• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | أسرة   تربية   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    اكتشاف العبقرية لدى الأطفال وتنميتها والمحافظة ...
    د. محمد موسى الأمين
  •  
    إدمان مواقع التواصل الاجتماعي
    عدنان بن سلمان الدريويش
  •  
    الإعاقات العقلية، والذهنية
    سلامة إبراهيم محمد دربالة النمر
  •  
    الدعاء للأبناء سنة الأنبياء
    د. عبدالعزيز بن سعد الدغيثر
  •  
    إدمان متابعة المشاهير
    عدنان بن سلمان الدريويش
  •  
    الإعاقات الحسية
    سلامة إبراهيم محمد دربالة النمر
  •  
    الإهمال في تربية الطفل وكيفية علاجه من المنظور ...
    مازن أيمن عبدالإله محمد شتا
  •  
    إدمان الوجبات السريعة
    عدنان بن سلمان الدريويش
  •  
    التربية النبوية منهج حياة
    أحمد محمد القزعل
  •  
    استخدام الألعاب اللغوية بين الوعي وسوء الفهم
    محمد عبدالله الجالي
  •  
    الإعاقة الجسدية
    سلامة إبراهيم محمد دربالة النمر
  •  
    أثر النية الحسنة في الأعمال
    د. أمين بن عبدالله الشقاوي
  •  
    ما فوائد النجاح؟
    أسامة طبش
  •  
    كيف تختار زوجة أو زوجا لحياة سعيدة في المغرب؟ ...
    بدر شاشا
  •  
    كيف كانت تربينا أمي بدون إنترنت؟
    آية عاطف عويس
  •  
    فخ أكاذيب التنمية البشرية
    سمر سمير
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: عداوة الشيطان في القرآن (باللغة البنغالية)

خطبة: عداوة الشيطان في القرآن (باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 26/4/2025 ميلادي - 28/10/1446 هجري

الزيارات: 2016

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ কুরআনে শাইতানের শত্রুতা

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله أنشأ الكون من عدم وعلى العرش استوى، أرسل الرسل وأنزل الكتب تبيانًا لطريق النجاة والهدى، نحمده - جل شأنه - ونشكره على نِعَمٍ لا حصر لها ولا منتهى. وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له يرتجى، وأشهد أن نبينا محمدًا عبد الله ورسوله الحبيب المصطفى، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه ومن سار على النهج واقتفى

 

হামদ ও সালাতের পর!

আমি তোমাদের এবং নিজেকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি, কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করবেন, তাকে মহান পুরস্কার দান করবেন, তার কষ্ট দূর করবেন এবং তার সমস্ত কাজ সহজ করে দিবেনঃ

﴿ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ وَاخْشَوْا يَوْمًا لَّا يَجْزِي وَالِدٌ عَن وَلَدِهِ وَلَا مَوْلُودٌ هُوَ جَازٍ عَن وَالِدِهِ شَيْئًا إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ ﴾ [لقمان: 33].

 

অর্থঃ হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাক্ওয়া অবলম্বন কর এবং ভয় কর সে দিনকে, যখন কোনো পিতা তার সন্তানের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করবে না, অনুরূপ কোনো সন্তান সেও তার পক্ষ থেকে আদায়কারী হবে না । নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য ; কাজেই দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সে প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে.

 

পরম করুণাময়ের বান্দারা! এটা একটা শত্রুতা যার একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে, এই শত্রুতা আমাদের বাপ-দাদাদের সারাজীবন জুড়েই ছিল, এমনকি নবীরাও এই শত্রুতা থেকে রেহাই পেতে পারেননি, যদি শত্রু আধিপত্য অর্জন করে তবে এই শত্রুতার প্রভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হয়। সেই দিনের ক্ষতি সহ্য করতে হবে যেদিন একজনকে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হবে, এই শত্রুতার কথা কুরআনের বহু আয়াতে বলা হয়েছে, এই শত্রুতার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল আমরা এই শত্রুকে দেখতে পাচ্ছি না... প্রকৃতপক্ষে, তা শয়তানের শত্রুতা।

 

এই শত্রুতা সম্পর্কিত কিছু আয়াত তুলে ধরা যাক। আমাদের সকলের পিতা আদমের সাথে এই শত্রুতা শুরু হয়েছিল, যখন তিনি জান্নাতে ছিলেন এবং আল্লাহ আদেশ দিয়েছিলেন যে আদমকে সেজদা করতে হবে, কিন্ত ইবলিস সেজদা করা থেকে বিরত ছিল, যখন আল্লাহ তা‘আলা আদম ও হাওয়াকে (নির্দিষ্ট) গাছের ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন। ইবলীস তাদের পাপের শিকার হতে বাধ্য করেছিল, তা এইভাবে যে সে তাদের বিশ্বাস করতে প্ররোচিত করে যে এটি অনন্তকালের বৃক্ষ এবং তাদের সামনে শপথ করেছিল যে সে তাদের কল্যাণকর।

﴿ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْءَاتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ الْجَنَّةِ وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَن تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُل لَّكُمَا إِنَّ الشَّيْطَآنَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُّبِينٌ * قَالاَ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴾ [الأعراف: 22 ، 23].

 

অর্থঃ অতঃপর সে তাদেরকে প্রবঞ্চনার দ্বারা অধঃপতিত করল। এরপর যখন তারা সে গাছের ফল খেল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল। তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এ গাছ থেকে নিষেধ করিনি এবং আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য শত্রু?। তারা বলল, ‘হে আমাদের রব! আমারা নিজেদের প্রতি যুলুম করছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।

 

সূরা আরাফের এই আয়াতগুলোতে আদমের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এবং শয়তানের পক্ষ থেকে তিনি যে প্ররোচনার সম্মুখীন হয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর দুবার মানুষকে

 

এসব বাক্য দ্বারা সম্বোধন করা হয়েছে:

﴿ يَا بَنِي آدَمَ ﴾

অর্থঃ হে আদম সন্তান!

 

এই সম্বোধনের রহস্য হল: সন্তানরা তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশোধ নেয়, তাদের শত্রুদের সাথে শত্রুতা করে এবং তার ফাঁদে পড়া থেকে সাবধান থাকে।

﴿ يَا بَنِي آدَمَ لاَ يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْءَاتِهِمَا إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لاَ تَرَوْنَهُمْ ﴾ [الأعراف: 27].

 

অর্থঃ হে বনী আদম! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রলুব্ধ না করে- যেভাবে সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল, সে তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য বিবস্ত্র করেছিল । নিশ্চয় সে নিজে এবং তার দল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখে যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না।

 

আল্লাহ তা‘আলা শয়তান থেকে সতর্ক করে বলেনঃ

﴿ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ ﴾ [فاطر: 5].

 

অর্থঃ হে মানুষ! নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; কাজেই দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সে প্রবঞ্চক (শয়তান) যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রবঞ্চিত না করে ।

 

বনে কাসীর বলেন: এই আয়াতে (আল-গারুর) থেকে শয়তানকে বোঝানো হয়েছে, ইবনে আব্বাস বলেছেন: এর অর্থ শয়তান যেন তোমাকে প্রলোভনে না ফেলে। শয়তানের শত্রুতার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর আল্লাহ আমাদের এই উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট করে দিয়েছেনঃ

﴿ إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ ﴾ [فاطر: 6].

 

অর্থঃ নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; কাজেই তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। সে তো তার দলবলকে ডাকে শুধু এজন্য যে, তারা যেন প্রজ্জলিত আগুনের অধিবাসী হয়।

 

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আল্লাহ শয়তানের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক করেন যে, তারা পর্যায়ক্রমে বান্দাকে আক্রমণ করে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ ﴾ [البقرة: 168].

 

অর্থঃ আর তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র।

 

শয়তান কী চেষ্টা করে এবং সে কী আদেশ দেয় তাও মহান আল্লাহ আমাদেরকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেনঃ

﴿ إِنَّمَا يَأْمُرُكُمْ بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاء وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ ﴾ [البقرة: 169].

 

অর্থঃ সে তো শুধু তোমাদেরকে নির্দেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে এমন সব বিষয় বলার যা তোমরা জান না।

 

এছাড়াও, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও বর্ণনা করেছেন যে, শয়তান কীভাবে বান্দাদেরকে দান-খয়রাত থেকে বিরত রাখার জন্য প্রতারণা করে, তাদের দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের ভয় দেখায় এবং কৃপণতার আদেশ দেয়:

﴿ الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِالْفَحْشَاء وَاللّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًا وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ ﴾ [البقرة: 268].

 

অর্থঃ শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্র্যের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ ।

 

আল্লাহ আমাদের আরও বলেছেন যে শয়তান মিথ্যা এবং নিষিদ্ধ জিনিসকে সুন্দর হিসাবে উপস্থাপন করে:

﴿ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ ﴾ [العنكبوت: 38].

 

অর্থঃ আর শয়তান তাদের কাজকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল এবং তাদেরকে সৎপথ অবলম্বনে বাধা দিয়েছিল, যদিও তারা ছিল বিচক্ষণ।

 

অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ ﴾ [الأنعام: 43]

অর্থঃ তাদের হৃদয় নিষ্ঠুর হয়েছিল এবং তারা যা করছিল শয়তান তা তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল।

 

আল্লাহ তা‘আলার বান্দাগণঃ শাইতান বান্দাদের দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ إِنَّمَا النَّجْوَى مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ﴾ [المجادلة: 10].

 

অর্থঃ গোপন পরামর্শ তো কেবল শয়তানের প্ররোচনায় হয় মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্য। তবে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শয়তান তাদের সামান্যতম ক্ষতি সাধনেও সক্ষম নয়।

 

আল্লাহর স্মরণকে ভুলে যাওয়া এবং তার প্রতি অবহেলা করার সাথে শয়তানের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ

﴿ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ ﴾ [الأنعام: 68]

অর্থঃ আর শাইতান যদি আপনাকে ভুলিয়ে দেয়।

 

অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ وَمَا أَنسَانِيهُ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ ﴾ [الكهف: 63]

অর্থঃ শাইতান সেটার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।

 

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ

﴿ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنسَاهُمْ ذِكْرَ اللَّهِ ﴾ [المجادلة: 19].

 

অর্থঃ শয়তান তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে; ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ।

 

আল্লাহর বান্দারা! শয়তান তার বন্ধুদের মাধ্যমে বান্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে:

﴿ إِنَّمَا ذَلِكُمُ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَاءهُ فَلاَ تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴾ [آل عمران: 175].

 

অর্থঃ সে তো শয়তান। সে তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায়; কাজেই যদি তোমরা মুমিন হও তবে তাদেরকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর।

 

শাইতান ফিতনা ও শত্রুতার আগুন লাগানোর চেষ্টা করেঃ

﴿ إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللّهِ وَعَنِ الصَّلاَةِ ﴾ [المائدة: 91].

 

অর্থঃ শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাঁধা দিতে। তবে কি তোমরা বিরত হবে না?

 

অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُواْ الَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنزَغُ بَيْنَهُمْ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلإِنْسَانِ عَدُوًّا مُّبِينًا ﴾ [الإسراء: 53].

 

অর্থঃ আর আমার বান্দাদেরকে বলুন, তারা যেন এমন কথা বলে যা উত্তম। নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়; নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।

 

হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে শয়তানের ফিতনা, তার শিরক ও ষড়যন্ত্র, পাগলামি, কুমন্ত্রণা ও অহংকার থেকে আশ্রয় চাই। তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।

 

দ্বিতীয় খুতবা

الحمد لله القائل: ﴿ إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ ﴾ [فاطر: 6]، وصلى الله وسلم على نبيه الذي أرشدنا وعلمنا ما يحفظنا من الشياطين صلى الله عليه وعلى آله وأصحابه والتابعين ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين.

 

হামদ ও সালাতের পর!

 

আল্লাহর প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা যত মজবুত হবে, এই বিশ্বাস ও আস্থা তাকে ততই শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করবেঃ

﴿ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ﴾ [النحل: 99].

 

অর্থঃ নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও তাদের রবেরই উপর নির্ভর করে তাদের উপর তার (শয়তান) কোনো আধিপত্য নেই ।

 

শয়তান এমন একটি প্রাণী যে তার ষড়যন্ত্র ও কুমন্ত্রণা তার পবিত্র স্রষ্টার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এড়ানো যায়, মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴾ [الأعراف: 200].

 

অর্থঃ আর যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা আপনাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর আশ্রয় চাইবেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

 

আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইমরানের নেককার স্ত্রীর বাণী বর্ণনা করেছেন:

﴿ وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وِإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ﴾ [آل عمران: 36]

অর্থঃ আর আমি তার নাম মারিয়াম রেখেছি এবং অভিসপ্ত শয়তান হতে তার ও তার সন্তানকে আপনার আশ্রয়ে দিচ্ছি।

 

সূরা আন-নাসের পুরো বিষয়বস্তু হল শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাওয়া, এই সূরায় আল্লাহর রুবুবিয়াত, তাঁর ওলুহিয়্যাত এবং তাঁর সার্বভৌমত্বের মাধ্যমে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এত মহানুভবতা ও সম্মানের সাথে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার উল্লেখ ইঙ্গিত করে যে, কুমন্ত্রণাদাতা শয়তান (আমাদের জন্য) কতটা বিপজ্জনক, যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর সৃষ্টি কুফর, পাপ, সন্দেহ ও লালসার শিকার হয়েছে..!

 

ক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, "একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আল-জুহফা ও আল-আবওয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় সফরকালে আমরা হঠাৎ প্রবল বাতাস ও ঘোর অন্ধকারের কবলে পড়ি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কুল আ‘ঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব এবং কুল আ‘ঊযু বিরব্বিন নাস’ সূরাহ দু’টি পাঠ করে আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং বললেনঃ হে ‘উকবাহ! এ সূরাহ দু’টি দ্বারা পানাহ চাও। কেননা পানাহ চাওয়ার জন্য এরূপ সূরাহ নেই।

 

বর্ণনাকারী বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ দু’টি সূরাহ দ্বারা সলাতের ইমামতি করতেও শুনেছি"। (আবু দাউদ এটি বর্ণনা করেছেন এবং আলবানী সহীহ বলেছেন)।

 

হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! শয়তান যেমন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা থেকে পলায়ন করে, তেমনি সে মহান আল্লাহর জিকির থেকে পলায়ন করে। আল্লাহর বাণী: "আল-ওয়াসওয়াসিল-খান্নাস"- এর তাফসীরে ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে: শয়তান মানুষের অন্তরে চড়ে থাকে যখন সে আল্লাহর যিকির থেকে গাফিল হয় তখন শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং যখন সে আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন সে পালিয়ে যায়।

 

পরিশেষে এটা বলতে চায় যে, শয়তানের শত্রুতা সবসময় মনের মধ্যে রাখতে হবে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। সেই মত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ঈমানকে মজবুত করা উচিত এবং আমাদের উচিত এই প্রার্থনার প্রতি যত্নবান হওয়া যা আল্লাহ তাঁর নবীকে শিখিয়েছিলেন:

﴿ وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ * وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ ﴾ [المؤمنون: 97 ، 98]

অর্থঃ আর বলুন, ‘হে আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।

 

‘আর হে আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে।

 

কারণ শয়তান হল কুফর এবং অন্যান্য সমস্ত পাপের মূল

صلى الله عليه وسلم.

 

https://www.alukah.net/sharia/0/142990/





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • عداوة الشيطان في القرآن (خطبة)
  • عداوة الشيطان في القرآن (خطبة) (باللغة الهندية)
  • عداوة الشيطان في القرآن (خطبة) باللغة الإندونيسية
  • عداوة الشيطان في القرآن (خطبة) - باللغة النيبالية

مختارات من الشبكة

  • بين خطرات الملك وخطرات الشيطان (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • دم المسلم بين شريعة الرحمن وشريعة الشيطان (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • حديث القرآن عن عيسى عليه السلام وأمه (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: فضل القرآن وطرائق تفسيره(مقالة - آفاق الشريعة)
  • إرشاد القرآن إلى حفظ الأيمان (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • ﻛﺎن ﺧﻠﻘﻪ اﻟﻘﺮآن (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أعذار المعترضين على القرآن (خطبة)(مقالة - موقع الشيخ إبراهيم بن محمد الحقيل)
  • آداب تلاوة القرآن الكريم (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الإحصاء في القرآن الكريم والسنة النبوية: أبعاد ودلالات (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • عظمة القرآن تدل على عظمة الرحمن (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • مبادرة إسلامية خيرية في مدينة برمنغهام الأمريكية تجهز 42 ألف وجبة للمحتاجين
  • أكثر من 40 مسجدا يشاركون في حملة التبرع بالدم في أستراليا
  • 150 مشاركا ينالون شهادات دورة مكثفة في أصول الإسلام بقازان
  • فاريش تستضيف ندوة نسائية بعنوان: "طريق الفتنة - الإيمان سندا وأملا وقوة"
  • بحث مخاطر المهدئات وسوء استخدامها في ضوء الطب النفسي والشريعة الإسلامية
  • مسلمات سراييفو يشاركن في ندوة علمية عن أحكام زكاة الذهب والفضة
  • مؤتمر علمي يناقش تحديات الجيل المسلم لشباب أستراليا ونيوزيلندا
  • القرم تشهد انطلاق بناء مسجد جديد وتحضيرًا لفعالية "زهرة الرحمة" الخيرية

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 19/6/1447هـ - الساعة: 17:3
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب