• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    وقفات تربوية مع سورة الناس (خطبة)
    رمضان صالح العجرمي
  •  
    لولا بنو إسرائيل
    د. خالد النجار
  •  
    الأشواق (خطبة)
    د. محمد بن عبدالعزيز بن إبراهيم بلوش ...
  •  
    فكأنما وتر أهله وماله (خطبة) - باللغة الإندونيسية
    حسام بن عبدالعزيز الجبرين
  •  
    تفسير سورة العاديات
    أ. د. كامل صبحي صلاح
  •  
    تفسير قوله تعالى: {ولا يحسبن الذين يبخلون بما ...
    سعيد مصطفى دياب
  •  
    توفني مسلما وألحقني بالصالحين
    نورة سليمان عبدالله
  •  
    حديث: طلقت خالتي، فأرادت أن تجد نخلها، فزجرها رجل ...
    الشيخ عبدالقادر شيبة الحمد
  •  
    تصديق ويقين خواص المؤمنين (خطبة)
    د. محمود بن أحمد الدوسري
  •  
    صالح الأخلاق (خطبة)
    الشيخ محمد بن إبراهيم السبر
  •  
    الصلاة نور (خطبة)
    الشيخ عبدالله محمد الطوالة
  •  
    المختصر في معاني أسماء الله الحسنى
    فهد بن عبدالعزيز عبدالله الشويرخ
  •  
    الحديث الثالث والعشرون: من ستر مسلما ستره الله
    الدكتور أبو الحسن علي بن محمد المطري
  •  
    عمود الإسلام (23) الاستفتاح في الصلاة
    الشيخ د. إبراهيم بن محمد الحقيل
  •  
    الرزق (خطبة)
    د. أيمن منصور أيوب علي بيفاري
  •  
    منهج الراسخين في العلم: الترجيح والتسليم رد على ...
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

احذر مظالم الخلق (خطبة) - باللغة البنغالية

احذر مظالم الخلق (خطبة) - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 8/5/2024 ميلادي - 1/11/1445 هجري

الزيارات: 4089

حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعةأرسل إلى صديقتعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ সৃষ্টির উপর জুলুম করা থেকে সতর্ক থাকুন

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله العليمِ الخبير، السميعِ البصير، الديانِ القدير، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له لا يُظْلَمُ العبادُ عنده مقدار قطمير، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله صاحب الحوض والشفاعة، أرسله الله بالبشارة والنذارة.

كتبَ الإلهُ على المآذنِ ذِكْرهُ
فأثار حُبًّا في القلوبِ عظيمَا
أمرَ الإلهُ المؤمنينَ بقولهِ
صلُّوا عليه وسلِّموا تسليمَا

 

অনুবাদ: আল্লাহ তা‘আলা মিনারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করেছেন, যা অন্তরে প্রচণ্ড ভালবাসা সৃষ্টি করেছে। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সমস্ত সাহাবীদের উপর শান্তি ও বরকত বর্ষিত করুন।


আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার উপদেশ দিচ্ছিঃ

﴿ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ﴾ [الحج: 1]

অনুবাদঃ "হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর ; নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার"।

 

ওহ আমার প্রিয়! একজন লোক তার একটি অসুস্থতার কথা বলছিলেন - কয়েক বছর আগের কথা- শেয়ার মার্কেটিং সংকটের সময়, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করছিলেন যে, তিনি এই অসুস্থতার কারণে সম্পদ লোকসানের যন্ত্রণা ভুলে গিয়েছিলেন। কারণ সে তার বন্ধুকে শেয়ার মার্কেটে এতটাই সংকটে দেখেছিলেন যে, সে তার বিবেক হারিয়ে ফেলেছিল। অবশেষে তাকে তায়েফ শহরের শিহার নামক পরিচিত একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই হলো দুনিয়ার দেউলিয়ার অবস্থা, তাহলে পরকালে দেউলিয়া হওয়ার অবস্থা কী হবে?

 

আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি বলতে পার, অভাবী লোক কে? তারা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামাতের দিন সলাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ‘আমাল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক আমাল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হাক তার নেক ‘আমাল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

 

এই হাদিসে দেউলিয়ার প্রকৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা হলো: এমন ব্যক্তি যার পাওনাদার তার কাছ থেকে তার নেক আমল নেবে। এই হাদিস থেকে জানা যায় যে, সমস্ত নেক আমল প্রতিশোধ হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে, এমনকি তার একটিও নেক আমল অবশিষ্ট থাকবে না। এ থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

 

আল্লাহর বান্দারা! হুকুকুল ইবাদের (মানবাধিকার) বিষয়টি খুবই মারাত্মক ও গুরুতর। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি তার ভাই-এর ওপর যুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাই-এর পক্ষে তার নিকট হতে পুণ্য কেটে নেয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোন দ্বীনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তবে তার (মাজলুম) ভাই-এর গোনাহ্ এনে তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে"।

 

ইসলামী ভাইয়েরা! জুলুম বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। ইবনে রজব বলেছেন: "নিষিদ্ধ যে যুলুম তা কখনও কখনও আত্মার উপর করা হয়, এবং এর সবচেয়ে গুরুতর ও মারাত্মক প্রকারটি রক্তের সাথে সম্পর্কিত। কখনো অত্যাচার সম্পদের ওপর আবার কখনো সম্মান ও মর্যাদার ওপর করা হয়।"

 

আল্লাহর বান্দারা! অত্যাচারী তাওবা করলেই মজলুমের অধিকার মাফ করে দেওয়া না, মজলুমের (অত্যাচারিত) কাছে ক্ষমা চাওয়াও আবশ্যক। একজন মুসলমানকে একজন কাফের বা পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, এটি সহীহ মুসলিমে বলা হয়েছে: "এবং আমার সম্মুখে জাহান্নামও পেশ করা হয়েছিল। সেখানে বানী ইসরাঈলের একটি মহিলাকে দেখতে পেলাম। তাকে একটা বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, খানাপানি কিছু দেয়নি। আর ছেড়েও দেয়নি যে তা জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করত (এভাবে অনাহারে বিড়ালটি মারা গেল)"।

 

সহীহ বুখারীতে এসেছে:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যে ব্যাক্তি কোন যিম্মিকে (চুক্তিবদ্ধ্য ব্যক্তি) হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দুরত্ব থেকে পাওয়া যাবে"।

 

কিসাসের (প্রতিশোধ) হাদিস, যা শোনার জন্য জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা:) আবদুল্লাহ ইবনে ওনাইস (রা.)-এর সাথে দেখা করতে এক মাস ভ্রমণ করেছিলেন, এতে উল্লেখ করা হয়েছে:

মহান আল্লাহ বান্দাদেরকে হাশরের ময়দানে একত্র করবেন, তিনি তাঁর হাত দিয়ে সিরিয়া দেশের দিকে ইশারা করলেন, নগ্ন দেহ, খালি পায়ে এবং অভাবগ্রস্ত হয়ে। বর্ণনাকারী বলেন: আমি বললাম: (বুহমান) ) এর অর্থ কি? তিনি বললেনঃ অভাবী। একজন আহ্বানকারী এত জোরে ডাকবে যে দূরের লোকেরাও শুনতে পাবে এবং কাছের লোকেরাও শুনতে পাবে। সে বলবে: আমিই প্রতিশোধ গ্রহণকারী ফিরিশতা। এমন কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না যার কাছে জাহান্নামী কোন অন্যায় দাবি করবে। আর জাহান্নামীদের মধ্যে এমন কাউকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে না যার কাছে জান্নাতবাসীদের কেউ কোনো অন্যায় দাবি করবে, যদিও তা একটি চড়ই হোক। বর্ণনাকারী বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম: (কেউ তার অন্যায়ের বদলা কিভাবে দেবে) যখন আমরা উলঙ্গ, খাৎনা বিহীন ও অভাবী থাকব? তিনি বললেনঃ ভালো কাজ ও মন্দ কাজের মাধ্যমে। এটিকে আহমাদ এবং আলবিনী সহীহ বলেছেন।

 

অতএব, মুসলমানের উপর ওয়াজিব ও জরুরী যে, নিজেকে অত্যাচার থেকে শুদ্ধ করা, হয় সরাসরি বা এমন একজন জ্ঞানী ব্যক্তির সাহায্যে যে তার নিপীড়নের প্রতিশোধ নির্যাতিতকে জানাতে পারে এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে। যদি অনুতপ্ত ব্যক্তি নির্যাতিতদের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অসমর্থ হয় - যেমন তার হকদার সম্পর্কে বা তার মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে- তাহলে তার জন্য নিপীড়িতদের জন্য কিছু ভাল কাজ করা আবশ্যক, যেমন তার জন্য দু‘আ করা, অথবা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা বা তার পক্ষ থেকে দান সাদকা করা।

 

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুসলিম নর বা নারীকে অপবাদ দেয় এবং তার উপর ইসলামী হদ জিরি করা না হয়, তাহলে আখিরাতে তার শাস্তি আরো বেশি করে পাবে। ইকরিমা (রহঃ) বলেন: এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর জন্য খাবার প্রস্তুত করলো, এমন সময় একজন দাসী তার সামনে কাজ করছিল, তখন লোকটি তাকে সম্বোধন করে বললো: হে ব্যভিচারী নারী। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ ক্ষান্ত হও! দুনিয়াতে এই অপবাদের শাস্তি না পেলে আখেরাতে অবশ্যই পাবে। আলবানী একে সহীহ বলেছেন।

 

অধিকাংশ আলেমদের মতে, নামাজ, রোজা এবং হজের মতো নেক আমলের মাধ্যমে শুধুমাত্র ছোটখাট গুনাহ এবং আল্লাহর হক মাফ হয়। কিন্তু যে সমস্ত পাপ বান্দাদের হকের সাথে সম্পর্কিত, তা তাওবা ছাড়া মাফ হয় না এবং তাওবার শর্তের মধ্যে রয়েছে: অত্যাচারের বদলা মজলুমদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

 

بَارَكَ اللهُ لِيْ وَلَكُمْ فِي الْقُرْآن الْعَظِيْمِ وَنَفَعَنِيْ وَإِيَّاكُمْ بِمَا فِيْهِ مِنَ الْآياتِ وَالذِّكْر الحْكِيْمِ, أقُوْلُ قَوْلِيْ هَذَا وَأَسْتَغْفِرُ اللهَ لِيْ وَلَكُمْ.

 

দ্বিতীয় খুৎবাঃ

হামদ ও সালাতের পরে: বান্দাদের অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তার বিষয়টি খুবই গুরুতর, হাদিসে আছে: ‘ঋণ ছাড়া শহীদের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়’ (মুসলিম)। ভেবে দেখুন, শাহাদাতের কারণে মদ্যপান, ব্যভিচার ইত্যাদি মাফ হয়, কিন্তু মানুষের হক মাফ হয় না।

 

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, "খাইবার যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি কিন্তু গানীমাত হিসেবে আমরা সোনা, রুপা কিছুই পাইনি। আমরা গানীমাত হিসেবে পেয়েছিলাম গরু, উট, বিভিন্ন দ্রব্য-সামগ্রী এবং ফলের বাগান। (যুদ্ধ শেষে) আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ওয়াদিউল কুরা পর্যন্ত ফিরে এলাম। তাঁর [নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সঙ্গে ছিল মিদআম নামে তাঁর একটি গোলাম। বানী যিবাব (রাঃ)-এর এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এটি হাদিয়া দিয়েছিল। এক সময়ে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাওদা নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে অজ্ঞাত একটি তীর ছুটে এসে তার গায়ে পড়ল। তাতে গোলামটি মারা গেল। তখন লোকেরা বলতে লাগল, কী আনন্দদায়ক তার এ শাহাদাত! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আচ্ছা? সেই মহান সত্তার কসম! তাঁর হাতে আমার প্রাণ, বণ্টনের আগে খাইবারের গানীমাত থেকে যে চাদরখানা তুলে নিয়েছিল সেটি আগুন হয়ে অবশ্যই তাকে দগ্ধ করবে। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা শুনে আরেক লোক একটি অথবা দু’টি জুতার ফিতা নিয়ে এসে বলল, এ জিনিসটি আমি বণ্টনের আগেই নিয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ একটি অথবা দু’টি ফিতাও হয়ে যেত আগুনের (ফিতা)"।

 

আল্লাহর বান্দারা! মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা একটি মারাত্মক কাজ। ইমাম তাবারী এই আয়াতের

 

﴿ يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ * وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ * وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ ﴾ [عبس: 34 - 36].

তাফসীরে লিখেছেন: “একজন ব্যক্তি তার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এই ভয়ে পালিয়ে যাবে যে, সে যেন তার এবং সেই আত্মীয়দের মধ্যে হয়ে থাকা যুলুম ও অত্যাচারের দাবি না করে বসে"।

 

বরং আপনি বিবেচনা করুন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন শব্দে আল্লাহর পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারের সংবাদ দিয়েছেন, হাদীসে এসেছে: আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক পাওনাদারকে তার পাওনা চুকিয়ে দিতে হবে। এমনকি শিং বিশিষ্ট বকরী থেকে শিং বিহীন বকরীর প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে"।

 

পশুদের মধ্যে যখন বিচারের এই অবস্থা, তখন মানুষদের কী হবে! অন্য হাদিসে উল্লেখ আছে: "আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি, জিন, মানুষ, গবাদি পশু এবং সকল প্রাণীকে একত্রিত করবেন। তাদের মধ্যে আল্লাহর ফয়সালা এমন ইনসাফের ভিত্তিতে হবে যে, শিংবিহীন মেষের জন্য শিংওয়ালা মেষের কাছ থেকে বদলা আদায় করা হবে। তখন আল্লাহ বলবেন যে, তোমরা মাটি হয়ে যাও, তখন কাফের বলবে: "হায়, কাশ! আমিও মাটি হয়ে যেতাম"।

 

বিতাড়িত শাইতান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ ﴾ [الأنبياء: 47].

 

অনুবাদঃ (আর কিয়ামতের দিনে আমরা ন্যায়বিচারের পাল্লাসমূহ স্থাপন করব, সুতরাং কারো প্রতি কোনো যুলুম করা হবে না এবং কাজ যদি শস্য দানা পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও তা আমরা উপস্থিত করব; আর হিসেব গ্রহণকারীরূপে আমরাই যথেষ্ট)।

 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করুন।

 





حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعةأرسل إلى صديقتعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات

شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • احذر مظالم الخلق (خطبة)
  • احذر مظالم الخلق (خطبة) (باللغة الهندية)
  • خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية
  • خطبة: أحاديث عن شر الخبيث (1) - باللغة البنغالية
  • احذر مظالم الخلق (خطبة) (باللغة النيبالية)
  • الله الغفور الغفار (خطبة) باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • خطبة احذر مظالم الخلق (باللغة الأردية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الحديث العشرون: ارتباط الإيمان بحسن الخلق(مقالة - آفاق الشريعة)
  • علة حديث: ((خلق الله التربة يوم السبت))(مقالة - آفاق الشريعة)
  • حديث القرآن عن خلق الأنبياء عليهم السلام(مقالة - آفاق الشريعة)
  • فقه الإحسان (5) الإحسان إلى الخلق(مقالة - موقع الشيخ إبراهيم بن محمد الحقيل)
  • أقسام التوحيد(مقالة - آفاق الشريعة)
  • حسن الخلق (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • السخرية بالخلق حكمها وعواقبها(مادة مرئية - مكتبة الألوكة)
  • تحريم القول بخلق كلام الله ومنه القرآن(مقالة - آفاق الشريعة)
  • "إن كره منها خلقا رضي منها آخر"(مقالة - مجتمع وإصلاح)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • ندوة قرآنية في سراييفو تجمع حفاظ البوسنة حول جمال العيش بالقرآن
  • سلسلة ورش قرآنية جديدة لتعزيز فهم القرآن في حياة الشباب
  • أمسية إسلامية تعزز قيم الإيمان والأخوة في مدينة كورتشا
  • بعد سنوات من المطالبات... اعتماد إنشاء مقبرة إسلامية في كارابانشيل
  • ندوة متخصصة حول الزكاة تجمع أئمة مدينة توزلا
  • الموسم الرابع من برنامج المحاضرات العلمية في مساجد سراييفو
  • زغرب تستضيف المؤتمر الرابع عشر للشباب المسلم في كرواتيا
  • نابريجني تشلني تستضيف المسابقة المفتوحة لتلاوة القرآن للأطفال في دورتها الـ27

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 5/7/1447هـ - الساعة: 12:54
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب