে? আল্লাহ তা'আলা ভোর প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এরূপ বলতে থাকেন"। (বুখারী ও মুসলিম)।

 

﴿ وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ * الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ * وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ * إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴾ [الشعراء: 217 - 220].

অনুবাদঃ আর আপনি নির্ভর করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র উপর, যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দাঁড়ান, এবং সাজদাকারীদের মাঝে আপনার উঠাবসা। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

পরম করুণাময়ের বান্দারা! আল্লাহকে স্মরণ করা একটি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত ইবাদত, তাই আমরা কি আল্লাহর স্মরণের সময় এসব ইবাদতের অর্থ ও তাৎপর্য অনুভব করি, কেননা আলহামদুলিল্লাহ বলা মানে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং আল্লাহু আকবার বলা মানে তার সম্মান করা, সুবহানাল্লাহ বলা মানে তার পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং লাহাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া মানে সাহায্যের প্রার্থনা করা।

আলেমগণ বলেন, সর্বোত্তম যিকির হল সেই যিকির যা একই সাথে হৃদয় ও জিহ্বা উভয় দ্বারা করা হয়। এই মহান ফজিলতটি কি আমরা মনে রাখি যে আল্লাহ স্মরণকারীকে স্মরণ করেন! হাদীসে কুদুসিতে এসেছে:আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, আমি সে রকমই, যে রকম বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি বান্দার সঙ্গে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে; আমিও তাকে নিজে স্মরণ করি। আর যদি সে জন-সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করি। (বুখারী ও মুসলিম)

একমাত্র আল্লাহকে স্মরণ করার ফজিলত যদি এটুকুই হতো তাহলে যথেষ্ট হতো। যেমন ইবনুল কাইয়্যিম বলেছেন।

রোজাদার যখন হাদীসে কুদুসিতে বর্ণিত আল্লাহর এই কথা অনুভব করে, তখন সে তার রবের নৈকট্য অনুভব করে এবং রোজার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়ঃ "সে আমারই সন্তোষ অর্জনের জন্য তার প্রবৃত্তি, তার আহার ও তার পান ত্যাগ করেছে"। (বুখারী)

প্রিয় বন্ধুগণ! কুরআন তেলাওয়াত করার সময় আমরা কি আল্লাহর সেই নির্দেশ অনুভব করি যা আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন?

এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদের কাছে এসে বলল: আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন: যখন তোমরা আল্লাহকে (কুরআনে) বলতে শুনবে: হে ঈমানদারগণ! তখন মনোযোগ দিয়ে শোন! কেননা একটি ভাল জিনিস হবে যা আল্লাহ আদেশ করবেন বা একটি খারাপ কাজ হবে যা তিনি নিষেধ করবেন।" আহমাদ শাকির এর সনদকে সহীহ বলেছেন।

পরম করুণাময়ের বান্দারা! স্বভাবতই, এগুলোর অর্থবোধ ও চেতনা ভিন্ন হবে, হৃদয় যত বেশি ঈমানে পরিপূর্ণ হবে, ততই এর অনুভূতি ও চেতনা পরিপূর্ণ হবে। আমাদের নফসের সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব, এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এই স্তরগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকি যা নেকীর কাজে সাহায্য কলবে। নফসের সাথে সংগ্রাম করা, দোয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং যিকরের মজলিসকে আঁকড়ে ধরে রাখা। সম্ভবত এই উদ্দেশ্যেই একে অপরকে উপদেশ দেওয়া ও অসিয়ত করার কথা বলা হয়েছে।

 

﴿ وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ ﴾ [الذاريات: 55].

অনুবাদঃ উপদেশ দিতে থাকুন কেননা উপদেশ মানুষের কাজে আসে।

 

الخطبة باللعة العربية منشورة هنا





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • استشعار التعبد وحضور القلب
  • استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة الأردية)
  • خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة الإندونيسية)
  • خطبة: استشعار التعبد وحضور القلب (باللغة النيبالية)
  • التعبد بترك الحرام واستبشاعه (خطبة) – باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • حين يستحي القلب يرضى الرب (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الصلاة.. راحة القلوب ومفتاح الفلاح (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: الوطن في قلوب الشباب والفتيات(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: غرس الإيمان في قلوب الشباب(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: غرس الإيمان في قلوب الشباب(مقالة - آفاق الشريعة)
  • استشعار عظمة النعم وشكرها (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: ليس منا (الجزء الأول)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: مخاطر إدمان السوشيال ميديا على الشباب(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة بدع ومخالفات في المحرم(مقالة - موقع د. علي بن عبدالعزيز الشبل)
  • الـعـفة (خطبة)(مقالة - موقع أ. د. إبراهيم بن صالح بن عبدالله الحميضي)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • متطوعو أورورا المسلمون يتحركون لدعم مئات الأسر عبر مبادرة غذائية خيرية
  • قازان تحتضن أكبر مسابقة دولية للعلوم الإسلامية واللغة العربية في روسيا
  • 215 عاما من التاريخ.. مسجد غمباري النيجيري يعود للحياة بعد ترميم شامل
  • اثنا عشر فريقا يتنافسون في مسابقة القرآن بتتارستان للعام السادس تواليا
  • برنامج تدريبي للأئمة المسلمين في مدينة كارجلي
  • ندوة لأئمة زينيتسا تبحث أثر الذكاء الاصطناعي في تطوير رسالة الإمام
  • المؤتمر السنوي التاسع للصحة النفسية للمسلمين في أستراليا
  • علماء ومفكرون في مدينة بيهاتش يناقشون مناهج تفسير القرآن الكريم

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 30/5/1447هـ - الساعة: 12:18
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب