• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة البنغالية

شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 16/2/2025 ميلادي - 18/8/1446 هجري

الزيارات: 1227

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة البنغالية

খুতবার বিষয়ঃ পাপের কুলক্ষণ

প্রথম খুৎবা


الحمد لله الواحدِ القهار، العزيزِ الغفار، وأشهد أن لا إله إلا الله الحليمُ الجبار، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، صادق أمين بليغ العبارة، أُرسل بالبشارة والنذارة، صلى الله وسلم عليه وعلى آله وصحبه ما أظلم ليل وأضاء نهاره.

 

হামদ ও সালাতের পর! পরম

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! আমি আপনাকে এবং নিজেকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি:

﴿ وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ ﴾ [البقرة: 281]

 

অর্থঃ (আর তোমরা সেই দিনের তাকওয়া অবলম্বন কর যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। তারপর প্রত্যেককে সে যা অর্জন করেছে তা পুরোপুরি প্রদান করা হবে। আর তাদের যুলুম করা হবে না)।

 

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, আবূ বুরদাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহাবা আগার (রাযিঃ) হতে শুনেছি, তিনি ইবনু উমর (রাযিঃ) এর নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করো। কেননা আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদিন একশ’ বার তাওবাহ করে থাকি।

 

কিছু পার্থক্যের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আগার্‌র মুযানী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ক্বলবে (কখনো কখনো) আবরণ পড়ে যায়, তাই আমি প্রতিদিন একশ বার ইসতিগফার পাঠ করে থাকি)।

 

ইমাম নাওয়াবী কাজী ইয়ায থেকে এই হাদিসে (উগান) শব্দের অর্থ উদ্ধৃত করেছেন: “একটি অর্থ হল: “আল্লাহর স্মরণে শিথিলতা এবং অলসতা, যেটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত করতেন। তিনি যখন শিথিলতা বা অলসতা অনুভব করতেন, তখন তিনি এটিকে পাপ মনে করতেন এবং এর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতেন।

 

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর যখন এই অবস্থা, তখন আমাদের অধিক পরিমাণে তাওবা এবং ক্ষমা চাওয়া দরকার, কেননা আমরা পাপী এবং গোনাহে নিমজ্জিত।

 

ইসলামী ভাইয়েরা! তওবা ও ক্ষমা এমন একটি বিষয় যার উপর সকল নবীর বিধান একমত, শোয়াইব (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন।

 

﴿ وَاسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌ ﴾ [هود: 90]

 

অর্থঃ (আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাঁর দিকে ফিরে আস; আমার রব তো পরম দয়ালু, অতি স্নেহময়)।

 

নূহ (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেনঃ

﴿ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا * يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا * وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارً ﴾ [نوح: 10، 12]

 

অর্থঃ (তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন।এবং তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা ।

 

আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শেষ নবীকে আদেশ দেন যে, তিনি যেন তাঁর সম্প্রদায়কে বলেনঃ

﴿ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنَّنِي لَكُمْ مِنْهُ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ * وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُمَتِّعْكُمْ مَتَاعًا حَسَنًا إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى وَيُؤْتِ كُلَّ ذِي فَضْلٍ فَضْلَهُ ﴾ [هود: 2، 3]

 

অর্থঃ (তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তারপর তাঁরদিকে ফিরে আস, তিনি তোমাদেরকে এক নির্দিষ্ট কালের এক উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন এবং তিনি প্রত্যেক গুণীজনকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দান করবেন)।

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! তাওবা ও ক্ষমার মাধ্যমে আমরা আমাদের গুনাহগুলোকে মুছে ফেলি, তওবা ও ক্ষমার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে আল্লাহর গজব ও শাস্তি থেকে রক্ষা করি।আল্লাহ কি বলেননি:

﴿ وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ ﴾ [الشورى: 30]

 

অর্থঃ (আর তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তোমাদের হাত যা অর্জন করেছে তার কারণে এবং অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন)।

 

আল্লাহ তা‘আলা কি বলেন নিঃ

﴿ ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ ﴾ [الروم: 41]

 

অর্থঃ (মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে)।

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! পাপের মধ্যে ইহকাল ও পরকালের অশুভ লক্ষণ রয়েছে। পৃথিবীতে পাপের অশুভ লক্ষণ হল: পাপ হৃদয়কে শক্ত ও মরিচায় পরিণত করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴾ [المطففين: 14]

অর্থঃ (কখনো নয়; বরং তারা যা অর্জন করেছে তা-ই তাদের হৃদয়ে জঙ্ ধরিয়েছে)

 

কখনো কখনো এসব গুনাহের কারণে অন্তরে মোহর পড়ে যায়, আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেনঃ

﴿ أَنْ لَوْ نَشَاءُ أَصَبْنَاهُمْ بِذُنُوبِهِمْ وَنَطْبَعُ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ ﴾ [الأعراف: 100]

 

অর্থঃ আমরা ইচ্ছে করলে তাদের পাপের দরুন তাদেরকে শাস্তি দিতে পারি ? আর আমরা তাদের হৃদয় মোহর করে দেব, ফলে তারা শুনবে না ।

 

গুনাহের একটি অশুভ লক্ষণ হল: মানুষ অপমানিত হয় এবং সত্য থেকে বিপথগামী হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ﴾ [المائدة: 49]

 

অর্থঃ অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে রাখুন আল্লাহ তাদেরকে কেবল তাদের কোন কোন পাপের জন্য শাস্তি দিতে চান।

 

পাপের একটি কুলক্ষণ হল: ক্ষুধা এবং আনন্দের পতন:

﴿ وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا قَرْيَةً كَانَتْ آمِنَةً مُطْمَئِنَّةً يَأْتِيهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِنْ كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِأَنْعُمِ اللَّهِ فَأَذَاقَهَا اللَّهُ لِبَاسَ الْجُوعِ وَالْخَوْفِ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ ﴾ [النحل: 112]

 

অর্থঃ আর আল্লাহ্‌ দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন এক জনপদের যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেখানে আসত সবদিক থেকে তার প্রচুর জীবনোপকরণ। তারপর সে আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ অস্বীকার করল, ফলে তারা যা করত সে জন্য আল্লাহ্‌ সেটাকে আস্বাদ গ্রহণ করালেন ক্ষুধা ও ভীতির আচ্ছাদনের।

 

পাপের একটি কুলক্ষণ: মারাত্মক শাস্তির আকারে প্রকাশি হয়ঃ

﴿ فَكُلًّا أَخَذْنَا بِذَنْبِهِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِبًا وَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ وَمِنْهُمْ مَنْ خَسَفْنَا بِهِ الْأَرْضَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَغْرَقْنَا وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ﴾ [العنكبوت: 40]

 

অর্থঃ সুতরাং তাদের প্রত্যেককেই আমরা তার অপরাধের জন্য পাকড়াও করেছিলাম। তাদের কারো উপর আমরা পাঠিয়েছিলাম পাথরকুচিসম্পন্ন প্রচণ্ড ঝটিকা, তাদের কাউকে আঘাত করেছিল মহানাদ, কাউকে আমরা প্রোথিত করেছিলাম ভূগর্ভে এবং কাউকে আমরা করেছিলাম নিমজ্জিত। আর আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তাদের প্রতি যুলুম করবেন; বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিজুলুম করেছিল।

 

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ أَفَأَمِنَ الَّذِينَ مَكَرُوا السَّيِّئَاتِ أَنْ يَخْسِفَ اللَّهُ بِهِمُ الْأَرْضَ أَوْ يَأْتِيَهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ ﴾ [النحل: 45]

 

অর্থঃ যারা কু-কর্মের ষড়যন্ত্র করে তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের উপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে, তারা উপলব্ধিও করবে না?

 

এবং কখনও কখনও আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর অকস্মাৎ এসে পড়েঃ

﴿ وَاتَّبِعُوا أَحْسَنَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ ﴾ [الزمر: 55]

 

অর্থঃ আর তোমরা তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের কাছ থেকে উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ কর, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার আগে, অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।

 

পাপের অশুভ লক্ষণ এই যে, তার কারণে আল্লাহতায়ালা জালিমদের একে অপরের উপর চাপিয়ে দেনঃ

﴿ وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴾ [الأنعام: 129]

 

অর্থঃ আর এভাবেই আমারা যালিমদের কতককে কতকের বন্ধু বানিয়ে দেই, তারা যা অর্জন করত তার কারণে।

 

গুনাহের একটি অশুভ লক্ষণ হল তা পরিবেশে অশান্তি সৃষ্টি করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُمْ بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ﴾ [الروم: 41]

 

অর্থঃ মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে; ফলে তিনি তাদেরকে তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।

 

এটাও গুনাহের অশুভ লক্ষণ যে বরকত কমে যায় এবং রিযিকের অভাব হয়। আল্লাহ তা‘আলাই বলেনঃ

﴿ وَأَلَّوِ اسْتَقَامُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ لَأَسْقَيْنَاهُمْ مَاءً غَدَقًا ﴾ [الجن: 16]

 

অর্থঃ আর তারা যদি সত্য পথে প্রতিষ্ঠিত থাকত তবে অবশ্যই তাদেরকে আমরা প্রচুর বারি বর্ষণে সিক্ত করতাম।

 

তিনি আরো বলেনঃ

﴿ وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ﴾ [الأعراف: 96]

 

অর্থঃ আর যদি সে সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও যমীনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।

 

যতদূর আখিরাতে গুনাহের অশুভ লক্ষণের কথা, তা কবর ও জাহান্নামের শাস্তির কারণ হওয়াই যথেষ্ট, আল্লাহ আমাদের এই উভয় শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

 

﴿ فَأَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ * فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَاضِيَةٍ * وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ * فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ * وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ * نَارٌ حَامِيَةٌ ﴾ [القارعة: 6 – 11]

 

অর্থঃ যার পাল্লাসমূহ ভারী হবে, সে থাকবে সন্তোষজনক জীবনে, আর যার পাল্লাসমূহ হালকা হবে তার স্থান হবে হাওয়িয়াহ, তুমি কি জান হাওয়িয়াহ কি? তা অত্যন্ত উত্তপ্ত আগুন।

 

আমি এখানে একটি কবিতা পেশ করছিঃ

 

إذا لم يعظ في الناس مَن هو مذنبٌ
فمن يعظ العاصين بعد مُحمدِ

অর্থঃ পাপী যদি মানুষের উপদেশের উৎস না হয়, তাহলে মুহাম্মদের পর পাপীদের উপদেশ দেবে কে?

 

আল্লাহ আমাকে এবং আপনাকে ক্ষমা করুন, আমার এবং আপনার তাওবা কবুল করুন এবং আমার এবং আপনার গোনাহ ঢেকে রাখুন, নিশ্চয় তিনি গোনাহ গোপনকারী, তওবা কবুলকারী এবং পরম করুণাময়।

 

দ্বিতীয় খুতবা


الحمد لله القائل: ﴿ وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِمَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى ﴾ [طه: 82]، وصلى الله وسلم على رسولنا المستغفر التواب وعلى الآل والأصحاب .

 

হামদ ও সালাতের পরঃ

এটা শয়তানের কৌশল কুমন্ত্রণা যে সে আমাদের পাপ করার সাহস জোগায় এবং যুক্তি দেয় যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়, অথচ আল্লাহ বলেছেন:

 

﴿ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ لِلنَّاسِ عَلَى ظُلْمِهِمْ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ الْعِقَابِ ﴾ [الرعد: 6]

 

অর্থঃ আর নিশ্চয় আপনার রব মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল তাদের যুলুম সত্ত্বেও এবং নিশ্চয় আপনার রব শাস্তি দানে কঠোর ।

 

আল্লাহর বান্দা! যখন আপনার আত্মা আপনাকে বলে: নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়, আপনি যদি পাপ করেন তবুও তিনি আপনাকে শাস্তি দেবেন না, তখন আপনি তাকে বলবেন: আদম এবং হাওয়া কি শুধু এই কারণেই আনন্দময় জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়নি যে, তারা একটি মাত্র নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছে বলে?!

 

এবং বল: হে আমার আত্মা! তুমি কি জানো না যে, যখন ইউনুস (আঃ) তার জাতি ছেড়ে চলে গেলেন, তখন তার জীবন কঠিন হয়ে পড়েছিল যতক্ষণ না একটি মাছ তাকে গ্রাস করেছিল, তারপর তিনি তওবা করেছিলেন এবং আল্লাহ তার তওবা কবুল করেছিলেন।

 

যদি আপনার আত্মা আপনাকে বলে: আমার উপর কঠোর হবেন না, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না যে বড় পাপের অপরাধী এবং অবিশ্বাসীরা প্রচুর পরিমাণে জীবিকা, স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার সাথে বসবাস করছে? সুতরাং আপনি বলুন: আপনি কি আল্লাহর এই বাণী শোনেননি:

 

﴿ وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللَّهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوا مَا تَرَكَ عَلَى ظَهْرِهَا مِنْ دَابَّةٍ وَلَكِنْ يُؤَخِّرُهُمْ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِعِبَادِهِ بَصِيرًا ﴾ [فاطر: 45]

 

অর্থঃ আর আল্লাহ্ মানুষদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলে, ভূ-পৃষ্ঠে কোনো প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন তো আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা ।

 

হে আত্মা তুমি কি আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে গাফিল আছঃ

 

﴿ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي الْبِلَادِ * مَتَاعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ﴾ [آل عمران: 196، 197]

 

অর্থঃ যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর এটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল!

 

র্ণিত আছে যে, উমর (রাঃ) সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস এবং তার বাহিনীকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে: "বলো না: "আমাদের শত্রু আমাদের চেয়ে খারাপ, সুতরাং আমরা খারাপ আচরণ করলেও আমরা জয়ী হব। কিন্তু তা বলা যাবে না, কারণ অনেক জাতি তাদের চেয়েও নিকৃষ্ট লোকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেমন বানী ইসরাঈলরা যখন এমন কাজ করেছিল যা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেছিল, তখন মাজুসি (অগ্নিপূজক) কাফেরদের দ্বারা তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা তাদের ঘরে ছড়িয়ে পড়ল এবং আল্লাহর ওয়াদা পূর্ণ হয়েছিল।

 

আবু দারদা' (রাঃ) বলেন: "মানুষ যখন আল্লাহর হুকুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তারা আল্লাহর কাছে খুবই অপমানিত ও তুচ্ছ হয়।"

 

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم: ﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴾ [التحريم: 8]

 

অর্থঃ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর---বিশুদ্ধ তাওবা ; সম্ভবত তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না নবীকে এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের নূরকে পূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করুন।

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • خطبة: بر الوالدين (باللغة البنغالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (1) أخطاء محرمة (باللغة البنغالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (2) سنن قولية (باللغة البنغالية)
  • خطبة: صفة الصلاة (3) سنن فعلية (باللغة البنغالية)
  • من مشكاة النبوة (3) ذو العقيصتين (خطبة)- باللغة البنغالية
  • من مشكاة النبوة (5) "يا أم خالد هذا سنا" (خطبة) - باللغة البنغالية
  • خطبة: (تجري بهم أعمالهم) - باللغة البنغالية
  • خطبة: لفت الأنظار للتفكر والاعتبار (1) - باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • من مشكاة النبوة (5) "يا أم خالد هذا سنا" (خطبة) - باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • شؤم الذنوب (خطبة) باللغة الإندونيسية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • شؤم الذنوب (خطبة) (باللغة الهندية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة شؤم الذنوب (باللغة الأردية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • شؤم الذنوب (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • فقه يوم عاشوراء (باللغة الفرنسية)(كتاب - موقع د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر)
  • كيفية الصلاة على الميت: فضلها والأدعية المشروعة فيها (مطوية باللغة الأردية)(كتاب - مكتبة الألوكة)
  • شؤم اللعن (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • صفر والشؤم(محاضرة - موقع د. علي بن عبدالعزيز الشبل)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • إعادة افتتاح مسجد تاريخي في أغدام بأذربيجان
  • ستولاك تستعد لانطلاق النسخة الثالثة والعشرين من فعاليات أيام المساجد
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي
  • بعد 14 عاما من البناء.. افتتاح مسجد منطقة تشيرنومورسكوي
  • مبادرة أكاديمية وإسلامية لدعم الاستخدام الأخلاقي للذكاء الاصطناعي في التعليم بنيجيريا
  • جلسات تثقيفية وتوعوية للفتيات المسلمات بعاصمة غانا

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 24/1/1447هـ - الساعة: 22:30
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب