• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | أسرة   تربية   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    أساليب التربية في ضوء القرآن والتربية الحديثة
    محمد أحمد عبدالباقي الخولي
  •  
    مفترق الطرق: قرارات مصيرية في عمر الشباب
    محمود مصطفى الحاج
  •  
    القائد وضجيج الترند
    نهى سالم الرميحي
  •  
    التساهل في المنازل من أسباب المهازل
    شعيب ناصري
  •  
    المحطة العشرون: البساطة
    أسامة سيد محمد زكي
  •  
    ضبط سلوكيات وانفعالات المتربي على قيمة العبودية
    د. أيمن أبو مصطفى
  •  
    تأملات في المساواة والعدالة الاجتماعية في القرآن ...
    د. منى داود باوزير
  •  
    التعليم الإلكتروني والشباب: نقلة نوعية أم بديل
    محمود مصطفى الحاج
  •  
    قواعد قرآنية في تقوية الحياة الزوجية
    د. حسام العيسوي سنيد
  •  
    هل فقدنا ثقافة الحوار؟
    محمود مصطفى الحاج
  •  
    المحطة التاسعة عشرة: الصبر
    أسامة سيد محمد زكي
  •  
    حقوق الزوج على زوجته
    د. أمير بن محمد المدري
  •  
    المحطة الثامنة عشرة: الحكمة
    أسامة سيد محمد زكي
  •  
    المرأة بين تكريم الإسلام وامتهان الغرب (2)
    نجلاء جبروني
  •  
    حاجتنا إلى التربية
    محمد حسني عمران عبدالله
  •  
    المرأة بين تكريم الإسلام وامتهان الغرب (1)
    نجلاء جبروني
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

الله الغفور الغفار (خطبة) باللغة البنغالية

الله الغفور الغفار (خطبة) باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 7/7/2024 ميلادي - 1/1/1446 هجري

الزيارات: 1853

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله الواسعِ المجيدِ النصير، الكافيِ المتينِ القدير، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، الغفورُ الودودُ الكبير، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله خُلُقُه القرآن، أكُرِم بالشفاعة وأعلى الجنان، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلَّم تسليمًا كثيرًا.


হামদ ও সালাতের পর!

 

আমি আপনাকে এবং নিজেকে তাকওয়া অবলম্বন করার উপদেশ দিচ্ছি। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ يُؤْتِكُمْ كِفْلَيْنِ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيَجْعَلْ لَكُمْ نُورًا تَمْشُونَ بِهِ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴾ [الحديد: 28]

অনুবাদঃ (হে মুমিনগন! আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বল কর এবং তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আন। তিনি তাঁর অনুগ্রহে তোমাদেরকে দেবেন দ্বিগুন পুরুষ্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দেবেন নূর, যার সাহায্যে তোমারা চলবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।


পরম করুণাময়ের বান্দারা! মহান আল্লাহ সম্পর্কে কথা বলার মাধ্যমে, আমাদের হৃদয় কোমল হয়, ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর যখন ঈমান মজবুত হয়, তখন মুমিন আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং পাপ ও অবাধ্যতাকে ঘৃণা করে। যিকির ও ইলমের সমাবেশের গুণ ও ফযীলত শ্রেষ্ঠত্ব এটা যে, তাদের উপর শান্তিধারা অবতীর্ণ হয়। রহমাত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং ফেরেশতাগণ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন। আর আল্লাহ তা’আলা তার নিকটবর্তীদের (ফেরেশতাগণের) মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন। তিনি তাদের ক্ষমা করেন। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করি, আজ আমরা আল্লাহর পরম করুণাময় নাম (আল-গফুর) সম্পর্কে আলোচনা করব।


হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আল্লাহর ক্ষমার মধ্যে রয়েছে গুনাহ মাফ এবং বান্দার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখাও এর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর (আল-গাফুর) নামেরও একই অর্থ রয়েছে: "গাফিরুয-যাম্বি" (পাপ ক্ষমাকারী) এই নামটি আল্লাহর বাণীতে এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ

﴿ غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ﴾ [غافر: 3]

অর্থঃ (পাপ ক্ষমাকারী, তাওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তি প্রদানকারী, অনুগ্রহ বর্ষণকারী। তিনি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। ফিরে যাওয়া তাঁরই কাছে)।


(আল-গাফুর)-এর একটি অনুরূপ নাম রয়েছে: (আল-গাফফার), এই নামটি পবিত্র কুরআনের পাঁচটি স্থানে এসেছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে আল্লাহর এই বাণীঃ

﴿ وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِمَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى ﴾ [طه: 82]

অর্থঃ (আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তারপর সৎপথে অবিচল থাকে)।


শায়খ সাদী আল্লাহ এ উক্তি সম্পর্কে বলেনঃ (ল-গাফ্ফার) শব্দের অর্থঃ সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।


(আল-গফুর) নামের ক্ষেত্রে বলি যে, এই নামটি পবিত্র কুরআনে 91টি জায়গায় এসেছে, তন্মধ্যে, এই নামটি (আল-রহিম) নামের সাথে 72 জায়গায় এসেছে। সম্ভবত এটি ফলাফলের সাথে কারণকে সংযুক্ত করে উল্লেখ করার মতো। কারণ বান্দারা আল্লাহর রহমতের কারণে ক্ষমা লাভ করে। এবং (আল-আজিজ) নামের সাথে (আল-গফুর) নামটিও উল্লেখ করা হয়:

﴿ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ ﴾ [الزمر: 5]

অনুবাদঃ তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিন দ্বারা । সূর্য ও চাঁদকে তিনি করেছেন নিয়মাধীন। প্ৰত্যেকেই পরিক্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। জেনে রাখে, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


এই দুটি নামের সমন্বয়ের কারণ হল, আল্লাহর ক্ষমা তাঁর সম্মান ও উচ্চতা এবং শক্তি ও ক্ষমতার দ্বারা অর্জিত হয়, দুর্বলতা কারণে নয়, এ কারণেই মানুষ সেই ব্যক্তিকে সম্মান যে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মাফ করে। একইভাবে (আল-গফুর) নামের সাথে (আল-ওদুদুদ) নামটি উল্লেখ করা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ ﴾ [البروج: 14]

অর্থঃ (এবং তিনি ক্ষমাশীল, অতিস্নেহময়)।


এ আয়াতে বান্দার জন্য সুসংবাদ রয়েছে যে, আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন এবং তাকে ভালোবাসেন। যেমন মহান আল্লাহ নিজের সম্পর্কে বলেছেন:

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ ﴾ [البقرة: 222]

অর্থঃ (নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং তাদেরকেও ভালোবাসেন যারা পবিত্র থাকে)।


অথচ মানুষের অবস্থা এমন যে, ক্ষমা করলেও সে ভালোবাসে না, আর কখনো ক্ষমা করলে ভয় ও মন্দ আচরণ বিদ্যমান থাকে যা। কিন্তু আল্লাহ যিনি আল-গফুর ও আল-কারীম তা করেন না! "আল-গফুর" নামটি "আল-আফুউ" এর সাথেও উল্লেখ করা হয়েছে:

﴿ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا ﴾ [النساء: 43]

অর্থঃ (নিশ্চয় আল্লাহ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল)।


এই দুটি নাম সমার্থক। এ দুটির মধ্যে না জিজ্ঞাসাবাদ ও ধর-পকড় না করার অর্থ নিহিত রয়েছে। তবে (আল-গফুর) এর মধ্যে দোষ-ত্রুটি ঢাকার একটি অতিরিক্ত অর্থও রয়েছে। তাই অতীতে মুজাহিদরা বর্মের সাথে সংযুক্ত টুপির নিচে যে জিনিস পরিধান করতেন তাকে (আরবীতে) মিগফার বলা হয়। যাতে তা তাকে রক্ষা করে এবং একই সাথে তার মাথা লুকিয়ে রাখে।


আল্লাহর বান্দারা! আল্লাহ তা‘আলা নিজেকে ক্ষমাশীল বলেছেন, কারণ তিনি যখন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তিনি জানতেন যে তারা পাপ করবে এবং ক্ষমা চাইবে। তাই সহীহ হাদীসে এসেছেঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (যে সত্তার হাতে আমার জীবন, আমি তার কসম করে বলছি, তোমরা যদি পাপ না করতে তবে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে এমন সম্প্রদায় বানাতেন যারা পাপ করে ক্ষমা চাইতো এবং তিনি তাদের মাফ করে দিতেন)।


আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় রব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, (জনৈক বান্দা পাপ করে বলল, হে আমার রব! আমার পাপ মার্জনা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা’আলা বললেন, আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে ধরেন। এ কথা বলার পর সে আবার পাপ করল এবং বলল, হে আমার রব! আমার পাপ ক্ষমা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা’আলা বললেন, আমার এক বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে শাস্তি দিতে পারেন। তারপর সে পুনরায় পাপ করে বলল, হে আমার রব! আমার পাপ মাফ করে দাও। এ কথা শুনে আল্লাহ তা’আলা পুনরায় বলেন, আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন প্রভু আছে, যিনি বান্দার পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে পাকড়াও করেন। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে বান্দা! এখন যা ইচ্ছা তুমি আমাল করো। আমি তোমার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি)। বুখারী ও মুসলিম


যদি শয়তান আপনার কাছে পাপকে সহজ এবং তুচ্ছ বলে উপস্থাপন করে, তবে আপনি তাকে বলবেন, "হে পাপীঃ

﴿ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ ﴾ [التوبة: 4]

অর্থঃ (নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালবাসেন)।


এবং এটাও বলুন যে, হে লাঞ্ছিত! শোনঃ

﴿ إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ ﴾ [الملك: 12]

অর্থঃ (নিশ্চয় যারা গায়েব অবস্থায় তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার)।


হে বন্ধুগণ! যখন আল্লাহ তা‘আলা খৃষ্টানদের এ উক্তিটি উল্লেখ করেনঃ

﴿ إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ ﴾ [المائدة: 73]

অর্থঃ (আল্লাহ তো তিনের মধ্যে তৃতীয়)।


এর পরেই আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴾ [المائدة: 74]

অর্থঃ (তবে কি তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে না ও তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।


হে আল্লাহ! আমার আগের পরের এবং লুক্কায়িত প্রকাশ্যগুনাহসমূহ আপনিক্ষমা করে দিন। আপনি কোন ব্যক্তিকে অগ্রসরমান করেন, আর কোন ব্যক্তিকে পশ্চাদপদ করেন, আপনি ব্যতীত সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই।

﴿ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ ﴾ [المؤمنون: 118]

অর্থঃ (হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু)।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله القائل: ﴿ نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ * وَأَنَّ عَذَابِي هُوَ الْعَذَابُ الْأَلِيمُ ﴾ [الحجر: 49، 50]، وصلى الله وسلم على نبيه المخبر عن ربه أنه ينادي كل ليلة في الثلث الأخير: "هل من مستغفرٍ فأغفر له"، وعلى آله وصحبه.

 

সালাত ও সালামের পর!

এটা আল-গফুর (আল্লাহ) এর রহমত যে তিনি আমাদের জন্য অনেক কাজকে গুনাহ মাফের মাধ্যম হিসেবে করেছেন, যেমন তাওহীদ, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, নামাজের জন্য হাঁটা, নামাযের পর মসজিদে বসা, এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। এগুলিকে মাগফিরাত লাভের মাধ্যম করা হয়েছে। একইভাবে জুমার নামাজ, রমজানের রোজা ও তাহাজ্জুদ, ক্বদরের রাতে কিয়ামুল লাইল, সাদাকাহ ও হজ এবং সকল যিকির ও নেক আমলকে ক্ষমা লাভের মাধ্যম করা হয়েছে। অনেক সময় আল্লাহ বান্দাকে এমন কাজের জন্য ক্ষমা করে দেন যা তিনি পরোয়া করেন না!


পরম করুণাময়ের বান্দারা! আল্লাহর মহামূল্যবান নাম (আল-গাফুর) এর প্রতি বিশ্বাস বান্দার উপর অনেক প্রভাব ফেলে, যেমন: আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, বান্দাদের প্রতি তাঁর করুণা এবং তাদের পাপ ক্ষমা করার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের জন্য আশার দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। পরম করুণাময় আল্লাহ বলেন:

﴿ قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ﴾ [الزمر: 53]

অর্থঃ (বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।


এই প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: (বান্দা) অনেক সৎকাজ করে, আল্লাহ বলেন:

﴿ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ﴾ [هود: 114]

অর্থঃ (আর আপনি সালাত কায়েম করুন দিনের দু প্রান্তভাগে ও রাতের প্রথমাংশে । নিশ্চয় সৎকাজ অসৎ কাজকে মিটিয়ে দেয় । উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটা এক উপদেশ)।


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষু করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে তার উড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল)।


আল্লাহর নামে (আল-গাফুর) এর প্রতি ঈমানের প্রভাবের মধ্যে রয়েছে: বান্দা প্রায়শই নিজের জন্য, তার পিতা-মাতা এবং মুসলিম ভাইদের জন্য ক্ষমা ও ইস্তিগফার প্রার্থনা করে, কারণ ইস্তিগফার হৃৎপিণ্ডের (রোগ) এর ওষুধ এবং পাপ মুছে ফেলার উপায়। ক্ষমা প্রার্থনা করার মাধ্যমে, যার গুনাহ মাফ হয়ে গেছে সেও উপকৃত হয়, অর্থাৎ তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, এটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনঃ (জান্নাতে মানুষের মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা হবে। সে বলবে, এটা (মর্যাদা বৃদ্ধি) কিভাবে হল? বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার বদৌলতে)। ইবনে মাজাহ এবং আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।


আল্লাহর নাম (আল-গাফুর)-এর প্রতি ঈমান আনার একটি প্রভাব হল: আল্লাহর প্রতি ভালো ধারনা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভালো আশা বজায় থাকে। (বান্দা) তার রবের কাছে তাওবাহ করে এবং তার নিকট বিনীত বোধ করে। এছাড়াও, এর একটি প্রভাব হল: মানুষ মানুষের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করার জন্য এবং তাদের দোষ ঢাকতে নিজের নফস দিয়ে চেষ্টা করে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নেক বান্দাদের সম্পর্কে বলেছেন:

﴿ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ﴾ [آل عمران: 134]

অর্থঃ (এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল)।


তিনি আরো বলেনঃ

﴿ وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴾ [النور: 22]

অর্থঃ (তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে এবং তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে । তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন ? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।


আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (এক লোক মানুষের সাথে লেনদেন করত। সে তার গোলামকে বলে দিত, তুমি যখন কোন অভাবগ্রস্তের কাছে যাবে তখন তাকে ক্ষমা করে দিবে। হয়ত আল্লাহ আমাদেরকেও ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে মিলিত হলো। আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন)। (মুসলিম)


কতই না ভালো হতো যদি আমরা নিজেদের মধ্যে ক্ষমার প্রসার করি, আত্মীয়রা তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে, ছাত্ররা শিক্ষকদের সঙ্গে এবং স্বামীরা স্ত্রীদের সঙ্গে।

أسيرُ الخطايا رهينُ البلايا
كثيرُ الشكايا قليلُ الحيل
يُرَجِّيْك عفوًا وأنتَ الذي
تجودُ على من عصى أو غفل
إلهي أثِبْني إلهي أجبني
ووفِّقْ -إلهي- لخيرِ العمل


অনুবাদ: যে ব্যক্তি পাপের মধ্যে নিমজ্জিত সে কষ্টের যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে। একজন ব্যক্তি যিনি খুব প্রায়ই অভিযোগ করে তার নিকট পরিকল্পনা খুব কম থাকে। তিনি আপনার কাছ থেকে ক্ষমা আশা করছেন আর আপনি অবাধ্য ও গাফেলদের ওপরই আপনার অনুগ্রহ ও দয়া বর্ষণ করেন। হে আমার পালনকর্তা! আমাকে সাওয়াব ও প্রতিদান দান করুন, আমার দুআ কবুল করুন এবং আমাকে নেক আমল করার সুযোগ দিন।

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • احذر مظالم الخلق (خطبة) - باللغة البنغالية
  • أسباب التوفيق للعمل الصالح والتقوى (خطبة) باللغة البنغالية
  • الاعتراف يهدم الاقتراف (خطبة) باللغة البنغالية
  • الله الرفيق (خطبة) باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • من مشكاة النبوة (5) "يا أم خالد هذا سنا" (خطبة) - باللغة النيبالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: {وأنيبوا إلى ربكم} (باللغة البنغالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • وقفات مع الذكاء الاصطناعي (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • تقنية الذكاء بين الهدم والبناء (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: مفهوم الرذيلة عند الشباب(مقالة - آفاق الشريعة)
  • سلسلة شرح الأربعين النووية: الحديث (27) «البر حسن الخلق» (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • المراهقون بين هدي النبوة وتحديات العصر (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • بين عام غابر، وعام زائر (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • كف الأذى عن الناس (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • كن ذكيا واحذر الذكاء الاصطناعي (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • أهالي قرية شمبولات يحتفلون بافتتاح أول مسجد بعد أعوام من الانتظار
  • دورات إسلامية وصحية متكاملة للأطفال بمدينة دروججانوفسكي
  • برينجافور تحتفل بالذكرى الـ 19 لافتتاح مسجدها التاريخي
  • أكثر من 70 متسابقا يشاركون في المسابقة القرآنية الثامنة في أزناكاييفو
  • إعادة افتتاح مسجد تاريخي في أغدام بأذربيجان
  • ستولاك تستعد لانطلاق النسخة الثالثة والعشرين من فعاليات أيام المساجد
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 2/2/1447هـ - الساعة: 11:46
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب